October 10, 2024, 6:19 pm

সংবাদ শিরোনাম
বাংলাদেশের আইন ও বিচার ব্যবস্থা সংশোধন করিতে হবে – পর্ব ৯ আসন্ন শারদীয়া দুর্গাপূজা শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য প্রশাসন ও জনগণের প্রীতি আহ্বান – পর্ব ৮ প্রশাসন সংস্থা ব্রিটিশ আইনের মাধ্যমে শাসন ব্যবস্থা চলতে পারে না-পর্ব ৭ মাতৃভূমির এক ইঞ্চি জমি ছাড় দেওয়া হবে না, পর্ব ৬ স্বাধীন সার্বভৌম মাতৃভূমি রক্ষা করতে হলে প্রতিটি ঘরে সেনাবাহিনী তৈরি করতে হবে(পর্ব-৫) আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজায় শান্তি শৃংখলা বজায় রাখার জন্য সকলকে সজাগ থাকার আহ্বান জামায়াত নেতা মাওলানা মমতাজ উদ্দিনের স্বাধীন সার্বভৌম মাতৃভূমিকে রক্ষা করতে হলে সশস্ত্র ট্রেনিং এর প্রয়োজন। বৈষম্য বিরোধী অভিভাবক ছাত্র শ্রমিক জনতা ঐক্য কমিটির (পর্ব- ৪) ভঙ্গুর রাষ্ট্রকে গড়তে হলে সংস্কার প্রয়োজন=== বৈষম্য বিরোধী অভিভাব ছাত্র শ্রমিক জনতা ঐক্য কেন্দ্রীয় কমিটির ব্যাংক কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত নাটোর পল্লী বিদ্যুত সমিতিতে অদ্ভুতুরে কাণ্ডকীর্তি

রোহিঙ্গাদের নিরাপদ প্রত্যাবাসন নিশ্চিতে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের আহ্বান

রোহিঙ্গাদের নিরাপদ প্রত্যাবাসন নিশ্চিতে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের আহ্বান

ডিটেকটিভ আন্তর্জাতিক ডেস্ক

২০১৭ সালের আগস্টে রাখাইনের কয়েকটি নিরাপত্তা চৌকিতে হামলার পর পূর্বপরিকল্পিত ও কাঠামোগত সহিংসতা জোরালো করে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। হত্যা-ধর্ষণসহ বিভিন্ন ধারার সহিংসতা ও নিপীড়ন থেকে বাঁচতে নতুন করে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ৭ লাখেরও বেশি মানুষ। বর্তমানে বাংলাদেশের কক্সবাজারের বিভিন্ন শরণার্থী শিবিরে বাস করা রোহিঙ্গার সংখ্যা ১০ লাখেরও বেশি। মিয়ানমারে ফিরলে আবারও নিপীড়নের শিকার হতে পারেন এমন শঙ্কায় রয়েছেন এসব রোহিঙ্গা।

১২টি দেশের স্বাক্ষর করা বিবৃতিতে মিয়ানমার সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয় যেন সাংবিধানিকভাবে সবার অধিকার নিশ্চিত করা হয়। এ ছাড়া নিপীড়নকারীদের শাস্তি নিশ্চিত করে সবাইকে মানবিক সহায়তা পৌছানোরও আহ্বান জানানো হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, আমরা রাখাইনে ভয়াবহ সহিংসতা ও রোহিঙ্গা নিধনযজ্ঞের ঘটনায় উদ্বিগ্ন। মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের নিপীড়ন থেকে বাঁচতে বাংলাদেশে সাত লাখ ৪০ হাজার রোহিঙ্গা পালিয়ে এসেছে। রাখাইনেও বাস্তুচ্যুত হয়েছে অনেকে।

এই নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো এমন সম্মেলন আয়োজন করলো যুক্তরাষ্ট্র। বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র ছাড়াও বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছে যুক্তরাজ্য, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ইউক্রেন, আজারবাইজান, সাইপ্রাস, জর্ডান, জর্জিয়া ও মার্শাল দ্বীপ। বিবৃতিতে বিশ্বের অন্যান্য দেশের ধর্মীয় স্বাধীনতার ব্যাপার গুরুত্বারোপ করা হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, রোহিঙ্গা ও অন্যান্য মুসলিম সম্প্রদায়সহ মিয়ানমারের অনেক সংখ্যালঘুরা তাদের বিশ্বাসের কারণে বৈষম্যের শিকার হচ্ছে। বলা হয়, ‘আমরা মিয়ানমার কর্তৃপক্ষকে আহ্বান জানাচ্ছি যেন রাখাইনে রোহিঙ্গা নিরাপদ, সম্মানজনক ও স্বেচ্ছামূলক প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করা হয়।

মিয়ানমারে ২০২০ সালের নির্বাচনকে সামনে রেখে অন্যায়কারীদের বিচারের আহ্বান জানায় দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা। তারা বলেন, ‘আমরা নাগরিকত্ব, ভোটাধিকারসহ সমঅধিকার বাস্তবায়নের গুরুত্বারোপ করছি।

দুইদিন আগেই মিয়ানমারের সেনাপ্রধানসহ শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র।  রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর আবাসস্থল রাখাইনে ব্যাপক মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে এ ব্যবস্থা নেয় ওয়াশিংটন। পররাষ্ট্র দফতর থেকে জানানো হয়, সেনাপ্রধান মিন অং হ্লাংসহ আরও  তিনজন সেনা ও তাদের পরিবারের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।

ওই চিঠি ছাড়াও সন্ত্রাস-বিরোধীসহ  ও মানবাধিকার লঙ্ঘন মোকাবিলায় নিরাপত্তা বিষয়ক আরেকটি স্টেটমেন্ট অব কনসার্ন চিঠিতে স্বাক্ষর করে বাংলাদেশ।

Share Button

     এ জাতীয় আরো খবর