মাশরাফির চোখ ত্রিদেশীয় টুর্নামেন্টে শিরোপায়
ডিটেকটিভ স্পোর্টস ডেস্ক
মাশরাফি বিন মুর্তজা অনুশীলনে থাকা মানেই বাড়তি প্রাণের স্পন্দন। ছুটি শেষে মঙ্গলবারই প্রস্তুতি ক্যাম্পে যোগ দিয়েছেন ওয়ানডে অধিনায়ক। অনুশীলনও হয়ে উঠেছে আরও প্রাণবন্ত। সঙ্গে যোগ হলো একটি নতুন আলোড়ন। কেউ এগিয়ে গিয়ে মাশরাফিকে বলছেন, “কোচ, অভিনন্দন”, কেউ বলছেন, “কোচ, খবর কি?”, কেউ বা আবার জিজ্ঞেস করছেন, “আপনি কি হেড কোচ নাকি বোলিং?”
আগের দিন থাইল্যান্ড থেকে ফেরার পরই অধিনায়কের তলব পড়েছিল বিসিবি প্রধানের অফিসে। সঙ্গে টেস্ট অধিনায়ক সাকিব আল হাসানও। পরে সংবাদ সম্মেলনে বোর্ড প্রধান জানিয়ে দেন, সহকারি কোচ রিচার্ড হ্যালসল ও টেকনিক্যাল ডিরেক্টর হিসেবে খালেদ মাহমুদ থাকলেও এবার কোচ আসলে সাকিব ও মাশরাফি!
মজা করে বলা সবার ‘কোচ’ সম্বোধন মাশরাফি ফিরিয়ে দিচ্ছিলেন স্বভাসুলভ মজাতেই। তবে মুল সুরটি ভুললেন না। বোর্ড প্রধান দুই অধিনায়ককে ‘কোচ’ বলে দিয়েছেন আসলে দায়িত্বের পরিধি বোঝাতে। সেটি জানা আছে মাশরাফিরও। যদিও সেটিকে খুব আলাদা করে দেখতে নারাজ অধিনায়ক।
“আমার মনে হয় না, আলাদা কিছু করতে হবে। উনি যেটা বুঝিয়েছেন, সেটা হলো সিনিয়র খেলোয়াড়দের দায়িত্বের বিষয়টা। যেটা সব সময়ই থাকে। আলাদা কিছু করতে গেলে আরো সমস্যার উদ্ভব হতে পারে। আমার কাছে মনে হয় যেভাবে চলছিল, সেটাই ঠিক আছে।”
“দক্ষিণ আফ্রিকা সফর আমাদের ভালো যায়নি। বাজে সময় আসতেই পারে। এখন আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ সেটা মাথায় না রেখে খেলা। সেদিকেই মন দেওয়া উচিত আমাদের।”
আগের দিন তামিম ইকবাল বলেছেন, আসছে ত্রিদেশীয় টুর্নামেন্টে তিনি নিজেদেরকেই মনে করছেন ফেবারিট। মাশরাফি ফেবারিট ঘোষণা না করলেও জানিয়ে দিলেন লক্ষ্য।
“অবশ্যই জেতার পরিকল্পনা থাকবে। ত্রিদেশীয় সিরিজটি গুরুত্বপূর্ণ। দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ফেরার পর সবাই হতাশ। আমরা যদি এটা জিততে পারি, তাহলে পরিস্থিতির মোড় ঘুরে যেতে পারে।”
দক্ষিণ আফ্রিকায় যেভাবে খেলেছে বাংলাদেশ, তাতে আশার জায়গা খুব বেশি নেই। তবে ওই সফরের পারফরম্যান্সের সঙ্গে ঘরের মাঠের বাংলাদেশকে মেলাতে চান না অধিনায়ক।
“আমার মনে হয় না কঠিন কিছু হবে। বিশেষ করে ওয়ানডেতে। একটা সিরিজ দিয়ে সব কিছু বিবেচনা করা যায় না। আমাদের মূল কাজ হবে ঠিকঠাক কাজগুলো করা। দেশে ও বাইরের সিরিজের মধ্যে আকাশপাতাল ব্যবধান থাকে। ঘরের মাঠের সিরিজ আমরা জিততে চাই।”