মশাহিদ আহমদ, মৌলভীবাজার
কমলগঞ্জ উপজেলার ৩নং মুন্সিবাজার ইউপির বনবিষ্ণুপুর গ্রামের লোকজনদের শতবছর পুরোনো রাস্থা কেটে গভীর গর্ত নির্মান করেছেন একই এলাকার ময়না মিয়া, ফজই মিয়া, জয়নাল মিয়া ও জালাল মিয়াগংরা। ফলে স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীরা নিয়মিত বিদ্যালয়ে আসা যাওয়া করতে পারছেনা। প্রায় গৃহবন্দি হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন স্থানীয় লোকজন। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীরা প্রতিকার প্রার্থনা করে কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ ( স্বারক নং- ৫৯৩, তারিখ ঃ ২৮/ ০৯/ ২০১৭ইং) দায়ের করেছেন। কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আগামী ১১ অক্টোবর উভয় পক্ষকে তার কার্যালয়ে হাজির হওয়ার জন্য নোটিশ প্রদান করেছেন। স্থানীয় ভুক্তভোগী তোতা মিয়া, নুর মিয়া, আলতা মিয়া, আজাদ মিয়া ও বাবুল মিয়ার লিখিত অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে- বনবিষ্ণুপুর মৌজার জেল নং- ৩৭, এসএ দাগনং- ১১৩ ও ১১৭, আরএস ১৭৫ ও ১৮৩ দাগে অবস্থিত বাড়ীর দক্ষিন দিকে যৌত্র রাস্তাটি পৃর্ব পুরুষের আমল থেকে সকলে চলাফেরা করে আসতেছেন। ময়না মিয়াগংরা শতবছর পুরোনো ও একমাত্র চলাচলের রাস্থাটি কেটে পুকুর নির্মান কাজ শুরু করলে স্থানীয় লোকজন তাদেরকে বাঁধা প্রদান করেন। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানসহ গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সমন্নয়ে বিষয়টি কয়েক দপায় শালিশি বৈঠকের মাধ্যমে মীমাংসা করার উদ্যাগ গ্রহন করলেও তা প্রত্যাখ্যান করেন ময়না মিয়াগংরা। এ ব্যপারে জানতে চাইলে ময়না মিয়া শতবছর পুরোনো রাস্থা কেটে গর্ত নির্মান করার কতা স্বীকার করে বলেন- তোতা মিয়াগংদের সাথে আমার জমি সংক্রান্ত বিরুদ রয়েছে। তাই আমি রাস্থা কেটে বন্ধ করে দিয়েছি।