খাদিজার ওপর হামলার এক বছর
নির্যাতিত নারীদের জন্য কাজ করতে চাই: খাদিজা
সিলেট প্রতিনিধি
সিলেটে এক বছর আগে নরপশু বদরুলের চাপাতির কোপে আহত খাদিজা বেগম নার্গিস এখন কিছুটা সুস্থ। কথা বলেন নিচু স্বরে। নিজে নিজে হাঁটার চেষ্টা করেও ব্যর্থ, হাঁটতে হয় অন্যের সহায়তা নিয়ে। মানসিক অবস্থাও বিপর্যস্থ।
সেই বিভীষিকাময় হামলার কথা এখনও ভুলতে পারেননি খাদিজা। তবুও থেমে থাকতে চান না তিনি। আবারও শুরু করতে চান পড়াশোনা। দাঁড়াতে চান নির্যাতিত নারীদের পাশে। তার ওপর হামলার এক বছর পর তিনি কথা বলেন গণমাধ্যমের সঙ্গে।
খাদিজা বলেন, ‘আমার মাথায় মাঝে-মধ্যেই প্রচন্ড ব্যথা হয়। বা হাতে কিছু ধরতে পারি না। অন্যের সহায়তা নিয়ে একটু হাঁটলেও পায়ে ব্যথা হয়। সেজন্য আমি খুব কষ্টে আছি।’
আরও একটু সুস্থ হলেই পড়াশোনা শুরু করার ইচ্ছার কথা জানিয়ে খাদিজা বলেন,কলেজের শিক্ষকদের সঙ্গে তার কথা হয়েছে- তারা কলেজে যেতে বলেছেন।
খাদিজাও চান পড়ালেখা শেষ করে ব্যাংকার হতে। পাশাপাশি সমাজের নির্যাতিত নারীদের জন্য কাজ করতে চান।
নির্যাতিত নারীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘ভয় পেলে চলবে না প্রতিবাদী হতে হবে, তার মতো আর কোনো নারীর ওপর যেন এমন নির্যাতন না হয়।’
এদিকে হামলার বিচারে বদরুলের যাবজ্জীবন কারাদন্ড হলেও স্বস্থিতে নেই খাদিজার পরিবারের সদস্যরা। খাদিজার চাচা আবদুল কুদ্দুস জানান, এখনও নানাভাবে হুমকি দেয়া হচ্ছে তাদের।
তিনি জানান, স্কয়ার হাসপাতালের চিকিৎসকরা বলেছেন খাদিজার হাতে আরও একটি অস্ত্রোপচার লাগবে। এজন্য ৫ লাখ টাকা লাগবে। তারা ওই টাকা যোগাড় করতে পারছেন না। তিনি আশা করেন টাকা যোগাড় হলেই অস্ত্রোপচার করাবেন।
সাভার সিআরপিতে চিকিৎসা নিয়ে কয়েক মাস আগে বাড়ি ফিরেছেন খাদিজা। এখনও সিলেট সিআরপি সেন্টারে নিয়মিত থেরাপি নিতে হচ্ছে তাকে।