ডিটেকটিভ নিউজ ডেস্ক
মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক এম.সি.এ মরহুম সৈয়দ আবুল হাশেম সাহেবের পুত্র জননেতা সৈয়দ আখতারুজ্জামান সাহেবের সাথে একান্ত আলাপ করলে তার রাজনৈতিক, সামাজিক সহ নানা কর্মকান্ডের কথা তুলে ধরেন। তার কিছু বিবরণ এখানে তুলে ধরা হল।
আমার শ্রদ্ধেয় পিতা সৈয়দ আবুল হাশেম জাতির জনক বংগবন্ধুর সক্রিয় রাজনৈতিক সহচর ছিলেন। তার দেয়া মনোনয়ন নিয়ে ১৯৭০ সালে কলাপাড়া আমতলী আসন থেকে এম.সি.এ নির্বাচিত হন। তিনি একাধারে ইউপি চেয়ারম্যান, উপজেলা চেয়ারম্যান সহ নানা ধরনের সামাজিক কর্মকান্ডের সাথে জড়িত ছিলেন। তার মৃতুযতে শুন্যতা তৈরী হলে আমাকেই তার নেতৃত্বের শুন্যতা পূরনে এগিয়ে আসতে হয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় ১৭ বছর ধরে ২ নং টিয়াখালি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ এর সভাপতি ছিলাম এবং ২ নং টিয়াখালি ইউনিয়ন এর চেয়ারম্যান নির্বাচিত হই। এছাড়াও কলাপাড়া উপজেলা আওয়ামীলীগ এর সদস্য, জেলা কৃষকলীগ, সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড কলাপাড়া শাখা সহ বিভিন্ন সামাজিক কর্মকান্ডের সাথে জড়িত আছি।
এ সমস্ত কাজ করতে গিয়ে নানা সময় বি.এন.পি – জামায়াত এবং আওয়ামীলীগ এর কতিপয় নামধারী অতি উৎসাহী হাইব্রীড মার্কা মানুষের রোষানলে পরে আমি সামাজিক, আর্থিক এবং মানসিকভাবে হয়রানির শিকার হয়ে পরি। ২০০৫ সালে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার প্রতিবাদে কলাপাড়ায় সমাবেশকালে আমার বাড়িঘর ভাঙচুর করে এবং আমার উপর চড়াও হয়ে ডান হাত ভেঙে দেয়। এমনকি ইউ.পি নির্বাচনে নিশ্চিত বিজয়কে ছিনিয়ে নেয়া হয়। তিনি মনোনয়ন পেলে এলাকার জন্যে কি করবেন তা জানতে চাইলে তিনি বলেন, দক্ষিন অঞ্চলের মানুষ এর ভাগ্য উন্নয়নের রুপকার, দক্ষিনাঞ্চলের মানুষ যাকে “মা” হিসেবে আখ্যায়িত করে,বংগবন্ধুর সোনার বাংলা ও ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার কারিগর, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যদি আমাকে ১১৪ পটুয়াখালী -৪ আসন থেকে মনোনয়ন দেন তাহলে দক্ষিনাঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়নের সমুদ্র সৈকত কুয়াকাটা, দেশের তৃতীয় সামুদ্রিক বন্দর, ১৩২০ মেগাওয়াট বিদুযৎকেন্দ্র, দ্বিতীয় সাবমেরিন কেবলস সহ যে সমস্ত উন্নয়নমূলক কাজগুলো তিনি হাতে নিয়েছেন তার একজন বিশ্বস্ত সৈনিক হিসেবে সেই কাজগুলো বাস্তবায়নের লক্ষেয জনগনকে সাথে নিয়ে নিরলসভাবে কাজ করে যেতে চাই ইনশাল্লাহ।