ডিটেকটিভ নিউজ ডেস্ক
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল এমপি বলেছেন, রোহিঙ্গা আমাদের কাছে একটা চ্যালেঞ্জ। রোহিঙ্গাদের দু:খ দূর্দশা আমরা সহ্য করতে পারিনি, তাই আমাদের এখানে তাদের জায়গা দিয়েছি। টেকনাফ ও উখিয়ার মোট জনগণের চেয়ে তিনগুণ বেশি রোহিঙ্গা এসে জায়গা নিয়েছে। কাজেই রোহিঙ্গাদের নিয়ে আমরা নানা ধারণের চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছি। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার আড়াইআনি বাজারে পুলিশ ফাঁড়ির ভিত্তিফলক উন্মোচন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, আমরা ১২ সদস্যের দল মিয়ানমারে গিয়েছিলাম। সেখানে তাদের সাথে আমাদের একটি চুক্তি হয়েছ। সে চুক্তিতে ৩০ নভেম্বরের মধ্যে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের সমসংখ্যক প্রতিনিধি নিয়ে একটি ‘জয়েন্ট ওয়াকিং গ্রুপ’ তৈরি করা হবে। সেই ওয়ার্কিং গ্রুপই সিদ্ধান্ত নিবে কিভাবে, কখন রোহিঙ্গাদের নিজদেশে ফেরত পাঠানো হবে। এ ছাড়া তাদের কিভাবে উন্নয়ন হবে সে বিষয়েও ওয়র্কিং গ্রুপ কাজ করবে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গাদের কারেণ টেকনাফ ও উখিয়ার সামাজিকভারে বিপর্যস্ত অবস্থা তৈরী হয়েছে, পাহাড় ও বনভূমি ধ্বংস হচ্ছে। রোহিঙ্গারা যাতে শান্তিতে থাকতে পারে, সেজন্য এদেশের শান্তি প্রিয় মানুষ, আইন শৃঙ্খলা বাহিনী ও সেনাবাহিনী দিন-রাত কাজ করছে। এ ছাড়া রোহিঙ্গাদের যাতে নানা প্রলোভনে প্রলোভিত করেও অন্য জায়গায় নিতে না পারে সেজন্য আাইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলো সেখানে নজরদারি করছে। মন্ত্রী বলেন, আমাদের মূল লক্ষ্য হলো বাংলাদেশকে নিরাপদ ও বাসযোগ্য করে রাখা, জনগণের জান-মালের নিরাপত্তা বিধান করা। এজন্য প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা পুলিশের জনবল বৃদ্ধি করছেন এবং পুলিশের আধুনিক আবাসস্থল ও উন্নত যানবাহনের ব্যবস্থা করছেন। তারই ধারাবাহিকতায় নালিতাবাড়ীতে নতুন পুলিশ ফাঁড়ি স্থাপন, নতুন থানা ভবন ও ফায়ার সার্ভিস ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। পরে মন্ত্রীদ্বয় নালিতাবাড়ী উপজেলা পরিষদের মুক্তমঞ্চে বিজিবি, আনসার, থানা ভবন এবং নালিতাবাড়ী উপজেলার সকল ইউনিয়নের আনসার-ভিডিপি সদস্য ও বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ২য় থেকে ১০ শ্রেনী পর্যন্ত প্রতি শ্রেনীর সেরা ২০ শিক্ষার্থীর মাঝে সোলার বাতি বিতরন করেন। এ সময় কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী তার সাথে ছিলেন। পরে মন্ত্রীদ্বয় নালিতাবাড়ী ফায়ার সার্ভিস ও নালিতাবাড়ী থানার নবনির্মিত ভবন উদ্বোধন করেন। তাদের সাথে শেরপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য প্রকৌশলী একেএম ফজলুল হক, ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিশনার জিএম সালেহ উদ্দিন, রেঞ্জ ডিআইজি নিবাস চন্দ্র মাঝি, অতিরিক্ত ডিআইজি ড. আক্কাছ উদ্দিন ভুঁইয়া, জেলা প্রশাসক ড. মল্লিক আনোয়ার হোসেন, পুলিশ সুপার রফিকুল হাসান গণি, শেরপুর জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবীর রুমান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তরফদার সোহেল রহমান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তিযদ্ধিা জিয়াউল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক ফজলুল হক, নকলা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. জিন্নাহসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, প্রশাসন ও পুলিশের কর্মকর্তা, রাজনৈতিক নেতারা উপস্থিত ছিলেন।