October 10, 2024, 2:22 am

সংবাদ শিরোনাম
আসন্ন শারদীয়া দুর্গাপূজা শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য প্রশাসন ও জনগণের প্রীতি আহ্বান – পর্ব ৮ প্রশাসন সংস্থা ব্রিটিশ আইনের মাধ্যমে শাসন ব্যবস্থা চলতে পারে না-পর্ব ৭ মাতৃভূমির এক ইঞ্চি জমি ছাড় দেওয়া হবে না, পর্ব ৬ স্বাধীন সার্বভৌম মাতৃভূমি রক্ষা করতে হলে প্রতিটি ঘরে সেনাবাহিনী তৈরি করতে হবে(পর্ব-৫) আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজায় শান্তি শৃংখলা বজায় রাখার জন্য সকলকে সজাগ থাকার আহ্বান জামায়াত নেতা মাওলানা মমতাজ উদ্দিনের স্বাধীন সার্বভৌম মাতৃভূমিকে রক্ষা করতে হলে সশস্ত্র ট্রেনিং এর প্রয়োজন। বৈষম্য বিরোধী অভিভাবক ছাত্র শ্রমিক জনতা ঐক্য কমিটির (পর্ব- ৪) ভঙ্গুর রাষ্ট্রকে গড়তে হলে সংস্কার প্রয়োজন=== বৈষম্য বিরোধী অভিভাব ছাত্র শ্রমিক জনতা ঐক্য কেন্দ্রীয় কমিটির ব্যাংক কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত নাটোর পল্লী বিদ্যুত সমিতিতে অদ্ভুতুরে কাণ্ডকীর্তি ভোলা বোরহানউদ্দিনে প্রাথমিক সহকারি শিক্ষকগণের ১০ম গ্রেডের দাবিতে মানববন্ধন

