December 9, 2024, 11:58 pm

সংবাদ শিরোনাম
ওসমানীনগরে অর্থনৈতিক শুমারি প্রশিক্ষণের সমাপনি অনুষ্ঠান ও আলোচনা সভা হবিগঞ্জের ৪ গ্রামের মধ্যে সংঘর্ষ, পুলিশসহ আহত শতাধিক আদালতের নির্দেশনা মানছেন না জেলা প্রশাসক নন্দীগ্রামে বাসের ধাক্কায় সিএনজি চালকসহ নিহত ২, আহত ৫ সাদুল্লাপুরে পারিবারিক কলহে অটোভ্যান চালকের আত্মহত্যা বান্দরবানে আগুনে এ্যাম্বুলেন্সসহ দুই গাড়ি পুড়ে ছাই বান্দরবান-রুমার বেইলি সেতু ভেঙে পড়ায় সড়ক যোগাযোগ বন্ধ ষড়যন্ত্রমূলক মামলার প্রতিবাদে কুড়িগ্রামে মানববন্ধন সাবরিনারা দেশের গর্বের ধন- সেনা প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বৈষ্যমবিরোধীছাত্র আন্দোলন কমিটি বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ

জাতির ভাগ্যে স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের স্বাদ কবে পাবে

জাতির ভাগ্যে স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের স্বাদ কবে পাবে মোহাম্মদ আলী আকবর চুন্নু সাবেক যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট ও খুলনা বিভাগের টিম প্রধান বলেন মোগল শাসনের পরে নবাবদের শাসন শুরু হয় ১৭৫৭ সালে সিপাহী বিপ্লব মাধ্যমে তারা শাসন ভার গ্রহণ করেন।
কিন্তু ব্রিটিশ ইংরেজরা দেখলেন ভারতবর্ষের গণতন্ত্রকে লুণ্ঠন করতে হলে ছোট ছোট এনজিও সৃষ্টি করতে হবে।
তাদের ভিতরে দরিদ্রের সংখ্যা বাড়িয়ে দিতে হবে। তাই তারা কুট কৌশলের মাধ্যমে এনজিওর উপরে ভর করে ভারত বর্ষ দখল করেন, এবং শাসন ভার গ্রহণ করেন।
তাহলে বুঝা গেল যে, ছোট ছোট এনজিওর মাধ্যমে তাদেরকে স্বাগতম জানান। যার ফলে তারা ১৯৫ বছর শাসন ও শোষণ করেছিলেন। ভারতবর্ষের দরিদ্র লোকদের উপরে চালিয়ে ছিলেন নীলকরের নামে গরিবকে চুষে খেয়েছেন তাদের উপরে জোর করে টেক্সট খাজনা তোশিলদারি তুলতেন এবং আমাদেরকে নিষ্পেষিত করেছিলেন।
ব্রিটিশ ইংরেজ সাম্রাজ্যবাদের শাসনের বিরুদ্ধে মাওলানা আবুল কালাম আজাদ, নেতাজী সুভাষ বসু, শেরে বাংলা এ এম ফজলুল হক,ও মজলুম জননেতা হামিদ খান ভাসানী মতন লোকেরা বিদ্রোহ ঘোষণা করেন।
যার ফলে ১৯৪৭ সালে ভারত বর্ষ স্বাধীনতা লাভ করেন। কিছুটা হলেও গণতন্ত্র মুক্তি পেয়েছিলেন অনেক শহীদদের রক্তের বিনিময়ে গণতন্ত্রের স্বাদ পেয়েছিলেন ভারতবর্ষের জাতি।
১৯৪৭ সালে প্রথম প্রহরে পূর্ব এবং পশ্চিম পাকিস্তান নামে একটি রাষ্ট্রের জন্ম হয়।
এবং ১৯৪৭ সালের রাতের শেষ প্রহরে ভারত নামে আর একটি রাষ্ট্রের জন্ম হয়।
পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তানের শাসনভার গ্রহণ করেন কায়েদে আজও মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ, আর ভারতের শাসনভার গ্রহণ করেন পন্ডিত জহরাল নেহেরু।পশ্চিম পাকিস্তানের শাসক পূর্ব পাকিস্তানের জনগণের উপরে নির্যাতন-নিপীড়ন চালান।
যার ফলে বাক স্বাধীনতা ক্ষুন্ন হয়েছিল বিধায় ১৯৭১ সালের ২৬ শে মার্চ কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে মেজার জিয়াউর রহমানের কন্ঠে স্বাধীনতা ঘোষণা করেন,
এবং মুক্তিযুদ্ধ সূচনা করেন।
