July 8, 2024, 9:17 am

সংবাদ শিরোনাম
কুড়িগ্রামে একের পর এক বাঁধ ভেঙে ও সড়ক উপছে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত কোটা সমস্যার সমাধান করার দাবি জাতীয় শিক্ষাধারার জৈন্তাপুরে পুলিশের পৃথক অভিযানে চিনি ও ঔষধ উদ্ধার পীরগঞ্জের ঝোরারঘাট শাহ্ সালেক দাখিল মাদ্রাসায় সুপারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম পীরগঞ্জ ৮৭পিচ ইয়াবা ও অন্যঅন্য মামলায় আসামী আটক৫ ১৭০টি চোরাই মোবাইল ও ট্যাবসহ মোট ০৫ জন চোরাকারবারিকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০ সরকারী রাস্তাসহ ২৯টি মেহগনি গাছ কাটার অভিযোগ।। তদন্তে প্রশাসন পীরগঞ্জে মসজিদের দোহাই সরকারি খাস জমির গাছ কর্তন পীরগঞ্জে পাট ও পাট বীজ উৎপাদন প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত রংপুর মিঠাপুকুরে সেফটিক ট্যাংকে পড়ে তিনজনের মর্মান্তিক মৃত্যু

পদত্যাগ না করা পর্যন্ত প্রাসাদ ছাড়বে না শ্রীলঙ্কার জনতা

আন্তর্জাতিক  ডেস্কঃঃ

শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ না করা পর্যন্ত হাল ছাড়বেন না বলে জানিয়েছেন দেশটির বিক্ষোভকারীরা। তারা এই দুই শীর্ষ ক্ষমতাধরের পদত্যাগ পর্যন্ত তাদের ভবন দখলে রাখবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন।

রোববার এক প্রতিবেদনে সংবাদ সংস্থা রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে। অপর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের ঘোষণা কলম্বোর সড়ককে অনেকটাই শান্ত করে দিয়েছে।

রাজনৈতিক অস্থিরতায় গতকাল শনিবার পদত্যাগের ঘোষণা দেন প্রেসিডেন্ট গোটাবায়া রাজাপক্ষে এবং প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহের। এর আগে দিনভর বিক্ষোভ আন্দোলনের পর হাজার হাজার বিক্ষোভকারী প্রেসিডেন্ট রাজাপক্ষের এবং পরে প্রধানমন্ত্রী রনিলের সরকারি বাসভবন দখলে নেয়। এরপর থেকে সেখানে বিক্ষোভকারীরা বসবাস করছেন।

রয়টার্সের এক ভিডিওতে দেখা যায়, বিক্ষোভকারীরা সেখানে ঘুমিয়ে আছেন, সুইমিংপুলে উল্লাস করছেন, কেউ কেউ জিমে গিয়ে ব্যায়াম করছেন।

যদিও অপর এক প্রতিবেদন বলছে, প্রেসিডেন্ট রাজাপক্ষের পদত্যাগ ঘোষণার পর দেশটির রাজধানী কলম্বো এখন অনেকটাই স্বাভাবিক। নজিরবিহীন অর্থনৈতিক সংকটে বিপর্যস্ত দেশটির বিক্ষোভকারীদের এখন রাস্তায় দেখা যাচ্ছে না। গতকাল শনিবার রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগে সম্মত হওয়ার পর ‘আর অশান্তির প্রয়োজন নেই’ উল্লেখ করে ‘মসৃণ ক্ষমতা পরিবর্তনের জন্য’ সবাইকে শান্তি বজায় রাখার আহ্বান জানান। এরপর শান্ত হয়ে আসে কলম্বো।

কয়েক মাস ধরে রাজনৈতিক টালমাটাল অবস্থা ও দেশটির ইতিহাসে সবচেয়ে বড় বিক্ষোভের পর অবশেষে গতকাল শনিবার শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট গোটাবায়া রাজাপক্ষে ও প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহে পদত্যাগের কথা জানান। প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহে বলেছেন, নতুন সরকার গঠিত হলেই তিনি পদ ছাড়বেন। এর কয়েক ঘণ্টা পরে পার্লামেন্টের স্পিকার বলেছেন, প্রেসিডেন্ট গোটাবায়া রাজাপক্ষে আগামী বুধবার পদত্যাগ করবেন।

