October 9, 2024, 4:29 am

সংবাদ শিরোনাম
প্রশাসন সংস্থা ব্রিটিশ আইনের মাধ্যমে শাসন ব্যবস্থা চলতে পারে না-পর্ব ৭ মাতৃভূমির এক ইঞ্চি জমি ছাড় দেওয়া হবে না, পর্ব ৬ স্বাধীন সার্বভৌম মাতৃভূমি রক্ষা করতে হলে প্রতিটি ঘরে সেনাবাহিনী তৈরি করতে হবে(পর্ব-৫) আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজায় শান্তি শৃংখলা বজায় রাখার জন্য সকলকে সজাগ থাকার আহ্বান জামায়াত নেতা মাওলানা মমতাজ উদ্দিনের স্বাধীন সার্বভৌম মাতৃভূমিকে রক্ষা করতে হলে সশস্ত্র ট্রেনিং এর প্রয়োজন। বৈষম্য বিরোধী অভিভাবক ছাত্র শ্রমিক জনতা ঐক্য কমিটির (পর্ব- ৪) ভঙ্গুর রাষ্ট্রকে গড়তে হলে সংস্কার প্রয়োজন=== বৈষম্য বিরোধী অভিভাব ছাত্র শ্রমিক জনতা ঐক্য কেন্দ্রীয় কমিটির ব্যাংক কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত নাটোর পল্লী বিদ্যুত সমিতিতে অদ্ভুতুরে কাণ্ডকীর্তি ভোলা বোরহানউদ্দিনে প্রাথমিক সহকারি শিক্ষকগণের ১০ম গ্রেডের দাবিতে মানববন্ধন শারদীয় দুর্গাপূজায় নিরাপত্তা নিশ্চিত করণের লক্ষে বগুড়ায় বিএনপির মতবিনিময় সভা!

আগস্টে চালু হচ্ছে ৫২টি আন্তঃনগর ট্রেন

ডিটেকটিভ ডেস্ক ::

স্বাস্থ্যবিধিসহ রেলওয়ের নিজস্ব ১৯টি নির্দেশনা মেনে চলতি মাসের (আগস্ট) মধ্যে আরও ৬৬টি আন্তঃনগর এক্সপ্রেস ট্রেন চালু করতে যাচ্ছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। ১৬ আগস্ট ২টি কমিউটারসহ ২৪টি আন্তঃনগর ট্রেন চালু করা হবে। বাকি ৪২টি ট্রেন ৩১ আগস্টের মধ্যে চালু করবে।

রেলওয়েতে বর্তমানে ৫০ জোড়া (১০০) টি আন্তঃনগর ট্রেন রয়েছে। করোনা পরিস্থিতির কারণে গত ২৪ মার্চ যাত্রীবাহী সকল ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়। ওই সময় নামমাত্র কিছু মালবাহী ট্রেন চলাচল চালু রাখা হয়- যা এখনও চলছে।

রেলপথ মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় গত ৩১ মে আট জোড়া আন্তঃনগর ট্রেন চালু হয়। ৩ জুন আরও ১১ জোড়া আন্তঃনগর ট্রেন চালু করে রেল। দুটি পর্বে চালু ১৯ জোড়া ট্রেনের মধ্যে যাত্রীর অভাবেই জোড়া ট্রেন বন্ধ করে দেয়া হয়। এখন মোট ১৭ জোড়া, অর্থাৎ ৩৪টি ট্রেন চলাচল করছে।

এ বিষয়ে রোববার সন্ধ্যায় রেলওয়ে মহাপরিচালক মো. শামছুজ্জামান  জানান, বর্তমানে ১৭ জোড়া আন্তঃনগর ট্রেন চলাচল করছে। স্বাস্থ্যবিধিসহ রেলওয়ের ১৯টি নির্দেশনা মেনে ট্রেন চালানো হচ্ছে। রোববার স্যাারের (রেলপথ মন্ত্রীর) সঙ্গে বিশেষ বৈঠকের মাধ্য সিদ্ধান্ত নেয়া হয়- আগামী ১৬ আগস্ট ২টি কমিউটার ট্রেন এবং ২৪টি আন্তঃনগর ট্রেন চালু করার। এছাড়াও সিদ্ধান্ত হয় যে, আগস্ট মাসের মধ্যেই আরও ৫২টি আন্তঃনগর ট্রেন চালু করা হবে। বর্তমানে রেলে ৫০ জোড়া অর্থাৎ ১০০টি আন্তঃনগর ট্রেন রয়েছে। এসব ট্রেনের টিকিট শতভাগ অনলাইনে বিক্রি হচ্ছে। এতে করে রেলে কোনো টিকিট কাউন্টারই খোলা রাখতে হচ্ছে না। বর্তমানে সকল স্টেশনে থাকা টিকিট কাউন্টার বন্ধ রাখা হয়েছে।

