June 30, 2024, 12:13 pm

সংবাদ শিরোনাম
চিলমারীতে আবারও শিক্ষক জিয়াউর রহমানের বিরুদ্ধে ছাত্রী যৌন হয়রানির অভিযোগ দুর্নীতিরোধে দুর্নীতিবাজদের তালিকা প্রণয়ন এবং কমপক্ষে যাবজ্জীবন শাস্তির দাবিতে বেনজীর-মতিউর-এর কুশপুত্তুলিকা দাহ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তানির্ভর মোবাইল যুগে প্রবেশের জন্য বাণিজ্যিক ফাইভজি অ্যাডভান্সের ওপর হুয়াওয়ের গুরুত্বারোপ পটুয়াখালীতে ২৬ হাজার ৮ শত ৮০ পিচ ক্যান নিষিদ্ধ বিয়ার সহ আটক-৩ রংপুর বিভাগের সমবায় কর্মকর্তা ও সমবায়ী কর্তাদের নৈরাজ্যে কোটি কোটি টাকা লোপাট-দিশেহারা সাধারণ সমবায়ী গোয়াইনঘাটে হাফেজ্জী হুজুর রহঃ সেবা ফাউন্ডেশনের ঢেউটিন বিতরণ কুড়িগ্রামের ভুরুমারীতে ভিনদেশী রঙের দুই সন্তানকে নিয়ে দুঃশ্চিন্তায় বাবা মা নরসিংদীর চাঞ্চল্যকর কান্তা হত্যার পলাতক যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামী মামুনকে গ্রেফতার করলো রৌমারী থানা পুলিশ পটুয়াখালীতে ১ হাজার ২’শত কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে ৬ হাজার নারিকেল চারা বিতরন সান্তাহার পৌরসভার ২০২৪-২০২৫ অর্থ বছরের বাজেট ঘোষণা

রাজশাহীতে অপরাধ দমন ও নিয়ন্ত্রণে পূর্ণাঙ্গভাবে চালু হলো পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইউনিট

