৭টি স্থানে অবৈধ চাঁদাবাজি বন্ধের নির্দেশ দিলেন জেলা প্রশাসক
চান মিয়া, ছাতক (সুনামগঞ্জ)
ছাতকে মরা-চেলা নদী বালু মহালের রয়্যালিটির হার নির্ধারণ ও অবৈধ টোল-ট্যাক্স আদায় বন্ধের লক্ষ্যে এক জরুরি মতবিনিময় সভা মঙ্গলবার (৩১অক্টোবর) সন্ধ্যায় উপজেলা সম্মেলন কক্ষে সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক সাবিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) কামরুজ্জামানের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন, উপজেলা চেয়ারম্যান অলিউর রহমান চৌধুরী বকুল, দোয়ারা উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ ইদ্রিছ আলী বীর প্রতীক, সহকারি পুলিশ সূপার (ছাতক-দোয়ারা) দুলন মিয়া, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ নাছির উল্লাহ খান, দোয়ারা নির্বাহী অফিসার (চদা) প্রশান্ত কুমার বিশ্বাস, ওসি আতিকুর রহমান, পৌরসভার প্যানেল মেয়র তাপস চৌধুরি, মামুন আহমদ, ছাতকবাজার একতা বালু উত্তোলন ও সরবরাহকারি ক্ষুদ্র ব্যবসায়ি সমবায় সমিতির সভাপতি আব্দুস সাত্তার, সাধারণ সম্পাদক দিলোয়ার হোসাইন, সমছু মিয়াসহ ৭জন ইজারাদার উপস্থিত ছিলেন। সভায় সমিতির পক্ষে সমছু মিয়া অবৈধ টোল-ট্যাক্স আদায় বন্ধও রয়্যালিটির হার নির্ধারণের দাবি করলে জেলা প্রশাসক টোল-ট্যাক্স আদায়কারি বিআইডব্লিউ, ছাতক পৌরসভার ২টি ট্যাক্স, ছাতক উপজেলা, দোয়ারা উপজেলা, ইসলামপুর ইউপি ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলাধিন আরো ৫টি প্রতিষ্ঠানের কাছে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র উপস্থাপন করতে বলা হয়। এসময় কেউ তার প্রমান দেখাতে পারেনি। জেলা প্রশাসক নদীতে চলন্ত অবস্থায় মালবাহি সব ধরণের নৌযান থেকে টোল-ট্যাক্স আদায় না করার নির্দেশ প্রদান করেন। এছাড়া বিআইডব্লিউ’র কথিত ইজারাদারের প্রতি বলেন, বিআইডব্লিউর পক্ষ থেকে ডিসি অফিসে ঘাট নির্মাণের একটি আবেদন করেই অবৈধভাবে চাঁদা আদায়ের ঘটনায় তিনি অবাক হয়ে যান। কিন্তু সে আবেদনে এখনও স্বাক্ষরও করা হয়নি। তাহলে কেন অবৈধভাবে ট্যাক্স আদায় করা হচ্ছে। তিনি শীঘ্রই সব ইজারাদারদের ইজারাকালিন প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ডিসি অফিসে জমাও ১নভেম্বর থেকে প্রত্যেক ইজারাদারকে সংশ্লিষ্ট এলাকার দর্শনীয় স্থানে রেইট বোর্ড টানানোর নির্দেশ দেন। এছাড়া বিআইডব্লিউ, ছাতক পৌরসভার ২টি, ছাতক ও দোয়ারা উপজেলা, ইসলামপুর ইউপিও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলাধীন আরো ৫টি ট্যাক্স আদায়ের মধ্যে কোম্পানীগঞ্জের ৫টি ট্যাক্স সিলেট ডিসির সাথে বৈঠক করে সমাধানের চেষ্ঠা করার আশ্বাস দেন তিনি। এছাড়া সমিতির পক্ষ থেকে ডিসির কাছে দাবি করলে ভোলাগঞ্জ বালু মহালে ড্রেজার বন্ধের দাবি করলে তিনি কার্যকর ব্যবস্থা নিবেন বলে জানান। জানা গেছে, একই নদীতে চাঠিবহর, জামরা, আমবাড়ি, গোয়ালগাঁও, ইসলামপুর ও ইছাকলস গ্রামের কাছে গ্রাম পঞ্চায়েতের নামে ৪/৫লক্ষ টাকা করে লিজ দেয়া হয়। এসব এলাকায় বালু-পাথরবাহি নৌকা ও বাল্কহেড চলাচল এবং মালামাল লোড-আনলোডিং করতে বাঁধা দিচ্ছে। সম্প্রতি সমিতির পক্ষ থেকে সুপ্রীম কোর্টের মাননীয় হাইকোর্ট বিভাগে অবৈধ চাঁদাবাজি বন্ধের দাবিতে একটি রীট পিটিশনের প্রেক্ষিতে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে বলে জানা গেছে।