ভোটে জেতার নিশ্চয়তা না দিলে বিএনপি খুশি হবে না: ওবায়দুল
ডিটেকটিভ নিউজ ডেস্ক
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপিকে ভোটে জেতার নিশ্চয়তা না দিলে তারা খুশি হবে না। এখন তো মনে হয় আদালতের একটা রায় দিয়ে দেওয়া উচিৎ, যে কোনো মূল্যে নির্বাচন কমিশনকে একটা ম্যান্ডেট দিতে হবে যে যে কোনো উপায়ে বিএনপিকে নির্বাচনে জেতাতে হবে। এটা দিলেই বিএনপি খুশি। গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীতে তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, বেগম জিয়া বলেছেন, আওয়ামী লীগকে শুদ্ধ করবেন উনি, মানুষ করবেন। বেগম খালেদা জিয়া সবিনয়ে বলি, লুটপাট-খুন-আগুন সন্ত্রাস যে ইতিহাস আপনাদের পাপে পাপে। এত পাপ জমে গেছে এটা ধৌত করবে এমন শক্তি নেই। আগে নিজেরা শুদ্ধ হন, তারপরে অন্যকে বলুন শুদ্ধ হওয়ার জন্য। আমাদের ভুল-ত্রুটি আছে, এক বারে শতভাগ সঠিক আছি, তা বলছি না। কিন্তু আপনারা তো শতভাগের কাছাকাছি অশুদ্ধ। এদিকে, দশম সংসদ নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিতদের সংখ্যা নিয়ে যে ভুল বিএনপি নেতা খন্দকার মোশাররফ হোসেন করেছেন, তা শুধরে দিয়েছেন ওবায়দুল কাদের। বর্তমান সংসদের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে গতকাল মঙ্গলবার সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক আলোচনা সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ বলেছিলেন, এই সংসদের ১৫৪ জনই জনগণের দ্বারা নির্বাচিত নয়। বিকালে বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে শ্রমিক লীগের এক আলোচনা সভায় এই প্রসঙ্গ তুলে কাদের বলেন, মোশাররফ সাহেব যে বলেছেন ১৫৪ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়, এটা সঠিক নয়, বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় গিয়েছেন ১৫৩ জন। এটাও জানেন না? বিএনপিসহ অধিকাংশ দলের বর্জনের মধ্যে অনুষ্ঠিত দশম সংসদ নির্বাচনে অর্ধেকের বেশি অর্থাৎ ১৫৩ আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয় আওয়ামী লীগ ও তার মিত্ররা, যা নিয়ে দেশে-বিদেশে সমালোচনা রয়েছে। প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার পদত্যাগের প্রসঙ্গ ধরে সরকারের সমালোচনা করতে গিয়ে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিতদের কথা বলেছিলেন সাবেক মন্ত্রী মোশাররফ। তার দাবি, বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে যে রিট আবেদন হয়েছে, তাতে এদের ‘অবৈধ’ ঘোষণার রায়ের আশঙ্কা থেকে পদত্যাগে ‘বাধ্য করা হয়েছে’ বিচারপতি সিনহাকে। একে দেশের জন্য ‘অশনি সঙ্কেত’ বলে মন্তব্য করেন খন্দকার মোশাররফ। এর প্রতিক্রিয়ায় ওবায়দুল কদের বলেন, অশনি সঙ্কেত বিএনপির জন্যই অপেক্ষা করছে। নির্বাচনে না এলে অশনি সঙ্কেত তাদের জন্যই অপেক্ষা করছে। আদালত কি ওঁদের মতো ঘোড়ার ঘাস খায় না কি যে যেই সেই ব্যাপারে রায় দিয়ে দেবে। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়াকে গণতন্ত্রের কোনো সমস্যা হিসেবে না দেখার কথাও বলেন ক্ষমতাসীন দলের সাধারণ সম্পাদক। আপনি নির্বাচনে এলেন না, অপ্রতিদ্বন্দ্বী করলেন অনেককে, এর দোষ কি গণতন্ত্রের? দোষ কি নির্বাচনের? আপনি এলেন না, দোষ তো আপনার। গণতন্ত্রেরও কোনো দোষ এখানে নেই, বৈধতারও কোনো সঙ্কট এখানে নেই।