আরিফ সুমন,কলাপাড়া(পটুয়াখালী)প্রতিনিধিঃ
সহসাই দুর্ঘটনায় পড়তে পারে পথচারী, পর্যটক কিংবা শিক্ষার্থী। পটুয়াখালীর কুয়কাটায় পর্যটকসহ সাধারনের পথ চলায় এমন শংকার সমাধানে সংশ্লিস্ট কর্তৃপক্ষের বারবার আশ্বাসের বিপরীতে মিলছেনা প্রতিশ্রুতির বাস্তাবয়ন। ফলে কর্তৃপক্ষের এমন উদাসীনতায় ক্ষুদ্ধ পর্যটক, বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, ব্যবসায়ী মহলসহ অবিভাবক।
সূর্যোদয় আর সূর্যাস্থের বেলাভ’মি সাগরকন্যা কুয়াকাটা। সারা দেশের সাথে সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হওয়ায় শুধু পর্যটন মৌসুম নয়, সারা বছরই পর্যকদের পদভারে মুখরিত থাকে সমুদ্র সৈকত কুয়াকাটা। আর কুয়াকাটায় পর্যটন বিকশিত হওয়ায় বেড়েছে পরিবহনের সংখ্যা। কিন্তু কোন নিদৃস্ট বাস র্টামিনাল না থাকায় সী-বিচে নামার সড়কের উপড়ে কুয়াকাটা জিরো পয়েন্টে এবং বঙ্গবন্ধু মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রবেশ পথে রাস্তার উপড়েই পার্কি করে রাখা হচ্ছে এসব পরিবহনের গাড়ী। আশেপাশে গড়ে উঠেছে বিভিন্ন পরিবহনের কাউন্টার। এসব টিকিট কাউন্টার থেকে যাত্রীদের দৃস্টি আকর্ষনের জন্য হাক-ডাক, অনবরত হর্ন আর যান্ত্রিক শব্দ দুষন চরম বিরক্তির উদ্রেগ করছে পর্যকদের। এলোমেলো ভাবে বাস পার্কি করে রাখার কারনে সড়কের প্রস্থতা কমে গিয়ে তৈরি হচ্ছে যানজট। সড়কের মাঝে গাড়ী ঘুরানোর কারনে পর্যটকদের স্বাভাবিক চলাচলে ঘটছে বিঘ্নতা। যেকোন সময় দুর্ঘটনার শংঙ্কায় থাকে পর্যটক, স্থানীয়সহ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। ইতিপূর্বে বেশ কয়েকাবার বাস কাউন্টার দখলকে কেন্দ্র সংগঠিত সংঘর্ষের ঘটনায় পর্যটকদের মাঝে ছড়িয়ে পড়ে ভীতি-আতঙ্ক।
এদিকে কুয়াকাটা বঙ্গবন্ধু মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রবেশ পথের দুই পাশে অসংখ্য গাড়ি পার্কিং করার ফলে দু:সহ যানজট ও দূর্ঘটনায় পড়ছে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। কুয়াকাটার লতাচাপলি মডেল প্রাইমারি স্কুলের সামনে থেকে বঙ্গবন্ধু মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রবেশ পথের দুই ধারে বরিশাল ও ঢাকাগামী পরিবহনগুলো রাখা থাকে। ঢাকাগামী ও ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা কুয়াকাটাগামী গাড়িগুলো যখন স্কুল গেটে পৌছে তখন সৃষ্টি হয় তীব্র যানজট। দিন দিন বেড়েই চলছে এ দু:সহ যানজট। ফলে স্কুল শুরু হওয়ার পূর্ব মূহুর্র্তে ভয় ও শংঙ্কা নিয়ে স্কুলে প্রবেশ এবং বের হতে হয় শিক্ষার্থীদের।
অভিভাবক অনন্ত মুখার্জী বলেন, বিদ্যালয়ের প্রবেশ মুখের রাস্তা দখল করে এমনভাবে গাড়ী পার্কিং করা হয়েছে তাতে মনে হচ্ছে বাসস্ট্যান্ড এটাই। বঙ্গবন্ধু মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক খলিলুর রহমান বলেন, কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ ও অনুরোধ করা সত্তেও বন্ধ করা যাচ্ছেনা গাড়ি পাকিং। ঢাকা থেকে আগত পর্যটক সাইফুল্লাহ বলেন, রাস্তার জায়গাটায় বাকা তারপরে আবার গাড়ি রেখে আরো ভয়াবহতার সৃষ্টি করা হয়েছে। এবিষয়ে জানতে চাইলে একাধিক বাসের চালক জানান, নির্দিষ্ট বাস র্টামিনাল না থাকায় বাধ্য হয়েই রাস্তার উপরে গাড়ী এভাবেই রাখতে হচ্ছে।
ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা জোনের সিনিয়র এএসপি জহিরুল ইসলাম বলেন, বাসস্ট্যান্ডের অভাবে গাড়িগুলো এলোমেলোভাবে রাখা হয়েছে আমরা চেষ্টা করছি গাড়িগুলোকে ঠিকমত পার্কিং করার। কুয়াকাটা পেীরসভার মেয়র আ: বারেক মোল্লা বলেন, নিদৃস্ট বাসস্ট্যান্ডের জন্য জায়গা দেখা হচ্ছে। খুব শীঘ্রই সমস্যা সমাধান হবে।
প্রাইভেট ডিটেকটিভ/১ মার্চ ২০১৮/রুহুল আমিন