ইবি প্রতিনিধিঃ
আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। রবিবার দুপুর দেড়টার দিকে ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের দলীয় টেন্টের কাছে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, গতকাল শনিবার সকালে সভাপতি শাহিনুর রহমান শাহিন গ্রুপের কর্মী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগের ১ম বর্ষের শিক্ষার্থী রিফাত ও বন্ধনকে সভাপতি গ্রুপ পরিবর্তন করে সাধারণ সম্পাদক গ্রুপে যোগ দেওয়ার জন্য ফোনে নির্দেশ দেয় সাধারণ সম্পাদক জুয়েল রানা হালিম গ্রুপের কর্মী লিখন। পরে রাত ১ টার দিকে ভূমি ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের ১ম বর্ষের ছাত্র আপেল তাকে আবার কল দিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে আসতে বলে। কিন্তু রিফাত অস্বীকৃতি জানালে আপেল, পিয়াস, ও লিখনসহ ৬-৭ জন লালন শাহ হলে এসে রিফাত ও বন্ধনকে ডেকে ক্যাম্পাসের জিয়া মোড়ো নিয়ে যায়। এসময় তারা রিফাতকে সিগারেট জ্বালাতে বলে। তখন পরিস্থিতি খারাপ ভেবে স্থান ত্যাগ করতে শুরু করে রিফাত ও বন্ধন। এসময় তাদের ফিরে এনে ৮-১০ জন মিলে বেধরক মারধর করে। পরবর্তীতে রিফাত ও বন্ধন মার খেয়ে ঘটনা স্থল থেকে হলে পালিয়ে আসে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে, এ ঘটনার সূত্র ধরে রবিবার দুপুরে ছাত্রলীগের সভাপতি শাহিনুর রহমান শাহিন গ্রুপের কর্মী রিফাতসহ তার বন্ধুরা ছাত্রলীগের দলীয় টেন্টে বসে ছিল। এসময় পাশের রাস্তা দিয়ে সাধারণ সম্পাদক জুয়েল রানা হালিম গ্রুপের কর্মীরা সভাপতি গ্রুপের কর্মীদের উদ্দেশ্য করে বিভিন্ন ধরণের উক্তি করতে থাকে। এক পর্যায়ে তাদের লক্ষ্য করে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে। পরে তারা সভাপতি গ্রুপের নেতাকর্মীদের ধাওয়া দেয়। এসময় উভয় পক্ষের কর্মীদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এক পর্যায়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। এ বিষয়ে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি শাহিনুর রহমান শাহিনের সাথে মোবাইল ফোনে কথা বলতে চাইলে তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জুয়েল রানা হালিম বলেন, ‘ আমি ক্যাম্পাসের বাহিরে আছি। বিষয়টি আমি জেনেছি। সভাপতির সাথে এ বিষয়ে আমি কথা বলব।’
প্রাইভেট ডিটেকটিভ/২২এপ্রিল২০১৮/ইকবাল