যশোরে স্কুলছাত্রীকে জোর করে ধর্মান্তরের পর বিয়ের অভিযোগ
ডিটেকটিভ নিউজ ডেস্ক
যশোরের মণিরামপুরে দশম শ্রেণীতে পড়–য়া হিন্দু ধর্মালম্বী এক ছাত্রীকে অপহরণের পর ধর্মান্তরিত করে ইসলামধর্ম গ্রহণে বাধ্য করানোর অভিযোগ উঠেছে। ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত করার পর তাকে বিয়ে করেছে কাজল নামে এক যুবক। এ ঘটনায় পুলিশ ২জনকে আটক করেছে। আটক ব্যক্তিরা হলেন, উপজেলার রামনাথপুর গ্রামের হাকিম মোড়লের ছেলে মোস্তফা মোড়ল (৪৮) ও একই গ্রামের অধীর দাসের ছেলে সজীব দাস (২১)। উদ্ধার করা হয়েছে কথিত অপহৃত ছাত্রীকে। শনিবার ভিকটিমের ডাক্তারি পরীক্ষা করানোসহ ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে তার জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মণিরামপুর থানার ওসি মোকাররম হোসেন। এর আগে ঐ ছাত্রীর বাবা বৃহস্পতিবার চারজনকে অভিযুক্ত করে এজাহার দায়ের করেন। শুক্রবার মামলাটি রেকর্ড করা হয়। মণিরামপুর থানার ওসি মোকাররম হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এজাহারে অভিযোগ করা হয়েছে, চলতি মাসের ১৯ তারিখ সকাল ৯টার দিকে স্কুলে যাওয়ার পথে উপজেলার চালুয়াহাটি ইউনিয়নের রামনাথপুর গ্রামের মোস্তফা মোড়লের ছেলে কাজল (২১) ঐ ছাত্রীকে অপহরণ করে। এই ঘটনায় ঐ ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে কাজল, তার বাবা মোস্তফা মোড়ল, কাজলের বন্ধু সজীব দাসসহ চারজনকে আসামি করে থানায় এজাহার দায়ের করেন। অভিযোগের সূত্র ধরে শুক্রবার পুলিশ কাজলের বাবা মোস্তফা মোড়ল ও বন্ধু সজীব দাসকে আটক করে। কাজল ও সজীব যশোর সরকারি এমএম কলেজের অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। এদিকে পুলিশ চালুয়াহাটি ইউনিয়ন পরিষদ চত্বর থেকে ঐ ছাত্রীকে উদ্ধার করে হেফাজতে নিয়েছে।
মণিরামপুর থানার ওসি মোকাররম হোসেন ভিকটিমকে উদ্ধারের পর সে আমাদের জানিয়েছে, অপহরণের পরের দিন তাকে ধর্মান্তরিত করে বিয়ে করে কাজল। শনিবার ভিকটিমের ডাক্তারি পরীক্ষা করানোসহ ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে তার জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়েছে।