জিসান আহমেদ জুটন,সিলেট থেকেঃ
যমুনা গ্রুপ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলামের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের সাবেক চিফ হুইপ বীর মুক্তিযোদ্ধা উপাধ্যক্ষ ড. মোঃ আব্দুস শহীদ এমপি।উপাধ্যক্ষ ড. মোঃ আব্দুস শহীদ এমপি এক শোকবার্তায় মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।তিনি স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে বলেন, দেশের এই বৃহৎ শিল্প উদ্যোক্তার সহিত তার গভীর ও আন্তরিক সম্পর্ক ছিল।তিনি দেশের অর্থনীতি ও মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে যে অবদান রেখে গেছেন তা মানুষ কোনোদিন ভুলবে না।১৩ জুলাই ২০২০ ইং তারিখ সোমবার বিকালে এভার কেয়ার (সাবেক এপোলো) হাসপাতালে নুরুল ইসলাম চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন।মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৪ বছর।তিনি স্ত্রী, এক ছেলে ও তিন মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।তার মৃত্যুতে দেশের শিল্প খাতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।ব্যবসায়ীরা বলছেন, বড় অসময় চলে গেলেন তিনি।করোনার সংকট কাটিয়ে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও আধুনিক বাংলাদেশ বিনির্মাণে তার মতো উদ্যোক্তার খুবই দরকার ছিল। এ সময় তার চলে যাওয়া দেশের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি।গত ১৪ জুন নুরুল ইসলামকে এভার কেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।তার কিডনি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল।বিশিষ্ট এই শিল্পোদ্যোক্তার চিকিৎসায় এভার কেয়ারের ডা. ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মাহবুদের নেতৃত্ব ১০ সদস্যবিশিষ্ট মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়। এর বাইরে চীনের ৪ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক এবং সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালের দুই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক টেলিকন ফারেন্সের মাধ্যমে পরামর্শ দিয়েছেন।তার স্ত্রী সাবেক মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বর্তমান জাতীয় সংসদের এমপি সালমা ইসলাম।ছেলে শামীম ইসলাম যমুনা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, তার তিন মেয়ে- সোনিয়া ইসলাম, মনিকা ইসলাম এবং রোজালিন ইসলাম যমুনা গ্রুপের পরিচালক।
প্রাইভেট ডিটেকটিভ/১৪ জুলাই ২০২০/ইকবাল