কাশ্মির নিয়ে এবার সরব আরেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী
ডিটেকটিভ আন্তর্জাতিক ডেস্ক
ভারত অধিকৃত কাশ্মির ইস্যুতে এবার সরব হলেন যুক্তরাষ্ট্রের আসন্ন নির্বাচনে ডেমোক্র্যাট পার্টির সম্ভাব্য প্রেসিডেন্ট প্রার্থী কামালা হ্যারিস। স্পর্শকাতর এই ইস্যুতে এ নিয়ে ডেমোক্র্যাট পার্টির তিনজন সম্ভাব্য প্রেসিডেন্ট প্রার্থী কথা বললেন।
কাশ্মির ইস্যুতে সম্প্রতি এক বিবৃতিতে কামালা বলেছেন, “আমরা কাশ্মির পরিস্থিতিতে নজর রাখছি। প্রয়োজনে আমরা হস্তক্ষেপ করব।”
কামালার মন্তব্য বেশ গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে। কেননা ক্যালিফোর্নিয়ার এই সিনেটর মায়ের দিক থেকে ভারতীয় বংশোদ্ভূত। তার মা ব্রেস্ট ক্যানসার বিজ্ঞানী শ্যামলা গোপালনের জন্মস্থান ছিল ভারতের তামিলনাড়ুতে।
কিছুদিন আগেই কাশ্মিরের অব্যাহত যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন অবস্থা ও অন্যান্য বিধিনিষেধের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন ২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আরেক সম্ভাব্য প্রার্থী ডেমোক্রেটিক সিনেটর এলিজাবেথ ওয়ারেন।
এক টুইটে তিনি লিখেছিলেন, ‘ভারত-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক আমাদের পারস্পরিক গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের মধ্যে নিহিত।…কাশ্মিরি জনগণের অধিকারের প্রতি অবশ্যই সম্মান প্রদর্শন করতে হবে।’
তারও প্রায় মাসখানেক আগে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হওয়ার লড়াইয়ে থাকা আরেক ডেমোক্রেটিক নেতা বার্নি স্যান্ডার্সও কাশ্মির ইস্যুতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন। তার অভিযোগ, নিরাপত্তার নামে সেখানে ‘দমন-পীড়ন’ চালাচ্ছে ভারত সরকার। এর বিরুদ্ধে মার্কিন প্রশাসনকে জোরালো প্রতিবাদের আহ্বানও জানান তিনি।
উল্লেখ্য, গত ৫ আগস্ট সংবিধানের ৩৭০ এবং ৩৫-এ অনুচ্ছেদ বাতিল করে কাশ্মিরের বিশেষ সাংবিধানিক মর্যাদা ও রাজ্যের মর্যাদা কেড়ে নেয় বিজেপি সরকার। একইসাথে জম্মু-কাশ্মিরকে ভেঙে জম্মু-কাশ্মির ও লাদাখ নামে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পুনর্গঠন করা হয়। এর পরই সেখানে নজিরবিহীন কারফিউ জারি করা হয়। গ্রেপ্তার করা হয় প্রায় সব রাজনৈতিক নেতোদের। বন্ধ করে দেওয়া হয় ল্যান্ডফোন, মোবাইল ফোন এবং ইন্টারনেট সেবা। বন্ধ রয়েছে সেখানকার সব সংবাদমাধ্যমও। ফলে প্রায় দুই মাস ধরে সারা বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে কাশ্মিরের জনসাধারণ।