ছাত্রলীগ -যুবলীগ সভাপতি সহ ৭ জনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা
সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি
সুনামগঞ্জের জেলা ছাত্রলীগের বিলুপ্ত কমিটির সহ-সভাপতি জাভির আহমদ জাভের সহ ৭ জনের বিরুদ্ধে তাহিরপুর থানায় রবিবার চাঁদাবাজির একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। ’ মামলায় অভিযুক্ত আসামীরা হল, উপজেলার শ্রীপুর উওর ইউনিয়নের কলাগাঁও গ্রামের পল্লী চিকিৎসক ডা. বশির ওরফে বুরুজের ছেলে জামায়াত নেতার ভাতিজা জেলা ছাত্রলীগের বিলুপ্ত কমিটির সহ সভাপতি জাভের আহমদ জাভের, তার সহোদর সোহেল আহমদ, রতনপুর গ্রামের আক্কাছ আলীর ছেলে জাভেরের ভগ্নিপতি মনসুর , রঙ্গারছড়া গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে ফারুক , রতনপুর গ্রামের মস্তু মিয়ার ছেলে আনোয়ার হোসেন, তার সহোদর লিটন ,কলাগাঁও গ্রামের মৃত আবদুল হামিদের ছেলে শ্রীপুর উওর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি সেলিম ইকবাল ।’
মামলাটি দায়ের করেছেন উপজেলার শ্রীপুর উওর ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী বীরেন্দ্রনগর রঙ্গারছড়া গ্রামের মৃত মনির উদ্দিনের ছেলে শ্রমিক আবদুল কুদ্দুছ।
মামলার সুত্রে জানা গেছে, বিগত মৌসুমে অকাল বন্যা ও পাহাড়ি ঢলে বাঁধ ভেঙ্গে বোরো ফসলহানির পর এলাকার কয়েক’শ হতদরিদ্র পরিবারের নারী পুরুষ- জীবন জীবিকার তাগিদে বাগলী ছড়া নদী ও অন্যান্য পাহাড়ি ছড়ার বাংলাদেশ অংশে পাথর উক্তোলন করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছিলেন।’
মামলার প্রধান আসামী জাভের আহমদ জাবের ও সেলিম ইকবাল সহ অন্যান্য অভিযুক্ত আসামীরা কয়েকটি মোটরসাইলে নিয়ে সদলবলে মহড়া দিয়ে পাথর উক্তোলনকারী শ্রমিকদের নিকট পাথর উক্তোলনের জন্য প্রতিদিন তাদেরকে ১০ হাজার টাকা করে চাঁদা দেয়ার জন্য নানা ভাবে রাজনৈতিক চাঁপ সৃষ্টি করে। চাঁদা না দিলে শ্রমিকদের পাথর উক্তোলন বন্ধ করে দিয়ে তাদেরকে মামলা-হামলায় হয়রানীরও হুমকি দেয়া হয়।’
বাগলীর শ্রমিক জিয়াউর ও নারী শ্রমিক রতন বালা বললেন, কয়েক মাস ধইরাই নেতা জাভের -সেলিম প্রতি ট্রলি পাথরের জন্য ১০০ টেহা (টাকা) করে চাঁদা দাবি করতাছে, অহন নতুন করে রোজ (প্রতিদিন) সব শ্রমিক মিইল্ল্যা নেতারা ( তাদেরকে) ১০ হাজার টেহা করে চাঁদা দেয়ার জন্য হুমকি দিয়া গেছে।’ তারা আরো বলেন, আমরা গরীব মানুষ এক ট্রলি পাথর সারাদিন তুলি, হেই পাথর ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা বেচি(বিক্রি) করি, এই টেহা দিয়া ঠিকমত ঘরে চাল তেলই কিনবার পারিনা, চাঁদার টাকা দিমু কেমনে, তাই পাথর তোলাও আইজ কয়দিন ধইরা বন্ধ।’
উপজেলার শ্রীপুর উওর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি সেলিম ইকবাল রবিবার বললেন, মামলার ব্যাপাওে এখনো আমি কিছুই জানিনা। ’
সুনামগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ সভাপতি জাভির আহমদ জাভেরের ব্যাক্তিগত মেবাইল ফোনে রবিবার কয়েকদফা কল করলেও রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
তাহিরপুর থানার ওসি (তদন্ত) মো. আসাদুজ্জামান হাওলাদা মামলা দায়েরের তথ্য নিশ্চিত করে রবিবার বললেন জানান, প্রাথমিক তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে।