July 27, 2024, 10:22 am

সংবাদ শিরোনাম
বোরহানউদ্দিন থানা পুলিশের অভিযানে ১০ হাজার ইয়াবাসহ যুবক আটক পার্বতীপুরে নব-নির্বাচিত উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও ভাই চেয়ারম্যানদ্বয়ের সংবর্ধনা রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকা হতে জাল সার্টিফিকেট ও জাল সার্টিফিকেট তৈরীর সরঞ্জামাদিসহ ০২ জন’কে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০ র‌্যাব-১০ এর অভিযানে মুন্সীগঞ্জের লৌহজং এলাকা হতে ইয়াবাসহ ০১ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার কক্সবাজারে ভারী বৃষ্টিপাত পাহাড় ধ্বসে নারী-শিশু নিহত পীরগঞ্জে মসজিদের দোহাই সরকারি খাস জমির গাছ কর্তন পার্বতীপুরে বীর মুক্তিযোদ্ধা সিদ্দিক হোসেন এর রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন দারুসসালাম লাফনাউট মাদ্রাসার দস্তারবন্দী নিবন্ধন ফরম বিতরণ শুরু পীরগঞ্জে নিখোঁজের একদিন পর শিশু’র লাশ উদ্ধার মাদক মামলায় ১৫ বছরের সাজাপ্রাপ্ত গ্রেফতারী পরোয়ানাভুক্ত দীর্ঘদিন পলাতক আসামী আলাউদ্দিন’কে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০

একটি মাদক ব্যবসায়ীর বাড়ি

ফেনি প্রতিনিধিঃ

একটি মাদক ব্যবসায়ীর বাড়ি।

নিরুৎসাহিত ও মাদক বিক্রেতাকে সামাজিকভাবে হেয় করার জন্য অন্যরকম উদ্যোগ নিয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) জায়লস্কর ৪ ব্যাটালিয়ন। মাদক ব্যবসায়ীদের চিহ্নিত করে তাদের বাড়ির সামনে টাঙানো হচ্ছে ‘ইয়াবা ব্যবসায়ী’ এবং ‘একটি মাদক ব্যবসায়ীর বাড়ি’ লেখা ব্যানার। এমন খবরে ওই সব বাড়িতে ভিড় জমছে উৎসুখ জনতার।বিজিবির এ পদক্ষেপকে সাধুবাদ জানিয়েছেন এলাকাবাসী। আয়তনের দিক থেকে ছোট জেলা একটি ফেনী। কিন্তু মাদকের ভয়াবহতা ব্যাপক। জেলার ছাগলনাইয়া, ফুলগাজী, পরশুরাম ও সদর উপজেলায় রয়েছে ভারতীয় সীমান্ত। তাই অবাধে ঢুকছে ভারতীয় বোতলজাত মদ, বাংলা মদ, বিয়ার, গাঁজা ও বিভিন্ন প্রকার নেশা ও যৌন উত্তেজক ট্যাবলেট। অন্যদিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম হাইওয়ে হয়ে খুব সহজেই ঢুকছে ইয়াবা।বিজিবি সূত্র জানায়, ১৮ সেপ্টেম্বর পরশুরামের দুবলারচাদ থেকে ২০টি ইয়াবা ট্যাবলেট এবং তিন বোতল ভারতীয় ফেনসিডিলসহ স্থানীয় বিজিবির সীমান্ত চৌকির (বিওপি) টহল দল মাদক বিক্রেতা জসিম উদ্দিনকে (৩৫) গ্রেপ্তার করে। তার বাড়ি পরশুরাম উপজেলার বাউরখুমা গ্রামে। ফেনীর ৪ বিজিবি ব্যাটালিয়নের পক্ষ থেকে শুক্রবার জসিমের বাড়ির সামনে ব্যানার টাঙানো হয়। ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. নাহিদুজ্জামান জানান, এ ধরনের অভিযান আগামীতেও অব্যাহত থাকবে।বাউরখুমা গ্রামের স্কুলশিক্ষক লোকমান হোসেন জানান, ফেনীতে মাদকের বিস্তার ভয়াবহ। সীমান্ত অরক্ষিত থাকায় এর অন্যতম কারণ। মাদকের ছোঁবলে মানুষ খুন, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে হামলা, চুরি, ডাকাতিসহ নানান অপরাধে জড়াচ্ছেন যুবকরা। মাদক বহনকারীদের একটি অংশ আইনের আওতায় এলেও ধরাছোঁয়ার বাইরে গড়ফাদার কিংবা মাদকসম্রাটরা। ফেনীতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত মাদক ব্যবসায়ীর সংখ্যা ৮১ জন।জানা গেছে, মাদকের নিষ্ঠুরতায় পরশুরামে ছয় বছরের স্কুলছাত্রী লিজা আক্তার খুন হয়। অভিযানে গিয়ে মাদক ব্যবসায়ীদের হাতে খুন হয়েছেন আনসার সদস্য নওশের আলী। আহত হন ফেনীর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সোহেল রানা, অর্ধশতাধিক পুলিশ, স্কুলছাত্র ও বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ। মাদকের ভয়াবহতা এখন আর গুটিকয়েক মানুষের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। ছড়িয়ে গেছে স্কুল-কলেজ এমনকি মাদ্রাসাছাত্রদের হাতে। গত বছর জেলা পুলিশ প্রশাসনে সর্বোচ্চ মাদকের মামলা রেকর্ড হয়েছে আটশর অধিক। অন্যদিকে বিজিবি গত এক বছরে প্রায় ৪ কোটি টাকার বিভিন্ন প্রকারের মাদকদ্রব্য জব্দ করেছে। র‌্যাব-৭ ফেনী ক্যাম্প আটক করেছে ৩৮ কোটি ৮৪ লাখ টাকার মাদকদ্রব্য। এ ছাড়া মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে জেলা চোরাচালানবিরোধী টাস্কফোর্স ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর।স্থানীয় ব্যবসায়ী হারুনুর রশীদ জানান, মাদকসম্রাটদের গ্রেপ্তার করতে পারছে না আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। শুধু বহনকারীরা ধরা পড়ে বিভিন্ন সময়ে। আবার কিছু দিন যাওয়ার পর আইনের ফাঁকফোকরে বেরিয়ে যায় তারাও। তবে ফেনী জজকোর্টের আইনজীবী আহসান কবীর বেঙ্গল বলেন, ‘মাদক মামলায় সাক্ষী উপস্থাপন করতে না পারলে আশানুরূপ শাস্তি পায় না অপরাধীরা। এ ছাড়া আদালত থেকে বাঁচার সুযোগ নেই। বিজিবি যে উদ্যোগ নিয়েছে এটি সবার জন্য করা হোক। শুধু ছিচকেদের জন্য নয়, এ নিয়ম সবার ক্ষেত্রে প্রয়োগ হলে মাদক সহজে নির্মূল হয়ে যাবে।সীমান্ত এলাকা ছাগলাইয়া উপজেলা চেয়ারম্যান মেজবাউল হায়দার চৌধুরী সোহেল জানান, সীমান্ত এখনো অরক্ষিত। সে কারণে মাদক নির্মূল করা সম্ভব হচ্ছে না। যদি বাংলাদেশ সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া দেওয়া যায়, তা হলে ৯০ শতাংশ মাদক কমে যাবে।

প্রাইভেট ডিটেকটিভ/২২ সেপ্টেম্বর ২০১৯/ইকবাল

Share Button

     এ জাতীয় আরো খবর