ভারতের সাবেক অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলির মৃত্যু

ডিটেকটিভ নিউজ ডেস্কঃ

ভারতের সাবেক অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি।

ভারতের সাবেক অর্থ ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী অরুণ জেটলি মারা গেছেন। দীর্ঘদিন অসুস্থ থাকার পর গত ২৪ আগস্ট ২০১৯ ইং তারিখ শনিবার দিল্লির এইমস হাসপাতালে তিনি শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তার বয়স হয়েছিল ৬৬ বছর। আজ দুপুরে দিল্লির নিগমবোধ শ্মশানঘাটে তার শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে। বিজেপি নেতা অরুণ জেটলি প্রবল শ্বাসকষ্ট নিয়ে ৯ আগস্ট এইমস হাসপাতালে ভর্তি হন। প্রথমে তাকে কার্ডিওলজি বিভাগে রাখা হয়।তবে তার শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হলে তাকে লাইফ সাপোর্ট দেয়া হয়। তার চিকিৎসায় বিশেষ মেডিকেল টিম গঠন করা হয়। তার কিডনিতে ক্রনিক সমস্যা দেখা দেয়ায় কিডনি প্রতিস্থাপন করা হয়। এমন শারীরিক অবস্থার মধ্যে তিনি প্রথম মোদি সরকারের অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। তবে অসুস্থতার কারণে মোদির দ্বিতীয় মন্ত্রিসভায় তিনি থাকেননি।অটল বিহারি বাজপেয়ি ও নরেন্দ্র মোদি জমানার প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব অরুণ জেটলি একাধিকবার অর্থ, বাণিজ্য ও আইন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেছেন। জিএসটি, নোটবন্দির মতো একাধিক নীতি প্রণয়ন করে তিনি আর্থিক সংস্কার করেন। শুধু দক্ষ রাজনীতিবিদ নন, তিনি সুপ্রিমকোর্টের ঝানু আইনজীবীও ছিলেন। জেটলির মরদেহ দুপুরে হাসপাতাল থেকে তার বাড়িতে নেয়া হয়। খবর পেয়ে বহু শিল্পপতি ও বিজেপির সাধারণ কর্মীরা জেটলির বাড়িতে ছুটে যান। কান্নায় ভেঙে পড়েন নামিদামি বহুজাতিক কোম্পানি ও কর্পোরেট সংস্থার শীর্ষ কর্তারাও। হায়দরাবাদ সফর ছেঁটে বিকালে দিল্লি ফিরেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।তামিলনাড়ু থেকে ফিরেছেন উপরাষ্ট্রপতি বেঙ্কাইয়া নায়ডু। আরব আমিরাতের সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মান নিতে যাওয়া প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দীর্ঘদিনের বন্ধু-সহকর্মীর মৃত্যুতে দ্রুত দেশে ফেরার ঘোষণা দিয়েছেন। তার মৃত্যুর খবর শুনে মোদি বলেন, দেশ গঠনে দীর্ঘ অবদান রয়েছে জেটলির। রাজনীতিতে তার অবদান দেশ মনে রাখবে। বিজেপির সঙ্গে অরুণ জেটলির অবিচ্ছেদ্য এক বন্ধন ছিল।জরুরি অবস্থার সময় একজন নির্ভীক ছাত্রনেতা হিসেবে জেটলি গণতন্ত্র রক্ষা করতে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। আমাদের দলের এক মুখ হয়ে উঠেছিলেন তিনি। জেটলিকে দেশের সম্পদ বলে উল্লেখ করেছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। তিনিও লক্ষ্ণৌ থেকে দিল্লিতে দ্রুত ফিরেছেন। বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ বলেন, অরুণ জেটলির মৃত্যু আমার কাছে ব্যক্তিগত ক্ষতি।শুধু একজন সিনিয়র দলনেতাকে হারালাম না, পরিবারের এক গুরুত্বপূর্ণ সদস্যকেও হারালাম। ঈশ্বরের কাছে ওর আত্মার শান্তি কামনা করি। টুইটে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতিন গড়করি বলেন, দুই বড় নেতার পরপর মৃত্যুতে আমি বাকরুদ্ধ। দেশ জেটলির অভাব অনুভব করবে। জেটলির প্রয়াণে শোক জানিয়েছেন বহু রাজনীতিক। গভীর শোক প্রকাশ করে কংগ্রেস সভাপতি সোনিয়া গান্ধী বলেছেন, জনসাধারণের জন্য অসামান্য কাজ করেছেন প্রয়াত এ জননেতা। জনপ্রতিনিধি হিসেবে তার অনুকরণীয় ভূমিকা ছিল। সাধারণ মানুষের জন্য সংসদের ভেতরে ও বাইরে সমান সক্রিয় ছিলেন তিনি।টুইটারে পশ্চিম বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি লেখেন, রাজনীতিতে জেটলির অবদান অনস্বীকার্য। অসাধারণ সংসদ সদস্য ও দক্ষ আইনজীবী ছিলেন। সব দলের নেতাদেরই প্রিয়জন ছিলেন তিনি। ভারতের রাজনীতিতে তার অবদান চিরকাল মনে থাকবে। লোকসভার তৃণমূল সংসদীয় দলের নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, সংসদে জেটলির অভাব বোধ করব। জেটলির মৃত্যুতে রাহুল গান্ধী, অধীর চৌধুরীসহ কংগ্রেসের শীর্ষ নেতারা গভীর শোক জানিয়েছেন। বিরোধী দলের বহু নেতাই সোশ্যাল মিডিয়ায় রাজনীতিতে জেটলির অবদান, আর্থিক উন্নয়নে তার বলিষ্ঠ পদক্ষেপের প্রশংসা করেছেন।১৯৫২ সালে দিল্লিতে জন্মগ্রহণ করেন অরুণ জেটলি। ছাত্রাবস্থায় তার রাজনীতিতে হাতেখড়ি। দিল্লির শ্রীরাম কলেজে কমার্সে স্নাতক জেটলি ১৯৭৩ সালে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। জয়প্রকাশ নারায়ণ তাকে জাতীয় ছাত্র যুব কমিটির কনভেনর করেন। জরুরি অবস্থায় ১৯ মাসের হাজতবাস করেন তিনি। জেল থেকে বেরিয়ে তিনি জনসঙ্ঘে যোগ দেন। ১৯৮৯ সালে ভিপি সিং সরকারের আমলে তিনি অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল ছিলেন। অটল বিহারি বাজপেয়ির এনডিএ সরকারে তিনি আইনমন্ত্রী ছিলেন।মনমোহন সিংয়ের জমানায় রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা ছিলেন অরুণ জেটলি। ২০১৪ সালে লোকসভা নির্বাচনে দেশজুড়ে মোদি ঝড় উঠলেও পাঞ্জাবের চণ্ডীগড়ে হেরে যান জেটলি। পরে তাকে রাজ্যসভার সংসদ সদস্য করে অর্থমন্ত্রীর মতো গুরুদায়িত্ব দেন মোদি। অরুণ জেটলির মৃত্যুতে বাংলাদেশের আইনমন্ত্রী আনিসুল হক শোক প্রকাশ করেছেন। গত ২৪ আগস্ট ২০১৯ ইং তারিখ শনিবার এক শোকবার্তায় অরুণ জেটলির বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।

প্রাইভেট ডিটেকটিভ/২৪ আগস্ট ২০১৯/ইকবাল

Share Button

     এ জাতীয় আরো খবর