ময়মনসিংহে এক দম্পতিকে গ্রেফতার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। বাহিনীটির দাবি, এই দম্পতি নারী পাচারকারী হিসেবে কাজ করেন। এ সময় পাচারকারীদের হাতে আটক দুই তরুণীকেও উদ্ধার করা হয়। গত শুক্রবার সন্ধ্যায় ময়মনসিংহ শহরের শম্ভুগঞ্জ রেলক্রসিং এলাকায় ফাঁদ পাতে র্যার ১৪–এর ভৈরব ক্রাইম প্রিভেনশন কোম্পানি–৩–এর একটি দল। সেখানেই ধরা পড়েন এই দম্পতি। উদ্ধার হন দুই তরুণ। গ্রেফতার দম্পতি হলেন আবদুর রহিম (৬০) ও তাঁর স্ত্রী জোবেদা খাতুন (৪৫)। উদ্ধর হওয়া দুই তরুণীর বাড়ি কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর ও চাঁপাইনবাবগঞ্জে। গত রোববার দুপুরে র্যাব–১৪ অফিসে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. শরীফুল ইসলাম। গ্রেফতার দুই নারী পাচারকারীকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও জানান তিনি। মো. শরীফুল ইসলাম জানান, উদ্ধার দুই তরুণীকে ঢাকার বিমানবন্দর রেলস্টেশনের সামনে থেকে বিয়ে ও কাজের ব্যবস্থা করার কথা বলে ময়মনসিংহে নিয়ে আসেন রহিম–জোবেদা দম্পতি। এঁরা দীর্ঘদিন ধরেই দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে অল্প বয়সী তরুণী সংগ্রহ করেন। প্রথমে এঁদের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক গড়েন এবং পরে বিভিন্ন পতিতালয় ও অসৎ ব্যক্তিদের কাছে বিক্রি করে দেন। যে দুই তরুণীকে উদ্ধার করা হয়েছে, এঁদেরও বিক্রির চেষ্টা চলছিল। ক্রেতা সেজেই র্যাব সদস্যরা ফাঁদ পাতেন বলেও জানান মো. শরীফুল ইসলাম।