ডিটেকটিভ ডেস্কঃঃ
সিলেটে বন্দর বাজার পুলিশ ফাঁড়িতে পুলিশি নির্যাতনে নিহত রায়হানের মরদেহ পুনঃময়নাতদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। নিহতের স্ত্রীর দায়ের করা মামলায় তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনের প্রেক্ষিতে বুধবার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এএইচএম মাহফুজুর রহমান এই নির্দেশ দেন।
এদিকে, বন্দর বাজার পুলিশ ফাঁড়ি পরিদর্শন করে আলামত সংগ্রহ করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন-পিবিআইয়ের ক্রাইম সিন ইউনিট। তদন্তে যাদের নাম আসবে তাদের সবাইকেই অন্তর্ভুক্ত করা হবে বলে জানান পিবিআই সিলেটের এসপি।
রায়হানের পরিবারের অভিযোগ, গত শনিবার রাতে টাকা না দেয়ার অভিযোগে বন্দর বাজার পুলিশ ফাঁড়িতে রায়হানকে নির্যাতনে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় সোমবার সকালে অজ্ঞাতনামা কয়েকজনের বিরুদ্ধে কোতয়ালি থানায় হত্যা মামলার করেন রায়হানের স্ত্রী।
এজাহারে রায়হানের স্ত্রী উল্লেখ করেন, আমার স্বামীকে কে বা কারা বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে গিয়ে পুলিশি হেফাজতে রেখে হাত-পায়ে আঘাত করে এবং হাতের নখ উপড়ে ফেলে। পুলিশ ফাঁড়িতে রাতভর নির্যাতনের ফলে আমার স্বামী মৃত্যুবরণ করেন।
এদিকে, এ ঘটনায় পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই আকবর হোসেন ভূঁইয়াসহ চার পুলিশ সদস্যকে সোমবার সাময়িক বরখাস্ত ও তিনজনকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করেছে সিলেট মহানগর পুলিশ (সিএমপি)।
সাময়িক বরখাস্ত চার পুলিশ সদস্য হলেন বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই আকবর হোসেন ভূঁইয়া, কনস্টেবল হারুনুর রশিদ, তৌহিদ মিয়া ও টিটু চন্দ্র দাস। আর প্রত্যাহার তিন পুলিশ সদস্য হলেন এএসআই আশেক এলাহী, এএসআই কুতুব আলী ও কনস্টেবল সজিব হোসেন।