October 10, 2024, 8:24 am

সংবাদ শিরোনাম
বাংলাদেশের আইন ও বিচার ব্যবস্থা সংশোধন করিতে হবে – পর্ব ৯ আসন্ন শারদীয়া দুর্গাপূজা শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য প্রশাসন ও জনগণের প্রীতি আহ্বান – পর্ব ৮ প্রশাসন সংস্থা ব্রিটিশ আইনের মাধ্যমে শাসন ব্যবস্থা চলতে পারে না-পর্ব ৭ মাতৃভূমির এক ইঞ্চি জমি ছাড় দেওয়া হবে না, পর্ব ৬ স্বাধীন সার্বভৌম মাতৃভূমি রক্ষা করতে হলে প্রতিটি ঘরে সেনাবাহিনী তৈরি করতে হবে(পর্ব-৫) আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজায় শান্তি শৃংখলা বজায় রাখার জন্য সকলকে সজাগ থাকার আহ্বান জামায়াত নেতা মাওলানা মমতাজ উদ্দিনের স্বাধীন সার্বভৌম মাতৃভূমিকে রক্ষা করতে হলে সশস্ত্র ট্রেনিং এর প্রয়োজন। বৈষম্য বিরোধী অভিভাবক ছাত্র শ্রমিক জনতা ঐক্য কমিটির (পর্ব- ৪) ভঙ্গুর রাষ্ট্রকে গড়তে হলে সংস্কার প্রয়োজন=== বৈষম্য বিরোধী অভিভাব ছাত্র শ্রমিক জনতা ঐক্য কেন্দ্রীয় কমিটির ব্যাংক কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত নাটোর পল্লী বিদ্যুত সমিতিতে অদ্ভুতুরে কাণ্ডকীর্তি

কাশ্মিরকে জঙ্গিবাদের পথে ঠেলে দিলো ভারত: মেহবুবা মুফতি

কাশ্মিরকে জঙ্গিবাদের পথে ঠেলে দিলো ভারত: মেহবুবা মুফতি

ডিটেকটিভ আন্তর্জাতিক ডেস্ক

জম্মু-কাশ্মিরের স্বায়ত্তশাসন তুলে নিয়ে সেখানে কেন্দ্রীয় শাসন জারির ঘটনাকে ‘ইতিহাসের সবথেকে অন্ধকারাচ্ছন্ন দিন’ আখ্যা দিয়েছেন রাজ্যের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী তথা পিডিপি নেত্রী মেহবুবা মুফতি। তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, এ ঘটনার মধ্য দিয়ে সেখানকার মানুষের মধ্যে জঙ্গিবাদে ঝুঁকে পড়ার প্রবণতা বাড়বে। মুফতি মনে করছেন, ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের মধ্য দিয়ে কাশ্মিরকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি রক্ষায় ব্যর্থ হয়েছে ভারত। ভারতীয় সংবিধানের যে অনুচ্ছেদে কাশ্মিরকে স্বায়ত্তশাসিত রাজ্যের মর্যাদা দেওয়া হয়েছে, গতকাল সোমবার সেই ৩৭০ নম্বর ধারা বাতিলের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছেন দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। স্বাভাবিকভাবেই এর আওতায় থাকা ৩৫/এ ধারাও বাতিল হয়ে গেছে। এই ধারায় কাশ্মিরবাসী বিশেষ সুবিধা ভোগ করতো। কাশ্মিরের স্বায়ত্তশাসন ও সেখানকার বাসিন্দাদের বিশেষ অধিকার ক্ষুণ্ণ করার দিনটিকে ভারতীয় গণতন্ত্রের ইতিহাসের ‘সবথেকে অন্ধকারাচ্ছন্ন দিন’ আখ্যা দিয়েছেন মেহবুবা মুফতি। টুইটারে তিনি লিখেছেন, ‘১৯৪৭ সালে জম্মু-কাশ্মির দুই জাঁতি তত্ত্বের ভিত্তিতে ভারতের সঙ্গে থাকার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, এই সিদ্ধান্তের মধ্য দিয়ে তা প্রত্যাখ্যান করা হলো।’ ৩৭০ ধারা বাতিলের ঘোষণার পর কাশ্মিরজুড়ে নিরাপত্তা জোরদারের কথা বলে নতুন করে সেখানে সেনা সংখ্যা আরও বাড়ানো হয়েছে। মেহবুবা অপর এক টুইটে বলেছেন, ‘এই অঞ্চলের জন্য এমন সিদ্ধান্তের পরিণতি হবে বিপর্যয়কর। কেন্দ্রীয় সরকারের উদ্দেশ্য খুব স্পষ্ট। জম্মু-কাশ্মিরের মানুষকে জঙ্গিবাদে ঠেলে দিয়ে এর দখল নিতে চায় তারা। কাশ্মিরিদের প্রতি প্রতিশ্রুতি রক্ষায় ভারত ব্যর্থ হয়েছে।’

উল্লেখ্য, বিশ্লেষকরাও মনে করেন, ব্যাপক মাত্রায় সামরিকায়ন, নিরাপত্তা তল্লাশির সূত্রে হওয়া নির্বিচার হয়রানি ও স্বশাসনের অধিকার ক্ষুণ্ন করার মতো বিষয়গুলো স্থানীয়দের মধ্যে বিচ্ছিন্নতাবোধ জাগিয়ে তুলছে। তাদের ঠেলে দিচ্ছে পাকিস্তান সমর্থিত জঙ্গি সংগঠনগুলোর দিকে। তার মধ্যে ৩৭০ ধারা বিলোপ করে স্বায়ত্তশাসনের আনুষ্ঠানিক অধিকারও কেড়ে নেওয়া হলো।

Share Button

     এ জাতীয় আরো খবর