রুহুল আমীন খন্দকারঃঃ
রাজশাহী মহানগর পুলিশে (আরএমপি) সাইবার ক্রাইম ইউনিট পূর্ণাঙ্গভাবে চালু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সকালে আরএমপি’র পুলিশ কমিশনার (ডিআইজি) আবু কালাম সিদ্দিক আনুষ্ঠানিক ভাবে এই ইউনিটের উদ্বোধন করেন। পরে তিনি এ বিষয়ে গণমাধ্যম কর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি’র বক্তব্যে পুলিশ কমিশনার বলেন, সাইবার ক্রাইম অপরাধ দমন ও নিয়ন্ত্রণে দেশের মধ্যে রাজশাহীতে এটি পুলিশের তৃতীয় ইউনিট। সাইবার ক্রাইম ইউনিট জঙ্গি দমন ও প্রতিরোধ ছাড়াও অপরাধীদের গতিবিধি শনাক্তে অত্যন্ত কার্যকর ভূমিকা পালন করবে।
ইউনিটের আওতায় তথ্যপযুক্তি সংক্রান্ত উন্নতমানের সব সরঞ্জাম ও যন্ত্রপাতি আরএমপি’র সাইবার ইউনিটে সংযোজন করা হয়েছে। উপস্থিত সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে পুলিশ কমিশনার আরও বলেন, দেশে ক্রমবর্ধমান হারে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ছে। সেই সঙ্গে বাড়ছে তথ্যপ্রযুক্তি তথা সাইবার ক্রাইম সংক্রান্ত বিভিন্ন অপরাধের ঘটনাও। সন্ত্রাসীরাও তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে বিভিন্ন অপরাধ সংঘটিত করছে। আরএমপির সাইবার ইউনিট এ ধরনের অপরাধ দমনে কার্যকর ভূমিকা পালন করতে পারবে। একসময় সাইবার ক্রাইম অপরাধের তদন্ত ও অপরাধী শনাক্তে ঢাকায় পুলিশের সাইবার ক্রাইম শাখার সহায়তা নেয়া হতো। তবে এখন থেকে রাজশাহীতে এ ধরনের অপরাধের ঘটনাগুলোর তদন্ত ও অপরাধী শনাক্ত নিজেরাই করতে পারবে পুলিশ।
পুলিশ কমিশনার আবু কালাম সিদ্দিক আরও বলেন, মাদকপ্রবণ রাজশাহী অঞ্চলে মাদকের চোরাচালান ও চলাচল বেশি রয়েছে। এ ইউনিটের মাধ্যমে মাদককারবারিদের পরস্পরের মধ্যে যোগাযোগ, গতিবিধি ও চলাচল নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা সম্ভব হবে। তাদের ফোন রেকর্ডসহ ফোনের রুট সহজেই শনাক্ত করা যাবে। এর বাইরে জঙ্গিপ্রবণ রাজশাহী অঞ্চলে জঙ্গিদের যোগাযোগ অ্যাপসগুলোকেও নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ ও অনুসরণ করবে এ ইউনিট। ফলে জঙ্গি কার্যকলাপের পূর্বাভাষ আগাম জানতে পারবে পুলিশ। সে অনুযায়ী দ্রুত পদক্ষেপ নিতে পারবে।
কমিশনার আরও বলেন, এখন থেকে সাইবার ক্রাইমসংক্রান্ত সব অভিযোগ ও মামলা রাজশাহী মহানগর পুলিশের বিভিন্ন থানায় নথিভুক্ত হবে। সেসব মামলা তদন্ত করবেন সাইবার ক্রাইম ইউনিটের কর্মকর্তারা। অপরাধীকে শনাক্ত করে তারাই অপরাধীকে গ্রেফতার ও তাদের বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারবেন। এতে অভিযোগকারীকে কষ্ট করে ঢাকায় গিয়ে আর তথ্যপ্রযুক্তিসংক্রান্ত অপরাধের অভিযোগ করতে হবে না। প্রতিবেদনের জন্যও আর ঢাকার ওপর দীর্ঘসময় অপেক্ষা করার প্রয়োজন হবে না। আগামী এক মাসের মধ্যে আরএমপি’র সাইবার ক্রাইম ইউনিটের কার্যক্রম দৃশ্যমান হবে বলেও জানান তিনি।
এ ছাড়াও পুলিশ কমিশনার আরও জানান, ফেসবুক ও টুইটারের মতো জনপ্রিয় সামাজিক মাধ্যম ব্যবহারের ক্ষেত্রে কেউ অপরাধে জড়াচ্ছে কিনা অথবা সন্দেহভাজনরা এই দুটি মাধ্যম ব্যবহার করে কোনো সাইবারসহ অন্যান্য অপরাধ করছে কিনা তাও নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করবে আরএমপি’র সাইবার ক্রাইম ইউনিট।
সাইবার ক্রাইম ইউনিট’টি আরএমপির উপ-কমিশনার সদর ও বিশেষ শাখার দায়িত্বপ্রাপ্ত উপ-কমিশনার রাশিদুল হাসান এবং কাশিয়াডাঙ্গা জোনের সহকারি পুলিশ কমিশনার উৎপল কুমার চৌধুরীর নেতৃত্বে পুলিশের প্রশিক্ষিত একটি চৌকস টিম এ ইউনিটের সার্বিক তত্ত্বাবধান করবেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, আরএমপির অতিরিক্ত কমিশনার সুজায়েত ইসলাম, সালমা বেগমসহ আরএমপির বিভিন্ন জোনের উপকমিশনার, অতিরিক্ত উপকমিশনার, সহকারী কমিশনার ও বিভিন্ন থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি)’রা।
Share Button

     এ জাতীয় আরো খবর