রোহিঙ্গা ইস্যুতে সরকার নতজানু ভূমিকা পালন করছে: ফখরুল
ডিটেকটিভ নিউজ ডেস্ক
রোহিঙ্গা ইস্যুতে সরকার নতজানু ভূমিকা পালন করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যুতে সরকার কোনো সময়োচিত ভূমিকা নিতে পারেনি। এখন পর্যন্ত চীন, রাশিয়াকে নিজেদের পক্ষে আনতে পারেনি। ভারত এখনও মিয়ানমারের পক্ষে। গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির ‘রুখো আগ্রাসন-হটাও দুঃশাসন’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। বাংলাদেশ লেবার পার্টি এ আলোচনা সভার আয়োজন করে। বাংলাদেশকে ব্যর্থ দাবি করে মির্জা ফখরুল বলেন, বাংলাদেশে গণতন্ত্র নেই। একটা ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। সব প্রশাসনিক যন্ত্র নষ্ট করে রেখেছে। এখানে কোনো কিছু আশা করে লাভ নেই। বিএনপি সব সময় গণতন্ত্রের পক্ষে কাজ করেছে। এদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য চেষ্টা করে আসছে। কারণ গণতন্ত্র ছাড়া সুশাসন সম্ভব নয়। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, দীর্ঘ নয় বছর আওয়ামী লীগ অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে আছে। এই সময়ে বিএনপির হাজার হাজার নেতা-কর্মী গুম হয়েছে। শত শত নেতাকর্মীকে ক্রসফায়ারে দিয়েছে। এরপরও গণতন্ত্রে বিশ্বাসী হওয়ায় বিভিন্ন বিষয়ে মতামত দিচ্ছি। তবে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য গণ আন্দোলন বা অভ্যুত্থান দরকার। এর জন্য ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। তরুণ প্রজন্মকে এগিয়ে আসতে হবে। তিনি বলেন, ২০১৪ সালে আমরা ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তুলেছিলাম। শহরে গ্রাম বিপ্লব সাধিত হচ্ছিল। কিন্তু ফ্যাসিবাদ সরকারের নির্যাতনে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন টিকতে পারেনি। আমরা গণতন্ত্রের স্বার্থে আবার ঐক্যবদ্ধ হওয়ার চেষ্টা করছি। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এম কে আনোয়ারের মৃত্যুর জন্য সরকারকে দায়ী করেন দৈনিক আমাদের দেশের সম্পাদক প্রকৌশলী মাহমুদুর রহমান। তিনি বলেন, আমরা সবাই বলছি এম কে আনোয়ার বার্ধক্যজনিত কারণে মারা গেছেন। আমি বলবো, এম কে আনোয়ারকে এ সরকার মেরে ফেলেছে। ৮০ বছরের কোনো বৃদ্ধকে যখন জেলে ভরা হয়, রিমান্ডে নেওয়া হয় তাকে হত্যা ছাড়া আর কি বলবো। কাজেই সরকার তার মৃত্যুর জন্য দায়ী। আয়োজক সংগঠনের চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরানের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি ড. এমাজউদ্দীন আহমেদ প্রমুখ।