এর আগে শুক্রবার রাতে পুলিশ কারফিউ জারি করে বিক্ষোভ বন্ধ করতে চেয়েছিল। কিন্তু, বিরোধীদল ও আইনজীবীদের তীব্র নিন্দার মুখে এটি তুলে নেয়া হয়।

এরপর কয়েক হাজার বিক্ষোভকারী রাজধানী কলম্বোতে প্রবেশ করে এবং রাজাপাকসের সুরক্ষিত সরকারি বাসভবনে ঢুকে পড়ে। এ সময় সংঘর্ষে হতাহতের ঘটনা ঘটে।

বিবিসি ও ইউএনবির প্রতিবেদন বলছে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওগুলোতে দেখা যায়, উত্তাল জনতা রাজাপক্ষের বাগানের সুইমিং পুলে ডুব দিচ্ছিলেন। কিছু লোক বাড়ির বিছানায় শুয়েছিলেন, অন্যরা চা পান করছিলেন। তারা প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতে স্লোগান দিচ্ছিলেন।

সেদিন সরকারের মুখপাত্র মোহন সমরানায়েক বলেন, ‘প্রেসিডেন্টের গতিবিধি সম্পর্কে তাঁর কাছে কোনো তথ্য নেই।’

এ ছাড়া বিক্রমাসিংহের অফিস জানিয়েছে, বিক্ষোভকারীরা প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত বাসভবনে ঢুকে আগুন ধরিয়ে দেয়। তবে, হামলার সময় প্রধানমন্ত্রী সেখানে ছিলেন কি না তা তাৎক্ষণিকভাবে স্পষ্ট নয়।

স্পিকার মাহিন্দা ইয়াপা আবেবর্দেনা একটি টেলিভিশন বিবৃতিতে বলেছেন, তিনি রাজাপাকসেকে জানিয়েছিলেন যে, সংসদীয় নেতারা দেখা করেছেন এবং তাকে অফিস ছেড়ে দেয়ার অনুরোধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এরপর প্রেসিডেন্ট এ পদত্যাগে রাজি হন।

আবেবর্দেনা আরো বলেন, ‘ক্ষমতার হস্তান্তর নিশ্চিত করতে রাজাপক্ষে সাময়িকভাবে (আরো কিছুদিন) থাকবেন।’

ইউএনবির প্রতিবেদনে বলা হয়—আবেবর্দেনা বলেন, ‘তিনি আমাকে জানাতে বলেছেন যে, তিনি ১৩ তারিখ বুধবার পদত্যাগ করবেন। কারণ, শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর করার প্রয়োজন আছে।‘

স্পিকার আরও বলেন, ‘অতএব দেশে আর অশান্তির প্রয়োজন নেই এবং একটি মসৃণ ক্ষমতা পরিবর্তনের জন্য আমি দেশের স্বার্থে সবাইকে শান্তি বজায় রাখার আহ্বান জানাচ্ছি।’

বিরোধী আইনপ্রণেতা রউফ হাকিম বলেছেন, সংসদের স্পিকারকে অস্থায়ী প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেওয়ার এবং একটি অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের জন্য তাঁরা ঐকমত্যে পৌঁছেছে।

অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রী বিক্রমাসিংহে তার নিজের আসন্ন পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন। তবে, তিনি বলেন—নতুন সরকার গঠিত না হওয়া পর্যন্ত তিনি পদত্যাগ করবেন না।

বিক্রমাসিংহে আরও বলেন, ‘এখন আমাদের দেশে জ্বালানি সংকট ও খাদ্য সংকট। বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির প্রধান আমাদের এখানে আসছেন এবং আইএমএফের সঙ্গে আমাদের বেশ কিছু বিষয়ে আলোচনা আছে।’

//ইয়াসিন//

Share Button

     এ জাতীয় আরো খবর