শেরপুরে ধর্ষণের ফলে শিশুর জন্ম, ধর্ষকের যাবজ্জীবন
ডিটেকটিভ নিউজ ডেস্ক
শেরপুরের নকলা উপজেলায় ধর্ষণের দায়ে একজনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদ– দিয়েছে আদালত। শেরপুরের নারী ও শিশুনির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের ভারপ্রাপ্ত বিচারক অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ মোছলেহ্ উদ্দিন গতকাল সোমবার এ রায় ঘোষণা করেন। এছাড়া আসামিকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে আদালত, যা ক্ষতিপূরণ হিসেবে ওই নারীকে দিতে হবে। আদালতের আরেক আদেশে বলা হয়েছে, ধর্ষণের ফলে জন্ম নেওয়া ছেলেশিশুটিকে ২১ বছর পর্যন্ত ভরণপোষণ দিতে হবে রাষ্ট্রকে। আসামি মোস্তফা মিয়া ওরফে মোস্ত (২২) রায় ঘোষণার সময় আদালতের কাঠগড়ায় ছিলেন। মোস্তফা নকলা উপজেলার উরফা কুরেরকান্দা গ্রামের মো. সিরাজ আলীর ছেলে। টাইব্যুনালের বিশেষ পিপি গোলাম কিবরিয়া বুলু মামলার নথির বরাতে বলেন, ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে হতদরিদ্র পরিবারের এক নারীকে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করেন মোস্তফা। গর্ভবতী হয়ে পড়লে এলাকাবাসী মোস্তফাকে বিয়ের জন্য চাপ দেয়। কিন্তু তিনি অস্বীকার করেন। পরে আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় ২০১৬ সালের ৩ নভেম্বর নকলা থানায় মামলা করেন ওই নারী। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নকলা থানার এসআই বন্দে আলী মোস্তফার বিরুদ্ধে ওই বছর ২৩ নভেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দেন। পিপি গোলাম কিবরিয়া বলেন, বর্তমানে ওই শিশুছেলের বয়স ১১ মাস। ডিএনএ টেস্টে মোস্তফা শিশুর বায়োলজিক্যাল ফাদার বলে প্রমাণিত হয়েছেন। আদালত আটজনের সাক্ষ্য নিয়ে এই রায় দিয়েছে বলে তিনি জানান।