October 9, 2024, 7:20 pm

সংবাদ শিরোনাম
আসন্ন শারদীয়া দুর্গাপূজা শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য প্রশাসন ও জনগণের প্রীতি আহ্বান – পর্ব ৮ প্রশাসন সংস্থা ব্রিটিশ আইনের মাধ্যমে শাসন ব্যবস্থা চলতে পারে না-পর্ব ৭ মাতৃভূমির এক ইঞ্চি জমি ছাড় দেওয়া হবে না, পর্ব ৬ স্বাধীন সার্বভৌম মাতৃভূমি রক্ষা করতে হলে প্রতিটি ঘরে সেনাবাহিনী তৈরি করতে হবে(পর্ব-৫) আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজায় শান্তি শৃংখলা বজায় রাখার জন্য সকলকে সজাগ থাকার আহ্বান জামায়াত নেতা মাওলানা মমতাজ উদ্দিনের স্বাধীন সার্বভৌম মাতৃভূমিকে রক্ষা করতে হলে সশস্ত্র ট্রেনিং এর প্রয়োজন। বৈষম্য বিরোধী অভিভাবক ছাত্র শ্রমিক জনতা ঐক্য কমিটির (পর্ব- ৪) ভঙ্গুর রাষ্ট্রকে গড়তে হলে সংস্কার প্রয়োজন=== বৈষম্য বিরোধী অভিভাব ছাত্র শ্রমিক জনতা ঐক্য কেন্দ্রীয় কমিটির ব্যাংক কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত নাটোর পল্লী বিদ্যুত সমিতিতে অদ্ভুতুরে কাণ্ডকীর্তি ভোলা বোরহানউদ্দিনে প্রাথমিক সহকারি শিক্ষকগণের ১০ম গ্রেডের দাবিতে মানববন্ধন

যে কারণে পূর্ণতা পায়নি মিঠুন-শ্রীদেবীর প্রেমের সম্পর্ক!

বিনোদন ডেস্কঃ বলিউডের আশির দশকের জনপ্রিয় জুটি মিঠুন-শ্রীদেবী। রুপালি পর্দা কাঁপানো এ জুটি একের পর এক দর্শক প্রিয় সিনেমা উপহার দিয়েছেন ভক্তদের। এমনকি রিল লাইফের প্রেমের সম্পর্কের মতোই তাদের মধ্যে গড়ে উঠে রিয়েল লাইফের প্রেম-ভালবাসা। গুঞ্জন শোনা গিয়েছিল গোপনে শ্রীদেবীকে বিয়ে করেছেন মিঠুন চক্রবর্তী। কিন্তু দীর্ঘ দিনের প্রেমের সম্পর্ক ভেস্তে যায় হঠাৎ করেই পরিণতি পায়নি তাদের প্রেম-ভালবাসা।

শ্রীদেবী ও মিঠুনের প্রেমের সূত্রপাত ‘জাগ উঠা ইনসান’ সিনেমার মাধ্যমে। রাকেশ রোশান পরিচালিত ১৯৮৪ সালে মুক্তি পাওয়া এই সিনেমায় প্রধান তিনটি ভূমিকায় ছিলেন শ্রীদেবী, মিঠুন চক্রবর্তী এবং রাকেশ রোশান।

অসাধারণ প্রেম কাহিনির এই সিনেমাটি সমালোচকদের প্রশংসা তো বটেই, বিপুল বাণিজ্যিক সাফল্যও পেয়েছিল। এই সিনেমার সেটেই সূচনা হয় আরেক প্রেম কাহিনির। শ্রীদেবী-মিঠুনের এই প্রেম বলিউডের অন্যতম সাড়া জাগানো রোমান্স উপাখ্যান। আশির দশকে সিনেমা ম্যাগাজিনগুলো সরগরম ছিল এই গুঞ্জনে। ১৯৮৪ সালে শ্রীদেবীর সঙ্গে যখন মিঠুনের প্রেম জমে ওঠে তখন এ অভিনেতার দাম্পত্য জীবন দুজনের প্রেমে পাহাড়সম বাধা হয়ে দাঁড়ায়।

আবার এ দুজনের প্রেমের দৃশ্যপটে বনি কাপুরের আবির্ভাব ঘটে অনেকটা খলনায়কের ভূমিকায়। ১৯৮৪ সালেই ‘মিস্টার ইন্ডিয়া’ সিনেমার প্রযোজক বনি কাপুরের সঙ্গে যোগাযোগ ঘটে শ্রীদেবীর। অসাধারণ সুন্দরী ও দুর্দান্ত অভিনেত্রী শ্রীদেবীর প্রতি আকৃষ্ট হন বিবাহিত বনি কাপুর। কিন্তু মিঠুনের প্রেমে মগ্ন থাকায় বনি কাপুরের আহ্বানে তখন সাড়া দেননি শ্রীদেবী। বনি কাপুরও নানাভাবে শ্রীদেবীর মন যোগাতে ব্যস্ত হন। বনি কাপুরের প্রতিষ্ঠানের ব্যানারে একের পর এক শ্রীদেবীর সিনেমা মুক্তি পেতে থাকে। কিন্তু শ্রীদেবী মিঠুনের সঙ্গেই সম্পর্ক ধরে রাখেন।

শ্রীদেবী চেয়েছিলেন মিঠুন তার স্ত্রী যোগিতা বালিকে ত্যাগ করে তাকে বিয়ে করুক। কিন্তু শ্রীদেবীকে মনপ্রাণ দিয়ে ভালোবাসলেও মিঠুনের পক্ষে যোগিতা বালিকে ত্যাগ করা সম্ভব হয়নি। কারণ যোগিতা তার সন্তানের মা এবং দুঃসময়ের সহযাত্রী। এই অভিমান থেকেই জন্ম নেয় বিরোধ। আশির দশকের শেষে ১৯৮৯ সালে তাদের সর্বশেষ সিনেমা ‘গুরু’ মুক্তি পায়। এরপরই মিঠুন-শ্রীদেবীর প্রেমে ভাঙনের সুর বাজে। দুজনের সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার পেছনে একদিকে যেমন রয়েছে শ্রীদেবীর প্রতি বনি কাপুরের আগ্রহ, অন্যদিকে রয়েছে যোগিতা বালির হস্তক্ষেপ। সংসার বাঁচাতে মরিয়া হয়ে ওঠেন যোগিতা বালি। তিনি আত্মহত্যার চেষ্টাও করেন। এই চেষ্টার পরই শ্রীদেবীর সঙ্গে সব সম্পর্ক চুকিয়ে বাধ্য স্বামীর মতো ঘরে ফেরেন মিঠুন। আর বনি কাপুরকে নিয়ে নিজস্ব সংসার গড়ার স্বপ্নে মেতে ওঠেন শ্রীদেবী।

প্রাইভেট ডিটেকটিভ/১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৮/মেধা

Share Button

     এ জাতীয় আরো খবর