সুনামগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
তাহিরপুর উপজেলার বাদাঘাট ইউপি’র ৩ টি ফসলরক্ষা বাঁধে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। পাউবো সুত্রে জানাযায়, তাহিরপুর উপজেলার বাদাঘাট ইউনিয়নের মাতিয়ান হাওরের বর্ধিতাংশে সোহালা বাঁধ উপ প্রকল্পে ডুবন্ত বাঁধের উচ্চতা বৃদ্ধিকরণ ও বিভিন্ন ভাঙ্গা বন্ধের ১.১৮০ কিঃ মিঃ কাজের জন্য বরাদ্দ দেয়া হয় প্রায় ১৫ লাখ টাকা। পিআইসি নং ০৪ সভাপতি হলেন সোহালা গ্রামের মৃত আব্দুল মজিদের ছেলে আব্দুল আহাদ ও সদস্য সচিব সোহালা গ্রামের আব্দুল কাদিরের ছেলে রিয়াজ উদ্দিন। বাঁধটি সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সোহালা গ্রামের ভিতরের রাস্তায় কাজের শুরুতেই দু’টি ছোট ছোট ভাঙ্গার কাজ করেছে বাঁধের গোড়ি থেকেই মাটি উত্তোলন করে। উক্ত কাজের একটু দুরেই গিয়ে দেখা যায় মাহতাবপুর গ্রাম সংলগ্ন সোয়ালার হাওরপাড়ে গরঘাট বাঁধে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করে নির্মাণ করা হচ্ছে ফসলরক্ষা বাঁধ। একই ইউনিয়নের পিআইসি নং ০২ মাটিয়ান হাওরের সাজিদ মিয়ার বাড়ি হইতে ধরুণ গ্রাম পর্যন্ত ফসলরক্ষা বাঁধের কাজে বরাদ্দ দেয়া হয় ২৪ লক্ষ টাকা। পিআইসি’র সভাপতি হলেন রমজান আলী। উক্ত বাঁধটিতে গিয়ে দেখা যায়, বলদার হাওরপাড়ে ধরুন গ্রামের পাশে ভাঙ্গার কাজটি করা হলেও সাজিদ মিয়ার বাড়ি পর্যন্ত বেশিরভাগ কাজ এখনো সম্পন্ন হয়নি। বাঁধের দুই পাশে দুর্মোজ বা দুর্বা ঘাস দেয়া হয় নি। এছাড়া বলদার হাওরের ধরুন গ্রামে প্রাথমিক বিদ্যালয় পাশে অপর একটি বাঁধে বরাদ্দ দেয়া হয় ১২ লক্ষ টাকা। পিআইসি’র সভাপতি হলেন ইউনুছপুর গ্রামের মৃত জুমুন মিয়ার ছেলে ফজলু মিয়া, সদস্য সচিব একই গ্রামের সিরাজ মিয়ার ছেলে হারুন রশীদ। এ বাঁধের নাম মাত্র কিছু মাটি ফেলা হয়েছে। নয়াহাটির পাশের ভাঙ্গায় কোন মাটি দেয়া হয়নি এবং কোন সাইনবোর্ড পাওয়া যায়নি,তবে পিআইসি’র সদস্য আব্দুল কাদির বলেন, বড়দল গ্রামের পাশে আমাদের মুল কাজ। আমরা কোন অনিয়ম করিনি সাইনবোর্ডও আছে।
প্রাইভেট ডিটেকটিভ/২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৮/রুহুল আমিন