নোয়াখালীতে স্কুল ছাত্রীকে আটকে রেখে ধর্ষণ, ৭ দিন পর উদ্ধার
ডিটেকটিভ নিউজ ডেস্ক
নোয়াখালীর সেনবাগে প্রাইভেট পড়ে বাড়ী ফেরার পথে ১০ম শ্রেনীর এক স্কুল ছাত্রীকে (১৫) জোর পূর্বক অপহরণ করে ৭ দিন আটকে রেখে ধর্ষণ করেছে আবু আশিক প্রকাশ মো: ফামির (২২) নামের এক বখাটে। পরে স্কুল ছাত্রীর পিতার অভিযোগের ভিত্তিতে সেনবাগ থানার ওসি হারুন অর রশিদ চৌধুরীর নেতৃত্বে একদল পুলিশ কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বসুরহাট থেকে ওই ধর্ষণের শিকার অপহৃতা ওই স্কলি ছাত্রীকে উদ্ধার করে। এবং গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য নোয়াখালীর জেনারেল হাসপাতালে প্রেরন করেছে। ঘটনার মুলহোতা আবু আশিক মো: ফামিরকে প্রধান আসামি করে ১০ জনের বিরুদ্ধে সেনবাগ থানায় মামলা করেছেন স্কুল ছাত্রীর পিতা মো: অলি উল্লাহ। মামলা নং ৮ তারিখ: ১৮.১০.১৭ ইং। ঘটনার মুলহোতা ফামির সেনবাগ উপজেলার ৯নং নবীপুর ইউপির গোপালপুর বোতার বাড়ীর মৃত শফি উল্লাহ পুত্র। অন্য আসামীরা হলেন বীজবাগ ইউপির বালিয়াকান্দি গ্রামের রাসেল (২০) মামুন (২২) নোমান (২০) নিশান (২২) আজগর (২৩) আমিরুল (২৫)মাসুদ প্রকাশ বোমা মাসুদ (২৫) গোপালপুরের সায়েম (২০) ও রিপন (২০)। পুলিশ জানায়,বীজবাগ এনকে উচ্চবিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেনীর ওই ছাত্রী ১১ই অক্টোবর স্কুল ছুটির পর প্রাইভেট পড়ে বাড়ী যাবার পথে তাহের কোম্পানীর বাড়ীর সামনে এলে প্রধান আসামি আবু আশিক মো: ফামির নেতৃত্বে ৭/৮ জন যুবক ভিকটিমকে ওই স্কুল ছাত্রীকে জোরপূর্বক একটি মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে পালিয়ে যায়। এরপর গত ৭দিন ফামির তার সহযোগীদের সহায়তায় স্কুল ছাত্রীকে বিভিন্ন স্থানে আটকে রেখে প্রাণ নাশের হুমকি দিয়ে ধর্ষন করে। মঙ্গলবার রাত ১০ টার দিকে সেনবাগ থানা পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তার পরিবারের সহায়তায় কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাটের একটি রুম থেকে ভিকটিমকে উদ্ধার করে সেনবাগ থানায় নিয়ে আসে। ওই সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে আসামীদের পালিয়ে যায়। সেনবাগ থানার ওসি হারুন অর রশিদ চৌধুরী গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে গনমাধ্যমকে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ভিকটিমকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। শুক্রবার ভিকটিম কে ২২ ধারায় জবানবন্দী রেকর্ডের জন্য ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে পাঠানো হবে। এবং অভিযুক্তদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।