ডিটেকটিভ ডেস্কঃঃ
করোনাভাইরাসের কারণে এ বছরের উচ্চমাধ্যমিক (এইচএসসি) বা সমমানের পরীক্ষা হবে না। আজ বুধবার সেই ঘোষণা জানিয়ে দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। তবে পরীক্ষার্থীর ফলাফল ঠিক করা হবে তাদের জেএসসি ও এসএসসি এবং সমমানের পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে। আগামী ডিসেম্বর এই মূল্যায়নের কাজটি করা হবে। আর এবারের পরীক্ষায় পাস করানো হবে সকল শিক্ষার্থীকেই।
ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশনকে ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর জিয়াউল হক জানান, অবশ্যই সব শিক্ষার্থী পাস করবে। তবে ফলটা কী হবে সেটা নির্ভর করছে তার জেএসসি ও এসএসসির পরীক্ষার ফলাফলের ওপর।
তিনি বলেন, পরীক্ষার্থীরা অতীতের দুইটি পরীক্ষায় যে ফল অর্জন করেছে, সেই দুইটির ফলকে বিবেচনা যদি আমরা করি তাহলে কোনো পরীক্ষার্থী ক্ষতিগ্রস্ত হবে না।
প্রফেসর জিয়াউল হক বলেন, শিক্ষার্থীদের শঙ্কিত হবার কিছু নেই। সকল শিক্ষার্থী আমাদের এই পদ্ধতির মাধ্যমে লাভবান হবে।
এর আগে আজ দুপুরে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ২০২০ সালের এইচএসসি পরীক্ষা সরাসরি গ্রহণ না করে ভিন্ন পদ্ধতিতে মূল্যায়নের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। শিক্ষার্থীরা দুটি পাবলিক পরীক্ষা অতিক্রম করে এসেছে। তাদের জেএসসি ও এসএসসির ফলের গড় অনুযায়ী এইচএসসির ফল নির্ধারণ করা হবে। সেই সঙ্গে এসএসসি পরীক্ষার পর যারা বিভাগ পরিবর্তন করেছে তাদের ফল মূল্যায়নের জন্য পরামর্শক কমিটি গঠন করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
শিক্ষামন্ত্রী জানান, যে পদ্ধতিতে মূল্যায়ণ হচ্ছে সেটি যাতে আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্য হয় সেটিও দেখা হচ্ছে।
জানা যায়, এই মূল্যায়নের কাজটি করার জন্য একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি থাকবে। বিভাগ পরিবর্তনজনিত (যারা বিজ্ঞান থেকে মানবিক বা অন্য বিভাগ পরিবর্তন করেছে) কারণে যে সমস্যাটি হবে তা ঠিক করতেও বিশেষজ্ঞ কমিটি কাজ করবে। এই বিশেষজ্ঞ কমিটি নভেম্বর মাসে তাদের পরামর্শ বা মতামত দেবে। এরপর ডিসেম্বরে এই মূল্যায়নের ফল প্রকাশ করা হবে।
এদিকে, সরকারের এ সিদ্ধান্তে কপাল খুললো গতবার ফেল করা সাড়ে তিন লাখ শিক্ষার্থীর। গতবার এই পরীক্ষায় যারা ফেল করেছেন তাদেরও জেএসসি ও এসএসসি পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে মূল্যায়ন করা হবে।
করোনার কারণে গত ১৮ মার্চ থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ। পয়লা এপ্রিল থেকে শুরু হওয়ার কথা থাকলেও স্থগিত হয়ে যায় এইচএসসি পরীক্ষা। এ বছর ১৩ লাখের বেশি পরীক্ষার্থীর অংশ নেয়ার কথা ছিল।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমানের পরীক্ষায় গড় পাসের হার ছিল ৭৩ দশমিক ৯৩ শতাংশ। ফলাফলের সর্বোচ্চ সূচক জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৪৭ হাজার ২৮৬ জন, যা মোট পরীক্ষার্থীর ৩ দশমিক ৫৪ শতাংশ। গত বছর মোট পরীক্ষার্থী ছিলেন ১৩ লাখ ৩৬ হাজার ৬২৯ জন। এর মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছিলেন ৯ লাখ ৮৮ হাজার ১৭২ জন।