সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার রঙ্গারচর ইউপির হরিণাপাটি গ্রামের নিখোঁজ স্কুলছাত্র জাকুয়ান মিয়াকে (১০) মৃত অবস্থায় উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিখোঁজের দুদিন পর নিজ বসত ঘরের চাল থেকে লাশ উদ্ধারের ঘটনায় এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনার বিবরণে জানা যায়, নিহত জাকুয়ান (১০) রঙ্গারচর ইউপির হরিণাপাটি গ্রামের সাইফ উদ্দিনের ছেলে। স্থানীয় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেণিতে পড়ত সে। নিহত ছাত্রের লাশ উদ্ধারের পর তার শরীরে বেশ কিছু আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে স্থানীয়ভাবে জানা গেছে। তবে পুলিশ জানিয়েছে, লাশ বিকৃত হয়েছে, তাই স্পষ্টভাবে কিছু বোঝা যাচ্ছে না। স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, স্কুলছাত্র জাকুয়ান মিয়া গত বুধবার থেকে নিখোঁজ ছিল। দুদিন ধরে তাকে বাড়ির সবাই খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে গত শুক্রবার থানায় সাধারণ ডায়েরি করে। পরে গত শুক্রবার সন্ধ্যায় নিহত ছাত্রের বাবা নিজের বসতঘরের পেছনের চালায় ছেলের লাশ দেখতে পায় বলে স্থানীয়দের জানান। পরে থানায় খবর দিলে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে। দুদিন নিখোঁজ থাকার পর নিজের বসতঘরের চালায় জাকুয়ানের লাশ উদ্ধারের ঘটনায় রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে। জাকুয়ানের বাবা সাইফ উদ্দিনের দাবি করেন কে বা কারা তাঁর ছেলেকে খুন করেছে তা তিনি জানেন না। ঘটনাস্থলে থাকা সুনামগঞ্জ সদর সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার তাপস রঞ্জন ঘোষ জানান, পুলিশ খবর পেয়ে নিখোঁজ স্কুলছাত্র জাকুয়ানের লাশ উদ্ধার করেছে। ঘটনাটি খুবই রহস্যজনক। লাশ বিকৃত হয়ে গেছে, সবকিছু খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পরিবারের লোকজনকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। নিহত ছাত্রের চাচা হাজি আছদ্দর আলী বলেন, দুদিন ধরে জাকুয়ান নিখোঁজ ছিল। এলাকার সবাই মিলে তাকে খুঁজতে থাকি কিন্তু তার কোন সন্ধান না পেয়ে আজকে থানায় জিডি করতে যাই। কিন্তু আমি বাবা না হওয়ায় থানায় জিডি নেয়নি। পরে জাকুয়ানের বাবা বিকেলে গিয়ে জিডি করে আসে। এরপর বিকেলে সাইফ উদ্দিন ঘরে এসে পচা গন্ধ পেলে চালের ওপর ছেলের লাশ দেখতে পেয়ে এলাকাবাসীকে খবর দেয়। জাকুয়ানের চাচা দাবি করেন, তাঁদের সঙ্গে কারো কোনো শত্রুতা নেই।