October 18, 2024, 10:55 am

সংবাদ শিরোনাম
ফুটওভার ব্রিজের উপর থেকে টার্গেট ছিনতাইকারীদের সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ইমরানের রাজউকে শক্তিশালী সিন্ডিকেট তথ্য সংগ্রহকালে সাংবাদিককে হুমকি বারুদের গন্ধ বিশ্ববাসী সহ্য করতে পারছেন না (পর্ব ১৩) বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল( বিএনপি) ভুল পথে কেন (পর্ব- ১২) মাতৃভূমি সুরক্ষার জন্য আবারো রক্ত দিতে হবে কেন? পর্ব -১১ দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ এলাকা থেকে তিনজন কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০ নবাবগঞ্জে বজ্রপাতে দুই বিয়াইয়ের মৃত্যু শাহবাগে ছাত্র জমিয়তের সীরাত সম্মেলন অনুষ্ঠিত সুন্নাহর মাঝেই রয়েছে বৈষম্যমুক্ত আদর্শ দেশ গড়ার চাবিকাঠি কুড়িগ্রামে হত্যায় মামলায় সাংবাদিকদের আসামী! কক্সবাজারে অভিযানে ৬ দূর্বৃত্ত অস্ত্র সহ আটক

নাটোরের হালতিবিলে চলছে মৎস নিধনের মহাউৎসব

নাটোরের হালতিবিলে চলছে মৎস নিধনের মহাউৎসব

নাটোর প্রতিনিধি

নাটোরের হালতিবিলে চলছে মৎস্য নিধনের মহাউৎসব। আর এ কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে নিষিদ্ধ কারেন্ট জালসহ নানা প্রযুক্তি। বিশেষ করে নিষিদ্ধ বাদাই জাল ও কীটনাশক জাতীয় ক্ষতিকারক পাউডার ও ট্যাবলেট ছিটিয়ে বিভিন্ন প্রজাতির পোনা মাছ শিকার করছেন মৎস্যজীবীর অন্তরালে স্থানীয় প্রভাবশালীরা। এতে করে সরকারের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন নিয়ে শঙ্কা রয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, মৎস্য বিভাগের উদ্যোগে গত কয়েক বছরে হালতিবিলে মৎস্য অভয়াশ্রম, বিল নার্সারি স্থাপন ও মাছের পোনা অবমুক্ত করাসহ নানা রকম পদক্ষেপ গ্রহণের কারণে দেশীয় মাছ উৎপাদন কয়েকগুন বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু স্থানীয় এক শ্রেণির অসাধু ব্যক্তিরা নিষিদ্ধ কারেন্ট ও বাদাই জাল দিয়ে অব্যাহতভাবে মাছ শিকারের ফলে মৎস্য সম্পদের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, হালতি বিলের চারপাশে অন্তত ১০০ থেকে ১২০টি বাদাই পার্টি রয়েছে। সন্ধ্যা বা সামান্য রাত হলেই এসব নিষিদ্ধ জাল দিয়ে অসাধু ব্যক্তিরা মাছ শিকার করেন। প্রতি রাতে তাদের জালে অন্তত ১৫ থেকে ২০ টন বিভিন্ন প্রজাতির মাছ ধরা পড়ে। তবে এসব মাছের শতকরা প্রায় ৩০ ভাগই মারা যায়, আর ১৫ ভাগ মাছ বিক্রির অনুপোযোগী হয়ে পড়ে। বাকি মাছগুলো মাধনগর, নলডাঙ্গা ও ত্রিমোহনী আড়তে নিয়ে গিয়ে বিক্রি করা হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক জেলে জানান, তাদের নিজস্ব কোনো বাদাই জাল নেই। প্রতিটি জালই প্রভাবশালী, আড়ৎদার ও জনপ্রতিনিধির দাদনের টাকায় করা। জেলেরা শুধু মাছ মেরে তাদের কাছ থেকে মুজুরি পায়। প্রশাসন তারা সামলান।
নলডাঙ্গা উপজেলা মৎস্য অফিসার মো. ইব্রাহিম হামিদ শাহিন জানান, বাদাই জাল দিয়ে মাছ না ধরার জন্য আগে থেকে মাইকিং করে সর্তক করা হয়েছিল। কিন্তু অসাধু ব্যক্তিরা আইন না মেনে রাতের আধারে মাছ শিকার করছেন। ওই সকল অসাধু ব্যক্তিদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
নলডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তফা কামাল জানান, বাদাই জাল মালিকদের সঙ্গে পুলিশের সংশ্লিষ্টতা নেই। যদি পুলিশের নাম ভাঙিয়ে কেউ এসব করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Share Button

     এ জাতীয় আরো খবর