অযোধ্যা মামলার শুনানি: আইনজীবীর ঔদ্ধত্যে বিরক্ত প্রধান বিচারপতি
ডিটেকটিভ আন্তর্জাতিক ডেস্ক
বহু বছরের পুরনো বিতর্কিত অযোধ্য মামলার শুনানির আজ বুধবার ছিল শেষ দিন। কিন্তু ভারতের সুপ্রিম কোর্টে শুনানিকালে এক আইনজীবীর ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণে আদালত থেকে বেরিয়ে যাওয়ার হুমকি দেন দেশটির প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ।
তবে টানা ৪০ দিনে শুনানি শেষ করা হলেও বহু প্রতীক্ষিত এই মামলার রায় কবে দেওয়া হবে, তা নির্দিষ্ট করে জানানো হয়নি। প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ আগামী ১৭ নভেম্বর অবসরে যাচ্ছেন। তার আগেই রায় দেওয়া হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
ভারতীয় গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, আজ বুধবার শুনানির সময় আদালত কক্ষে ধুন্ধুমার বেধে যায় মুসলিম ওয়াকফ বোর্ডের আইনজীবী রাজীব ধবনের সঙ্গে হিন্দু মহাসভার আইনজীবী বিকাশ সিংয়ের। শুনানির শেষ দিনে কুনাল কিশোর নামের এক লেখকের একটি বই বিকাশ সিং সাক্ষ্য হিসেবে পেশ করতে চান। সেই বইয়ে একটা মানচিত্রকে রামচন্দ্রের জন্মভূমি বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। বিকাশ সিং ওই মানচিত্রকে সাক্ষ্য হিসেবে গ্রাহ্য করার দাবি জানান।
তবে নতুন এই সাক্ষ্য পেশের বিরোধিতা করে রাজীব ধবন বলেন, সুপ্রিম কোর্টের উচিত হবে না নতুন সাক্ষ্য হিসেবে এটি গ্রহণ করা। এই ধরনের বইয়ের ওপর সর্বোচ্চ আদালতের নির্ভর করা সাজে না।
তিনি বলেন, ‘মাননীয় আদালত অনুমতি দিলে আমি তা ছিঁড়ে ফেলতে পারি।’
এ কথা শুনে বিরক্ত প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘আপনারা যা খুশি, তা–ই করছেন। যা ইচ্ছে তা–ই করুন।’
এই মন্তব্যের পর রাজীব বইটিতে থাকা সেই মানচিত্র ছিঁড়ে ফেললে প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ আদালত কক্ষ ত্যাগ করার হুমকি দেন।
খবরে বলা হয়েছে, আজ শুনানির শুরুতেই হিন্দু মহাসভার পক্ষে সওয়ালের জন্য বাড়তি একটা দিন সময় চাওয়া হয়। প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চ তা নাকচ করে দেন।
রঞ্জন গগৈ বলেন, বাড়তি সময় আর কাউকেই দেওয়া হবে না। সব পক্ষকে আগেই বলা হয়েছে, প্রত্যেকের জন্য বরাদ্দ সময়ের মধ্যেই বক্তব্য শেষ করতে হবে।
প্রধান বিচারপতি জানান, বুধবার বিকেল ঠিক ৫টায় এই মামলার শুনানি শেষ হবে। অনেক হয়েছে। আর নয়।
বিকেল ৫টার সামান্য আগে শুনানি শেষ হলে বেঞ্চ নির্দেশ দেন, বিবদমান পক্ষের আরও কিছু বলার থাকলে তা তিন দিনের মধ্যে জমা দিতে হবে।