৯ মাস যুদ্ধ করে স্বাধীন হলো ১৬ই ডিসেম্বর।
মানুষ স্বাধীনতার স্বাদ গ্রহণ করতে পারেনি।
সেই সময় আওয়ামীলীগ সরকারের প্রধান মুজিবুর রহমান একনায়ক শাসনতন্ত্র কায়েম করলেন।
মানুষের কণ্ঠস্বর বন্ধ করে দিলেন।গণতন্ত্রকে কারাবন্দি করলেন বাকশাল নামে একটি দল গঠন করলেন। তার ছেলে শেখ কামাল শেখ জামাল তার আত্মীয়-স্বজন ডেমরা মিরদা বাড়ির মেয়ে সুলতানা কে শেখ কামাল তুলে নিলেন, মেজর ডালিমের বউকে আরামবাগ কোন একটি অনুষ্ঠান থেকে তুলে নিলেন।
শেখ কামাল তার হাংগো পাংগো দিয়ে ব্যাংক ডাকাতি থেকে শুরু করে সমস্ত কিছু করতে দ্বিধাবোধ করেননি। মানুষ না খেয়ে মারা যাচ্ছে সারাদেশে দুর্ভিক্ষ দেখা দিচ্ছে লক্ষ্মী বাহিনী মুজিব বাহিনী লাল বাহিনী তৈরি করলেন গণতন্ত্র ভূলুণ্ঠিত হলো।
জাতি গণতন্ত্রের স্বাদ পেল না অনেক শহীদদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতা খর্ব হলো।
১৯৭৫ সাল ৭ই নভেম্বর সিপাহী বিপ্লবের মধ্য দিয়ে পুনরায় জেনারেল জিয়াউর রহমানকে কারাবন্দি থেকে মুক্ত করে ক্ষমতায় বসিয়েছিলেন জনগণ। আমরা গণতন্ত্রের স্বাদ পেয়েছিলাম কথা বলার অধিকার পেয়েছিলাম অন্য বস্ত্র বাসস্থান শিক্ষা চিকিৎসা পেয়েছিলাম।
এরপরে আবার নেমে আসে গণতন্ত্রকে হত্যা করেন স্বৈরাচার এরশাদ।
স্বৈরাচার এরশাদ বিরোধী আন্দোলন করতে গিয়ে দীর্ঘ 9 বছর তার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে প্রধানমন্ত্রী শাসিত গণতন্ত্র জনগণের দৌরগোড়ায় পৌঁছে দিলেন বেগম খালেদা জিয়া।
আবার গণতন্ত্রকে লুণ্ঠন করা হলো ১/১১ উচ্চবিলাসী জলপাইধারী সেনাবাহিনীর ময়-উ-আহম্মেদ ও ফখরুদ্দিনের শাসন।
এরপরে ১৫ বছর সাত মাস ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের একনায়ক শাসনতন্ত্র কাম করলেন ও গণতন্ত্র লুণ্ঠন হল।
বাক স্বাধীনতা লুণ্ঠন হল মানুষের কথা বলার অধিকার নাই।
তারই প্রতিবাদে ২০২৪ সালের ৫ই আগস্ট অভিভাবক পেশাজীবী শ্রমিক জনতা ছাত্রদেরকে নিয়ে গণঅভ্যুত্থান হলো। ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগ সরকার এর পতন হলো তিনি ছিলেন অবৈধ সরকার।
বিনা ভোটে পাঁচ বছরের জন্য ক্ষমতাগ্রহণ করেন।
সাত মাস না যেতেই গণঅভ্যুত্থান ঘটলো তিনি ছিলেন অবৈধ সরকার।অবৈধ সরকারের ক্ষমতা গ্রহণ করেছেন বর্তমান যারা সরকার ক্ষমতায় আছেন হিসাবে তারাও অবৈধ। জনতা তাদেরকে বসিয়েছেন তিন মাসের জন্য কিন্তু আমরা দেখতে পাচ্ছি যে তেনারা গভীর ষড়যন্ত্র নিয়ে দেশ শাসন করছেন।
তাদের উপদেষ্টারা বলছেন চার বছর আগে কোন নির্বাচন দেওয়া হবে না। তাহলে কি দাঁড়ালো তারাও গণতন্ত্রকে টোটো চেপে হত্যা করলো।
উচ্চবিলাসিতা তাদের মধ্যে প্রবাহিত হচ্ছে জাতির নাকের ডগায় আবারো কিসের ষড়যন্ত্রের গন্ধ পাচ্ছে। মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা মহোদয় আপনি অতি দ্রুত গতিতে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা দিয়ে নির্বাচিত সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করে সসম্মানে বিদায় গ্রহণ করুন জাতি তাই আশা করেন।

Share Button

     এ জাতীয় আরো খবর