ডিটেকটিভ ডেস্কঃঃ
রায়ের পর অনুলিপি পেতে বিচারপ্রার্থীদের যেন আদালতের বারান্দায় ঘুরতে না হয় সেজন্য সংশ্লিষ্টদের সতর্ক থাকতে বলেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। শনিবার বিকেলে সুপ্রিম কোর্ট দিবসের আলোচনা সভায় যোগ দিয়ে, বিচারিক কর্মকাণ্ড ডিজিটাল করার তাগিদও দেন তিনি।
সুপ্রিম কোর্ট দিবসে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসনের আলোচনা সভায় বঙ্গভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন রাষ্ট্রপতি।
নিজ বক্তব্যে রাষ্ট্রপতি বলেন, সরকার বিচার বিভাগের স্বাধীনতায় দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে এবং বিচারকদের সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির জন্য আন্তরিক প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে।
“কিন্তু বিচারকদের খেয়াল রাখতে হবে, মামলার রায় হওয়ার পর রায়ের কপি পাওয়ার জন্য বিচারপ্রার্থীদের যেন আদালতের বারান্দায় ঘোরাঘুরি করতে না হয়।”
তথ্য প্রযুক্তির প্রসার এবং আদালত ব্যবস্থাপনায় এর সম্ভাবনা তুলে ধরে রাষ্ট্রপতি বলেন, তথ্যপ্রযুক্তির সমস্ত সুবিধা ব্যবহার করে মামলা ব্যবস্থাপনায় গতিশীলতা আনতে হবে। করোনাকালে ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে বিচার কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে উচ্চ আদালত ও অধস্তন আদালতের বিচারক ও আইনজীবীগণ বিচারপ্রার্থী জনগণের ন্যায়বিচার নিশ্চিতকরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।
মামলা দায়ের থেকে রায় ঘোষণা পর্যন্ত আদালতের বিচারিক কর্মকাণ্ড ডিজিটালি সংরক্ষণের তাগিদ দেন রাষ্ট্রপতি।
তিনি বলেন, সুপ্রিম কোর্ট যেহেতু ‘কোর্ট অব রেকর্ড’ সেহেতু এর সকল নথিকে ডিজিটাল নথিতে পরিণত করার উদ্যোগ নিতে হবে। মামলা দায়ের থেকে রায় ঘোষণা পর্যন্ত সমস্ত কার্যক্রমকে ডিজিটাল পদ্ধতিতে সংরক্ষণের ব্যবস্থা করাও জরুরি।
রাষ্ট্রপতি বলেন, দেশ, জনগণ ও সংবিধানের প্রতি দায়বদ্ধ থেকে বিচারকরা তাদের মেধা ও মনন প্রয়োগের মাধ্যমে আইনের শাসন ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করবেন দেশবাসী তা প্রত্যাশা করে।
এছাড়া অনুষ্ঠানে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠায় সুপ্রিম কোর্ট অগ্রণী ভূমিকা রাখছে জানিয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, দেশে যে বিচারহীনতার সংস্কৃতি শুরু হয়েছিল তা বন্ধ করেছে সর্বোচ্চ আদালত। এছাড়া বিচার ব্যবস্থা ডিজিটালে ২ হাজার ২০০ কোটি টাকা ব্যয়ে ই-জুডিশিয়ারি বাস্তবায়নের পরিকল্পনা কথাও জানান তিনি।
শক্ত আইনি কাঠামো থাকার পরও নারীরা বিচার বঞ্চিত উল্লেখ করে, নারী ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠির ন্যায় বিচার নিশ্চিতে সংশ্লিষ্টদের দৃষ্টিআকর্ষণ করেন স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী।
১৯৭২ সালের ১৮ ডিসেম্বর শুরু হয় উচ্চ আদালতের কার্যক্রম। ২০১৭ সালের ২৫ অক্টোবর সুপ্রিম কোর্টের ফুলকোর্ট সভার সিদ্ধান্তে এ দিন সুপ্রিম কোর্ট দিবস পালন করা হয়।
//ইয়াসিন//