ডিটেকটিভ ডেস্কঃঃ
কৈলাসে ফিরে গেলেন দেবী দুর্গা। বিজয়া দশমীতে সারা দেশে পূজা-অর্চনার পর নানা আয়োজনে বিসর্জন দেয়া হয় প্রতিমা। করোনা সতর্কতায় এবার বিসর্জন ও দশমীর আয়োজনে ছিল নানা বিধিনিষেধ।
‘বাবার বাড়ি বেড়ানো’ শেষে দেবী দুর্গা এক বছরের জন্য ফিরে গেলেন ‘কৈলাসের শ্বশুরালয়ে’। শেষ হলো বাঙালি হিন্দুর সবচেয়ে বড় পার্বণ শারদীয় দুর্গোৎসবের।
কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দুপুর দেড়টায় বুড়িগঙ্গার ওয়াইজঘাটের বীণাস্মৃতি স্নানঘাটে বনানী জাকের পার্টির হিন্দু ফ্রণ্ট পূজামণ্ডপের প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে রাজধানীতে দেবীকে বিদায় জানানোর আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়।
এ বছর ঢাকা মহানগরে দুইশর বেশি মণ্ডপে পূজার আয়োজন করা হয়। সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রতিমা বিসর্জনের নির্দেশনা কর্তৃপক্ষ আগেই জানিয়ে দেয়।
চট্টগ্রামের বিভিন্ন পূজামণ্ডপে দুর্গতিনাশিনী দেবীকে বিদায় দিতে সকাল থেকেই ভিড় করেন ভক্তরা। পরে পতেঙ্গা সমুদ্রসৈকত, কাট্টলীর রাসমণি ঘাটসহ বিভিন্ন জায়গায় দেয়া হয় প্রতিমা বিসর্জন। তবে করোনা সতর্কতায় বিসর্জনের সময় ভক্তদের উপস্থিতি কম থাকার নির্দেশনা থাকলেও মানা হয়নি তা।
কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতেও দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চলে প্রতিমা বিসর্জন। রাজশাহী নগরীর কুমারপাড়ায় পদ্মার ঘাটে হয় প্রতিমা বিসর্জন। এর আগে মা দুর্গার কাছে আগামী দিনের জন্য আশীর্বাদ চান ভক্তরা। বগুড়ায় অঞ্জলি, দর্পণ বিসর্জন, সিঁদুর দানের পর প্রতিমা বিসর্জন দেয়া হয় করতোয়া নদীতে।
সিলেটে ভোগ প্রদান এবং দর্পণ বিসর্জনের মাধ্যমে সম্পন্ন হয় দশমীবিহিত পূজা। সীমিত পরিসরে হয় সিঁদুর খেলা আর মিষ্টি বিতরণ। পরে সুরমার বিভিন্ন পয়েন্টে দেয়া হয় প্রতিমা বিসর্জন। ঝিনাইদহে বারোয়ারি পূজামণ্ডপ,কালীতলা মন্দিরসহ বিভিন্ন মণ্ডপে পূজা শেষে একে অপরকে সিঁদুর লাগিয়ে দেন নারীরা।
গাজীপুর, নাটোর, জয়পুরহাট, নওগাঁ, খাগড়াছড়ি, দিনাজপুরসহ দেশের সব জেলায় সকাল থেকে ধর্মীয় নানা আচার-অনুষ্ঠান শেষে দেবী মহামায়াকে বিদায় জানানো হয়। তবে সন্ধ্যার মধ্যেই প্রতিমা বিসর্জন সম্পন্ন হয় দেশের বেশির ভাগ জায়গায়।