November 1, 2024, 8:29 am

সংবাদ শিরোনাম
নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম ও আইন শৃঙ্খলার পরিস্থিতি উদ্বেগ জনক বোরহানউদ্দিনে টিকা নেওয়ার পরে অসুস্থ হয়ে প্রায় অর্ধ শতাধিক ছাত্রী হাসপাতালে ভর্তি শার্শায় হতদরিদ্রদের মাঝে জামায়াতের ভ্যান,ছাগল ও নগদ অর্থ বিতরন নবাবগঞ্জে জামায়াতের আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত বাগেরহাটের কচুয়ায় যুবদলের ৪৬ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত সুন্দরগঞ্জে আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভা স্বাধীনতা, সার্বভৌম হ্যাঁ ও সাংবিধানকে করা প্রয়োজন বান্দরবান প্রেসক্লাবের নতুন সদস্যদের ফুলেন শুভেচ্ছা দিয়ে বরন ডোমারে প্রধান শিক্ষকের পদ ফিরে পেতে ইউএনও’র কাছে আবেদন প্রিন্সসহ ০৩ জনকে রাজধানীর কদমতলী এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-১০

অবশেষে গরিব মায়ের জয়,হেরে গেলেন গুইমারা দাখিল মাদ্রসার সুপারেন্টেন্ড জায়নুল আবদীন

