ডিটেকটিভ বিনোদন ডেস্ক
এ সময়ের ব্যস্ত মডেল-অভিনেত্রী সাবিলা নূর। ক্যারিয়ারের অল্প সময়ে দর্শকদের মধ্যে দারুণ গ্রহণযোগ্যতা তৈরি করেছেন এই গ্ল্যামার কন্যা। বিভিন্ন পণ্যের বিজ্ঞাপনের মডেল হওয়ার পাশাপাশি মাহফুজ আহমেদের ‘জল কলংক’, শিহাব শাহিনের ‘মন শুধু মন ছুঁয়েছে’, রেদওয়ান রনির ‘ইউটার্ন’, মাবরুর রশিদ বান্নার ‘শত ডানার প্রজাপতি’সহ বেশ কিছু দর্শকপ্রিয় নাটক উপহার দিয়েছেন তিনি। প্রতিটি নাটকেই সাবিলার বৈচিত্র্যময় চরিত্র দর্শকদের মনে দাগ কেটেছে। নতুন নতুন চরিত্রে অভিনয় করা এই অভিনেত্রীর লক্ষ্য। নির্মাতারাও তাকে নিয়ে ব্যতিক্রমী কিছু করার চেষ্টা করেন।
বর্তমান ব্যস্ততা কি নিয়ে জানতে চাইলে সাবিলা নূর বলেন, খ- নাটক ও ধারাবাহিকের কাজ করছি। বাংলাভিশনে এই অভিনেত্রীর ‘ল্যামপোস্ট’ শিরোনামের একটি ধারাবাহিক নাটক প্রচার হচ্ছে বলে জানান। এটি পরিচালনা করছেন সাগর জাহান। এ ছাড়া কাজল আরেফিন অমির ‘বেসিক আলী’ শিরোনামের একটি ধারাবাহিকের কাজ করছেন তিনি। আগামি মাসে আরও একটি ধারাবাহিকের শুটিং শুরু করবেন বলেও জানান সাবিলা। এদিকে আগামি ৩০শে অক্টোবর অঞ্জন আইচের ‘তেইশ’ নামের একটি খ- নাটকের দৃশ্যধারণে অংশ নেবেন তিনি। এই নাটকে তার বিপরীতে থাকছেন মিশু সাব্বির। এসব নাটকে সাবিলাকে দর্শক কেমন চরিত্রে দেখতে পাবে? এই সম্পর্কে তিনি বলেন, শুরু থেকেই নতুন নতুন চরিত্রের মধ্য দিয়ে দর্শকের কাছে নিজেকে উপস্থাপন করছি। বর্তমান নাটকগুলোতেও দর্শক আমাকে কিছু ব্যতিক্রমী চরিত্রে দেখবে। আমি নতুনত্বে বিশ্বাসী। আমি মনে করি দর্শকদের ভিন্ন কিছু দিতে না পারলে কাজ না করাই উত্তম। ধারাবাহিক নাকি খ- নাটকে অভিনয় করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন প্রশ্ন করা হলে দুটোতেই কাজ করতে ভালোবাসেন বলে সাবিলা জানান। তবে ধারাবাহিকের জন্য অনেক সময় দিতে হয়। কোনো কোনো ধারাবাহিকের জন্য এক বছরের বেশি সময় দিতে হয়। সেই কারণে বছরে ২-৩টির বেশি ধারাবাহিক নাটকে কাজ না করাই ভালো বলে মনে করেন তিনি। তার মতে, বছরে ২-৩টি ধারাবাহিকে কাজ করলে চরিত্রের প্রতি মনোযোগ দেওয়া যায়। সেসঙ্গে চরিত্রটিকে দর্শকদের কাছে গ্রহণযোগ্য করে তোলার জন্য আন্তরিকতাও থাকে বলে মনে করেন সাবিলা। বর্তমান সময়ের নাটকের অবস্থা কেমন মনে হচ্ছে এ অভিনেত্রীর কাছে? সাবিলা বলেন, বিশেষ দিবসগুলোর বাইরে নাটকের প্রচার-প্রচারণা কম হচ্ছে। সেই কারণে অনেক ভালো নাটক দর্শক দেখার সুযোগ পাচ্ছে না। সাবিলা মনে করেন বিশেষ দিবসগুলোর মতো সব সময় নাটকের প্রচার-প্রচারণার প্রয়োজন। তাহলে দর্শক নাটকমুখী হবে। এ ছাড়া নির্মাতাদের গতানুগতিক গল্পের বাইরে ব্যতিক্রমী ধারার নাটক নির্মাণে এগিয়ে আসতে হবে। সাম্প্রতিক সময়ে কিছু নাটক দর্শকদের মধ্যে বেশ সাড়া ফেলেছে। সেই নাটকগুলোতে গল্প ও শিল্পীদের চরিত্রে বৈচিত্র্য ছিল বলেই দর্শক সেগুলো লুফে নিয়েছে। বিজ্ঞাপন দিয়েই সাবিলা দর্শকদের মধ্যে পরিচিতি লাভ করেন। তবে এখন নতুন কোনো বিজ্ঞাপনে কাজ করছেন না তিনি। এর কারণ সম্পর্কে বলেন, আমি যে পণ্যটি ব্যবহার করতে পারবো না বিজ্ঞাপনের মধ্য দিয়ে সেটি সাধারণ মানুষদের কাছে পৌঁছে দিতে চাই না। মানসম্পন্ন পণ্যের মডেল হতে চাই। যার মধ্য দিয়ে সবাই উপকৃত হবেন। সাবিলা সর্বশেষ চলতি বছরে মুঠোফোন রবির একটি বিজ্ঞাপনের মডেল হয়েছেন। এদিকে ক্যারিয়ার নিয়ে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কথা বলতে গিয়ে এ পর্দাকন্যা জানান, আগামি ১০ বছর পরে যেন দর্শকদের কাছে তার গ্রহণযোগ্যতা আরো বেশি থাকে সেই লক্ষ্যেই তিনি কাজ করছেন। সাবিলা বলেন, এখন আমি একটু একটু করে অভিনয় শিখছি। আমার ক্যারিয়ারের সময় বেশি হয়নি। আমি একজন নিখুঁত অভিনেত্রী হয়ে দর্শকের মনে জায়গা তৈরি করে নিতে চাই।