October 6, 2024, 4:05 am

সংবাদ শিরোনাম
আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজায় শান্তি শৃংখলা বজায় রাখার জন্য সকলকে সজাগ থাকার আহ্বান জামায়াত নেতা মাওলানা মমতাজ উদ্দিনের স্বাধীন সার্বভৌম মাতৃভূমিকে রক্ষা করতে হলে সশস্ত্র ট্রেনিং এর প্রয়োজন। বৈষম্য বিরোধী অভিভাবক ছাত্র শ্রমিক জনতা ঐক্য কমিটির (পর্ব- ৪) ভঙ্গুর রাষ্ট্রকে গড়তে হলে সংস্কার প্রয়োজন=== বৈষম্য বিরোধী অভিভাব ছাত্র শ্রমিক জনতা ঐক্য কেন্দ্রীয় কমিটির ব্যাংক কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত নাটোর পল্লী বিদ্যুত সমিতিতে অদ্ভুতুরে কাণ্ডকীর্তি ভোলা বোরহানউদ্দিনে প্রাথমিক সহকারি শিক্ষকগণের ১০ম গ্রেডের দাবিতে মানববন্ধন শারদীয় দুর্গাপূজায় নিরাপত্তা নিশ্চিত করণের লক্ষে বগুড়ায় বিএনপির মতবিনিময় সভা! লক্ষ্মীপুরে কুমিরের আতঙ্কে এলাকাবাসী সাংবাদিক পুত্র আবির হোসেন অনন্ত’র জন্মদিন আজ বিল্লাল হুসাইন ক্ষমতা! নাকি আড়ালে ছিলো ভিন্ন কোনো উদ্দেশ্য ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী হাসিনার?

নাটোরের হালতিবিলে চলছে মৎস নিধনের মহাউৎসব

নাটোরের হালতিবিলে চলছে মৎস নিধনের মহাউৎসব

নাটোর প্রতিনিধি

নাটোরের হালতিবিলে চলছে মৎস্য নিধনের মহাউৎসব। আর এ কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে নিষিদ্ধ কারেন্ট জালসহ নানা প্রযুক্তি। বিশেষ করে নিষিদ্ধ বাদাই জাল ও কীটনাশক জাতীয় ক্ষতিকারক পাউডার ও ট্যাবলেট ছিটিয়ে বিভিন্ন প্রজাতির পোনা মাছ শিকার করছেন মৎস্যজীবীর অন্তরালে স্থানীয় প্রভাবশালীরা। এতে করে সরকারের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন নিয়ে শঙ্কা রয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, মৎস্য বিভাগের উদ্যোগে গত কয়েক বছরে হালতিবিলে মৎস্য অভয়াশ্রম, বিল নার্সারি স্থাপন ও মাছের পোনা অবমুক্ত করাসহ নানা রকম পদক্ষেপ গ্রহণের কারণে দেশীয় মাছ উৎপাদন কয়েকগুন বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু স্থানীয় এক শ্রেণির অসাধু ব্যক্তিরা নিষিদ্ধ কারেন্ট ও বাদাই জাল দিয়ে অব্যাহতভাবে মাছ শিকারের ফলে মৎস্য সম্পদের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, হালতি বিলের চারপাশে অন্তত ১০০ থেকে ১২০টি বাদাই পার্টি রয়েছে। সন্ধ্যা বা সামান্য রাত হলেই এসব নিষিদ্ধ জাল দিয়ে অসাধু ব্যক্তিরা মাছ শিকার করেন। প্রতি রাতে তাদের জালে অন্তত ১৫ থেকে ২০ টন বিভিন্ন প্রজাতির মাছ ধরা পড়ে। তবে এসব মাছের শতকরা প্রায় ৩০ ভাগই মারা যায়, আর ১৫ ভাগ মাছ বিক্রির অনুপোযোগী হয়ে পড়ে। বাকি মাছগুলো মাধনগর, নলডাঙ্গা ও ত্রিমোহনী আড়তে নিয়ে গিয়ে বিক্রি করা হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক জেলে জানান, তাদের নিজস্ব কোনো বাদাই জাল নেই। প্রতিটি জালই প্রভাবশালী, আড়ৎদার ও জনপ্রতিনিধির দাদনের টাকায় করা। জেলেরা শুধু মাছ মেরে তাদের কাছ থেকে মুজুরি পায়। প্রশাসন তারা সামলান।
নলডাঙ্গা উপজেলা মৎস্য অফিসার মো. ইব্রাহিম হামিদ শাহিন জানান, বাদাই জাল দিয়ে মাছ না ধরার জন্য আগে থেকে মাইকিং করে সর্তক করা হয়েছিল। কিন্তু অসাধু ব্যক্তিরা আইন না মেনে রাতের আধারে মাছ শিকার করছেন। ওই সকল অসাধু ব্যক্তিদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
নলডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তফা কামাল জানান, বাদাই জাল মালিকদের সঙ্গে পুলিশের সংশ্লিষ্টতা নেই। যদি পুলিশের নাম ভাঙিয়ে কেউ এসব করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Share Button

     এ জাতীয় আরো খবর