রুহুল আমীন খন্দকার, ব্যুরো প্রধান :
কারবালার শোকাবহ ও হৃদয় বিদারক ঘটনার এই দিনটি ধর্মীয়ভাবে বিশ্বের মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের কাছে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। মুসলিম বিশ্বে ত্যাগ ও শোকের প্রতীক হিসেবে এ দিনটি বিশেষ পবিত্র দিবস।এরই ধারাবাহিকতায়,বিশ্ব শহীদ দিবস উৎযাপন পরিষদ মঙ্গলবার সকালে রাজশাহী মহানগরীর শহিদ এএইচএম কামারুজ্জামান চত্বর থেকে শোক র্যালি বের করে।পরে সাহেব বাজার জিরো পয়েন্টে পথসভা অনুষ্ঠিত হয়।উক্ত পথসভায় বক্তব্য রাখেন, ড. হাসান রাজা, ক্বারী ওমর ফারুক প্রমুখ। বক্তারা দশ মহরম বিশ^ শহীদ দিবস ঘোষনার দাবি জানান।এতে বিভিন্ন দরবার শরিফের পীর মাশায়েক ও ভক্তগণ এ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন। কারবালা শহীদদের স্বরণে ও বিশ্বের শান্তি কামনায় মোনাজাত শেষে হযরত শাহমুখদুম রুপোশ (রহ:) এর মাজার ও শাহ তুরকান (রহ:) এর মাজার জিয়ারত করা হয়েছে।উল্লেখ্য, হিজরি ৬১ সনের ১০ মহররমের এই দিনে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর দৌহিত্র হজরত ইমাম হোসাইন (রা.) ও তাঁর পরিবার এবং অনুসারীরা সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে যুদ্ধ করতে গিয়ে ফোরাত নদের তীরে কারবালা প্রান্তরে ইয়াজিদ বাহিনীর হাতে শহীদ হন। এ জন্যই যথাযথ ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে সারা দুনিয়ার মুসলমানরা এ দিনটি পালন করে। ইসলামের খেলাফত শাসন ব্যবস্থার পরিবর্তে রাজতান্ত্রিক শাসন এবং ইসলামী শরিয়ত বিরোধী পদক্ষেপের বিরুদ্ধে বলিষ্ঠ প্রতিবাদ করার কারণেই তাকে নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার হতে হয়। এ এক মর্মান্তিক ঘটনা। মুসলিমদের জন্য এক শোকাবহ দিন আজ। সারা বিশ্বের মুসলমানরা প্রতি বছর কারবালার সেই ঘটনাকে নানাভাবে স্মরণ করেন।এ উপলক্ষে আজ মঙ্গলবার ১০ আগষ্ট ২০১৯ইং সরকারি ছুটি।
প্রাইভেট ডিটেকটিভ/১০ সেপ্টেম্বর ২০১৯/ইকবাল