মো. শামছুজ্জামান আরও বলেন, আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি আগস্ট মাসের মধ্যেই আরও ৩/৪টি কমিউটার ট্রেন চালু করবো। তবে ঢাকা নারায়নগঞ্জ লাইনে চলা কমিউটার ট্রেন চালু করা সম্ভব হবে না। এ লাইনে কিছুতেই স্বাস্থ্যবিধি মেনে এই মুহূর্তে ট্রেন চালানো যাবে না। তবে পরিস্থিতি বিবেচনা করে পর্যাক্রমে সকল মেইল, কমিউটার ও লোকাল ট্রেন চালুর উদ্যোগ নেয়া হবে। যেহেতু বর্তমানে সকল আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট অনলাইনে দেয়া হচ্ছে- সেহেতু মেইল-কমিউটার ও লোকাল ট্রেনের টিকিট বিক্রিয় কোন পদ্ধতিতে হবে- তা নিয়ে আলোচনা চলছে।

এটি নিশ্চয়ই চ্যালেঞ্জের বিষয় জানিয়ে তিনি বলেন, ইতিমধ্যে স্বাস্থ্যবিধি ও রেলওয়ের নির্দেশনা মেনে ট্রেন চালাতে আমরা সক্ষম হয়েছি। কোনো অবস্থাতেই বিনা টিকিটি স্টেশনেই প্রবেশ করতে পারছে না। বর্তমানে চলা ট্রেনগুলোতে ৫০ শতাংশ টিকিট বিক্রি হচ্ছে- সামনে যেসব ট্রেনগুলো চালু হবে- সেগুলো একই নিয়মে চলবে। সব ট্রেনেই ৫০ শতাংশ টিকিট বিক্রি করা হবে। অর্থাৎ, ট্রেনের অর্ধেক আসন ফাঁকা রেখেই টিকিট বিক্রি করা হবে।

তিনি বলেন, করোনার কারণে বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশন বন্ধ রয়েছে। করোনার আগে যে কোনো ট্রেন বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশনে বিরতি দেয়া হতো। তবে বিমানবন্দও স্টেশনসহ করোনার কারণে বন্ধ রাখা স্টেশনগুলো ২৫ আগস্টের পর চালু করে দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।

 

এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রেলওয়ে অপারেশন বিভাগের এক কর্মকর্তা জানান, করোনার এ পরিস্থিতিতে কমলাপুরসহ চট্টগ্রাম, সিলেট, রাজশাহীসহ কয়েকটি স্টেশনে নিরাপত্তা বেষ্টনি রয়েছে। এসব স্টেশনে অযাচিত মানুষ প্রবেশ করতে গেলে-সহজে প্রবেশ সম্ভব নয়। কিন্তু খোদ বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশনসহ বাকি স্টেশনগুলোতে খুব সহজেই টিকিটবিহীন অযাচিত মানুষের প্রবেশ নিয়ন্ত্রণের সুযোগ রয়েছে। অধিকাংশ স্টেশনই উম্মুক্ত। এজন্য করোনা পরিস্থিতির পর এসব স্টেশনে অযাচিত মানুষের যাতায়াত নিয়ন্ত্রণে বেড়া দেওয়া সম্পন্ন করতে না পারলে অযাচিত মানুষ ঠেকানো কঠিন হয়ে পড়বে। তবে আগামী ২০ আগস্টের মধ্যে সকল স্টেশনে বেড়া- বেষ্টনি করার নির্দেশ দিয়েছেন রেলপথ মন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন।

ওই কর্মকতা বলেন, লোকাল, মেইল ও কমিউটার ট্রেন চালু জরুরি। বর্তমানে যাত্রীবাহী ও মালবাহী মিলিয়ে মোট ৩৫৫টি ট্রেন রয়েছে। এর মধ্যে লোকাল, মেইল ও কমিউটার ট্রেনই বেশি। লোকাল ও কমিউটার ট্রেন চালু না করলে যাত্রীসংখ্যা বাড়বে না।

অপারেশন বিভাগের অপর এক কর্মকর্তা বলেন, ইতিমধ্যে যাত্রীর সংখ্যা কম হওয়ায় ২টি আন্তঃনগর ট্রেন বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।

ওই কর্মকর্তার দাবি, ঢাকার পাশের ৪টি স্টেশন বন্ধ রেখে, অর্ধেক আসন ফাঁকা রেখে এবং শুধু অনলাইনে টিকিট বিক্রি করে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক করা যাবে না। কারণ, এসব কড়াকড়ির কারণে যে ট্রেনগুলো এখন চলছে, সেগুলোর গড়ে ৭৫ শতাংশ আসন ফাঁকা থাকছে। স্বাস্থ্যবিধির জন্য অর্ধেক আসনের টিকিট বিক্রি বন্ধ রাখা হচ্ছে। আরও প্রায় ২০ শতাংশ আসনে যাত্রী পাওয়া যাচ্ছে না। সব মিলিয়ে ২৫/৩০ শতাংশ আসন পূর্ণ করে ট্রেন চালাতে হচ্ছে। কোনো কোনো সময় কিছু ট্রেন মাত্র ২০/২৫ শতাংশ যাত্রী নিয়ে চলছে।

 

Share Button

     এ জাতীয় আরো খবর