দিদারুল আলম, গুইমারা(খাগড়াছড়ি) প্রতিনিধিঃ

অবশেষে জয় হয়েছে গরিব মায়ের,হেরে গেছেন দাম্বিক গুইমারা ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রসার সুপারেন্টেন্ড জায়নুল আবদীন।তার দাম্ভিকতা ও দায়িত্বহীনতায় কমেগেছে মাদ্রসার পাশের হার।শতভাগ থেকে নেমে এসেছে ৫৭%তে।খাগড়াছড়ির গুইমারা উপজেলার বাহির থেকে দেখতে নান্দনিক ও একমাত্র দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দাখিল মাদ্রসার সুপারেন্টেন্ডের পারিবারিক কলহের জেরে প্রতিহিংসার হাত থেকে রক্ষা পেল গরিব অসহায় মায়ের সন্তান ২০১৯ সালের শিক্ষার্থী নুরুন্নবী। দাখিল পরিক্ষার ফরম পুরণ করতে দিতে চাননি সুপাররেন্টেন্ড জায়নুল আবদীন।সন্তানের শিক্ষাজীবন অনিশ্চিতও অনাগত ভবিষ্যৎ নষ্ট হয়ে যাওয়ার শংকায় দিশেহারা মা লিখিত অভিযোগ নিয়ে সন্তানসহ বিভিন্ন মহলের দ্বারে দ্বারে ঘুরেছে কিন্তু জয়নুল স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মূল্যায়ন না করায় কোন প্রতিকার পায়নি ।ভুক্তভোগি নুরুন্নবী ও তার মা জানান,অহেতুক ও ব্যক্তিগত র্স্বাথ হাসিলের জন্য একটি বছর শ্রেণী কক্ষের শিক্ষা র্কাযক্রম থেকে বঞ্চিত করছে তার ছেলেকে। নির্বাচনী পরীক্ষার সময় ২৬০০টাকা নিয়েছেন এবং ফরম ফিলআপের সময়ে ৪২৪০টাকা নিয়েছেন।তাদের অভিযোগ সুপারেন্টেন্ড আরো বলেছেন চা দোকানের র্কমচারীর সন্তানেরা বেশি লেখা পড়া করতে হয়না।বিষয়টি জানাজানি হয়ে বিভিন্ন গনমাধ্যমে সংবাদটি প্রকাশিত হওয়ার পর উপজেলা র্সবস্থরের ভুক্তভোগিরা জড়ো হতে থাকে এবং এটিই তখন গুইমারার আলোচিত বিষয় হয়ে দাঁড়ায়। পরে উপজেলা র্নিবাহী র্কমর্কতা পঙ্কজ বড়–য়া লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে বলেন। যার ধারাবাহিকতায় অসহায় নুরুন্নবী ফরম পূরন করতে সক্ষম হয় এবং অবশেষে দাখিল পরিক্ষায় কৃত র্কায হয়ে মায়ের মুখে হাসি ফুঠান। হয়রানির স্বীকার না হলে তার ছেলে আরো ভালো রেজাল্ট করতো বলে তিনি ধারনা করছেন।উপজেলা যুবলীগের সভাপতি বিপ্লব শীল ও সাংগঠনিক সম্পাদক পলাশ চৌধুরী জানান,অসহায় নুরুন্নবীর বিষয়ে মাদ্রাসার প্রধানকে নিজের অন্যায় ও অনিয়ম পরিহার করার জন্য অনেক অনুরোধ করেছেন তাঁরা কিন্তু সুপারেন্টেন্ড কোন কর্নপাত করেননি। অনেক শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের অভিযোগ সরকারী নিয়মকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে শিক্ষার্থীদের থেকে অতিরিক্ত অর্থ হাতিয়ে নেন মাদ্রাসার প্রধান।এসব শুনে সরকারী নিয়ম মেনে কাজ করার অনুরোধ জানানো হয়েছে ।কিন্তু সুপারেন্টেন্ড সঠিক পথে না আসায় এবং ভুক্তভোগি নুরুন্নবী ও তার মাকে হয়রানি করায় তারা দু:খ প্রকাশ করেছেন।এছাড়াও একাধিক অভিভাবক সুত্রে জানা গেছে,বোর্ডের নির্দেশনা উপেক্ষা করে মাদ্রাসার পরীক্ষার্থীদের নিকট থেকে রশিদ না দিয়ে অতিরিক্ত র্অথ আদায় করেন জয়নুল আবদীন।কোন অভিভাবক বা পরীক্ষার্থী মুখ খুললে তাকে পড়ছে হয়েছে নুরুন্নবীর মত ঝামেলায়।অভিযুক্ত জায়নুল আবদীন বলেছিলেন,৪২৪০টাকার নিয়েছেন দুদক চাইলে উপযুক্ত হিসেব দিবেন।তবে এসকল বিষয়ে তাঁর বেতন বন্ধ বা চাকুরী যাবে না।এছাড়াও তিনি ধারনা করে বলেছিলেন নুরুন্নবী দশ বার পরিক্ষা দিলেও কৃতর্কায হতে পারবেনা তাই তিনি তাকে ফরম ফিলাপের সুযোগ দিচ্ছেন না।তবে এখন বলছেন অনেক ছাত্র ছাত্রীর মাঝে কে পাশ করলো আর কে ফেল করলো তার হিসেব রাখা তার পক্ষে সম্ভব নয়।তবে মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি জাহাঙ্গির আলম বলেন,ভুক্তভোগি নুরুন্নবীকে ফরম পূরন করাতে বার বার সুপারকে বলেছেন।এবং তাঁর চেষ্টার কোন ত্রুটি ছিলনা।তবে সকল বাধা অতিক্রম করে নুরুন্নবী দাখিল পরিক্ষায় কৃতর্কায হওয়ায় তিঁনি অভিনন্দন জানান।এবিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার জিল্লুর রহমান আনাম বলেন,দাখিল মাদ্রসার পাশের হার কমে যাওয়ার কারন হলো মাদ্রসার শিক্ষক ও সুপারেন্টেন্ডের অবহেলা ও দায়িত্বহীনতা।সরকার তাদের সবরকম সুযোগ সুবিধা দিয়েছেন। কিন্তু তারা সঠিক ভাবে পাঠদান করেননি।এছাড়া নুরুন্নবীর বিষয়টি নিয়ে তিঁনি উপজেলা র্নিবাহী কর্মর্কতাকে লিখিত প্রতিবেদন দিয়েছেন।সুপারেন্টেন্ড জায়নুল আবদীন প্রথম বারের মত ক্ষমা র্প্রাথনা করায় তাকে ভবিস্যতের জন্য শেষ সর্তক বাণী দিয়ে ক্ষমা করেছেন তিঁনি।নুরুন্নবীকে অভিনন্দন জানিয়ে উপজেলা র্নিবাহী র্কমর্কতা (অ:দ:)বিভীষণ কান্তি দাস বলেন,অভিযোগের বিষয়ে তিনি অবগত নন তবে বিষয়টি তিনি দেখবেন।

প্রাইভেট ডিটেকটিভ/ ১১ মে ২০১৯/ইকবাল

Share Button

     এ জাতীয় আরো খবর