চীন আমেরিকাতেই তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ!
ডিটেকটিভ আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আমেরিকা এবং চীনের মধ্যে বর্তমানে যে বাণিজ্য যুদ্ধ চলছে তার আশু সমাধান না করতে পারলে আন্তর্জাতিক সামরিক সংঘাতের সৃষ্টি হতে পারে, আর এ থেকেই শুরু হতে পারে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ। এমন আশঙ্কার করেছেন সাবেক মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেনরি কিসিঞ্জার। চীনের রাজধানী বেইজিংয়ে ব্লুমবার্গ নিউ ইকোনমি ফোরামে দেয়া বক্তৃতায় এ কথা বলেন ৯৬ বছর বয়সী সাবেক এ কূটনীতিক। খবর এএফপি।
ওয়াশিংটন ও বেইজিংয়ের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ককে স্বাভাবিক করার মিশনে নিয়ে মাঠে নামা কিসিঞ্জার বলেন, বাণিজ্য নিয়ে এ দ্বন্দ্ব অব্যাহতভাবে চলতে থাকলে এর ফলাফল ইউরোপের চেয়েও খারাপ হতে পারে। ‘খুব ছোট্ট কারণে’ প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয়েছিল বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, এটা মাথায় রাখতে হবে যে আধুনিক বিশ্বের সমস্ত অস্ত্র আগের চেয়ে অনেক বেশি শক্তিশালী।
প্রায় দেড় বছর ধরে চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বানিজ্যযুদ্ধ চলছে। এ সমস্যার সমাধান খুঁজে একটি চুক্তিতে পৌঁছাতে উভয় পক্ষই ধারাবাহিক সমঝোতা বৈঠকে বসেছে, তবে ফলপ্রসূ হয়নি। পাশাপাশি কূটনৈতিক উত্তেজনাও চরমে পৌঁছেছে। দক্ষিণ চীন সাগরে যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনীর বিতর্কিত অপারেশনে ওয়াশিংটনের কড়া সমালোচনা করেছে বেইজিং। অন্যদিকে উইঘুর মুসলিমদের গণহারে বন্দি করার জন্য চীনের কড়া সমালোচনা করে আসছে যুক্তরাষ্ট্র। আবার সম্প্রতি হংকংয়ে গণতন্ত্রপন্থীদের বিক্ষোভকে সমর্থন দিয়েছে মার্কিন কংগ্রেস।
কিসিঞ্জার বলেন, চীন বিশ্বঅর্থনীতিতে একটি শক্তিশালী দেশ; আমেরিকাও তাই। দুটি দেশই যদি বিশ্বে চলমান প্রতিটি ইস্যুতে একে অন্যের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয় তাহলে মানবজাতির জন্য তা খুবই বিপদজনক হতে পারে। সারা বিশ্বের ব্যাপারে এ দুই দেশের দায়িত্ব অনেক বেশি এবং এ দায়িত্ব পালনে চীন এবং আমেরিকা বাধ্য।
এসময় তিনি বলেন, ‘শীতল যুদ্ধের’ সময় সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের এবং আমেরিকার মধ্যেকার সম্পর্কের যে অবনতি হয়েছিল চীনের সঙ্গে তা করা ঠিক হবে না। তবে তখন দেশ দুটির মধ্যেকার সম্পর্কে এমন টানাপোড়েন কমানোর জন্য সংলাপের কোনো পদক্ষেপ নেয়া হয়নি বলেও জানান কিসিঞ্জার।