ময়মনসিংহ বিভাগের বেশিরভাগ উপজেলা হাসপাতালে বন্ধ রয়েছে অপারেশন থিয়েটার। প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম থাকলেও দক্ষ চিকিৎসক ও টেকনিশিয়ানের অভাবে অপারেশন থিয়েটার চালু করা যাচ্ছে না। গফরগাঁও থেকে তফাজ্জল হোসেন, মুক্তাগাছা থেকে সোহেল রানা, ভালুকা থেকে জহিরুল ইসলাম জুয়েল, কলমাকান্দা থেকে প্রান্ত সাহা বিভাস, সরিষাবাড়ী থেকে জহুরুল ইসলাম ঠান্ডু জানান-
গফরগাঁও (ময়মনসিংহ) : গফরগাঁও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রসূতিদের অপারেশন থিয়েটারটি দশ বছর ধরে বন্ধ রয়েছে। এ অবস্থায় অকেজো হয়ে পড়ে থাকার যন্ত্রপাতি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ওই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২০০৮ সালে প্রসূতি রোগীদের অপারেশন কার্যক্রম শুরু হয়। মাত্র ২ বছরের মাথায় চিকিৎসক সংকট ও প্রয়োজনীয় আধুনিক যন্ত্রপাতির অভাবে প্রসূতিদের অপারেশন কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়।
মুক্তাগাছা (ময়মনসিংহ) : অ্যানেস্থেশিয়া বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের অভাবে ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অপারেশন থিয়েটার চালু হয়নি একযুগেও। অপারেশন কার্যক্রম বন্ধ থাকায় আধুনিক সব যন্ত্রপাতি প্রায় বিকল হওয়ার পথে। পাশাপাশি নতুন নতুন বিভাগ চালু হলেও পর্যাপ্ত চিকিৎসক না থাকায় চিকিৎসা সেবা নিতে আসা রোগীরা পড়ছে চরম ভোগান্তিতে।
কলমাকান্দা (নেত্রকোনা) : কলমাকান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অজ্ঞানকারী ও গাইনি বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের অভাবে প্রায় এক যুগ ধরে বন্ধ রয়েছে সিজারিয়ান অপারেশন। ফলে এখানে গর্ভবতী মায়েরা প্রসবকালীন জরুরি ও জটিল সময়ে সেবা না পেয়ে চরম ভোগান্তি পোহাচ্ছেন। তবে একযুগ পূর্বে এখানে নিয়মিত ওই অপারেশন হতো।
ভালুকা (ময়মনসিংহ) : ভালুকা উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, ট্রমা সেন্টার ও জরুরি প্রসূতি সেবা বিভাগ (ইউওসি) খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে। তিনটি বিভাগে প্রয়োজনীয় জনবল নেই। আলট্রাসনোগ্রামের মেশিনটি দীর্ঘ দিন ধরে বিকল থাকায় রোগীরা কাঙ্ক্ষিত সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। হাসপাতালে সিজারিয়ান অপারেশন করার সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা থাকলেও জনবলের অভাবে ৩ মাস যাবৎ হাসপাতালে অপারেশন হয়নি।
সরিষাবাড়ী (জামালপুর) : সরিষাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অপারেশন থিয়েটার (ওটি), আল্ট্রা, ইসিজি ও এক্স-রের ব্যবস্থা। হাসপাতালে অভিজ্ঞ গাইনি, সার্জারি ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার না থাকায় অপারেশন থিয়েটার প্রায় একযুগ ধরে তালাবদ্ধ রয়েছে।
//ইয়াসিন//