December 27, 2024, 7:15 am

সংবাদ শিরোনাম
মধুপুরে অবৈধভাবে মাটি কাঁটার অপরাধে ৬জনের জেল জরিমানা প্রবাসীকে হয়রানির অভিযোগ বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে প্রবাসীকে হয়রানির অভিযোগ বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে বেনাপোল স্থলবন্দর হ্যাল্ডিং শ্রমিক ইউনিয়নের ত্রিবার্ষিক নির্বাচনে নব নির্বাচিত কমিটির শপথ গ্রহণ ঝিকরগাছা উপজেলায় যুব অধিকার পরিষদের কমিটি ঘোষণা শার্শার উলশী ইউনিয়ন ভিত্তিক ৬ষ্ঠ হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত ১১ বছর পর দেশে ফিরলেন যুক্তরাজ্য বিএনপির আইন সম্পাদক লিয়াকত সাজাভোগের শেষে ভারত থেকে দেশে ফিরলো ২৬ বাংলাদেশি পুরুষ -নারী বেনাপোল থেকে শুভ উদ্বোধন হলো রূপসী বাংলা এক্সপ্রেস ট্রেনের নবজাতককে পাওয়া গেল রাস্তার পাশে

হ্যামট্র্যাকের মেয়র নির্বাচন

হ্যামট্র্যাকের মেয়র নির্বাচন

বাংলাদেশি প্রার্থী হাসান হেরে গেলেন

ডিটেকটিভ আন্তর্জাতিক ডেস্ক

 

বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক মোহাম্মদ হাসান যুক্তরাষ্ট্রের হ্যামট্র্যাক শহরের মেয়র নির্বাচনে জিততে পারলেন না। নির্বাচিত হতে পারলে মোহাম্মদ হাসান হতেন শহরটির প্রথম মুসলিম ও বাংলাদেশি মেয়র। মেয়র পদে তিন বারের বিজয়ী কারেন মাজেভস্কির কাছে ৭০০ ভোটেরও বেশি ব্যবধানে হেরে গেছেন তিনি। তার এই বিপুল ব্যবধানে পরাজয়ের পেছনে বাংলাদেশি কমিউনিটির মধ্যকার বিভাজন বড় ধরনের প্রভাব ফেলেছে বলে মনে করছেন স্থানীয় কাউন্সিলের সদস্যরা। গত মঙ্গলবার শহরটিতে মেয়র নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ভোটে মাজেভস্কি পেয়েছেন ১ হাজার ৯৬০ ভোট আর হাসান পেয়েছেন ১ হাজার ২৩১ ভোট। হ্যামট্র্যাক হলো মিশিগানের ডিট্রয়েটের কাছের একটি ছোট শহর। এটি যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ কাউন্সিল। এখানে প্রায় ১১ হাজার নিবন্ধিত ভোটার থাকলেও বেশ কয়েক দশক ধরে ভোটারদের অংশগ্রহণের হার খুব কম। হ্যামট্র্যাকের প্রায় ৪৫ শতাংশ বাসিন্দাই অভিবাসী এবং তাদের বেশিরভাগই ইয়েমেন ও বাংলাদেশের নাগরিক। কাউন্সিল সদস্য ও বাংলাদেশি আনাম মিয়া বলেন, ‘যে ফলাফল এসেছে তাতে তিনি হতাশ, কারণ তিনি আশা করেছিলেন হ্যামট্র্যাক এ নতুন মুখ আসবে।’ বাংলা ট্রিবিউনকে আনাম মিয়া বলেন, ‘তিনি (হাসান) কেন হারলেন তা এত তাড়াতাড়ি বলা সম্ভব হবে না কিন্তু বাংলাদেশি কমিউনিটির মধ্যকার বিভাজন অবশ্যই এ ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য মাত্রায় প্রভাব ফেলেছে।’ সাদ আলমাসমারি নামে কাউন্সিলের আরেক সদস্য বলেন, ‘হাসানের জন্য জয় পাওয়াটা সহজ ব্যাপার না ছিল না। কিন্তু এত বড় ধরনের পরাজয় আমাকে বিস্মিত করেছে।’ ইয়েমেনি বংশোদ্ভূত কাউন্সিলর সাদ আরও বলেন, ‘এটা পরিষ্কার যে শ্বেতাঙ্গ ভোটাররা মাজেভস্কির পক্ষে ভোট দিয়েছেন। আর বাংলাদেশি ও ইয়েমেনি ভোটাররা বিভক্ত ছিল।’ গত সপ্তাহে হাসানও ৪০ শতাংশ বাংলাদেশি তাকে ভোট নাও দিতে পারেন বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন। তিনি দাবি করেছিলেন, ‘বাংলাদেশি কমিউনিটির অনেকে বিএনপি ও জামায়াতের সমর্থক এবং তারা আমাকে আওয়ামী লীগের সমর্থক হিসেবে বিবেচনা করে।’ গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় হাসানের সঙ্গে যোগাযোগ করতে চেয়েও তাকে পাওয়া যায়নি। পোল্যান্ডের বংশোদ্ভূত মাজেভস্কি ২০০৫ সালে হ্যামট্র্যামকের প্রথম নারী মেয়র নির্বাচিত হন। পরে ২০০৯ ও ২০১৩ সালে তিনি পুনরায় নির্বাচিত হয়েছিলেন। সেই জয়ের ধারাবাহিকতায় এবারও নির্বাচিত হলেন এই পোলিশ নারী।  এর মধ্য দিয়ে টানা চতুর্থবার মেয়র হলেন তিনি। জয়ের প্রতিক্রিয়ায় স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে মাজেভস্কি বলেন, ‘আমাকে পুনরায় নির্বাচিত করায় এবং আরও একটি মেয়াদে কাজ করার সুযোগ দিয়ে আমার ওপর আস্থা রাখার জন্য হ্যামট্র্যাকের বাসিন্দাদের কাছে আমি কৃতজ্ঞ। বিশেষ করে এবার যে সব কাউন্সিল সদস্য জয় পেয়েছেন তাদের ব্যাপারে কৌতুহলী আমি। তাদের সঙ্গে কাজ করার অপেক্ষায় আছি আমি। হ্যামট্র্যাকেরজন্য ইতিবাচক পদক্ষেপ নেবে এমন একটি বড় কাউন্সিল পেতে যাচ্ছি আমরা।

Share Button

     এ জাতীয় আরো খবর