সিঙ্গাপুরে বিপাকে পরলেন ঋতুপর্ণা
ডিটেকটিভ বিনোদন ডেস্ক
পুজোয় সিঙ্গাপুরে গিয়ে বিপাকে পড়লেন ঋতুপর্ণা। অষ্টমীর সকালে মেয়েকে নিয়ে পৌঁছে গিয়েছিলেন সিঙ্গাপুরে। কিন্তু তারপরই বিপত্তি শুরু। গত বুধবার নিজেদের রিভারগেট কমপ্লেক্সের লবির সোফা থেকে চুরি গেল অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তর ওয়ালেট। যার ভিতরে সব মিলিয়ে একহাজার ডলার ক্যাশ, সমন্ত ক্রেডিট কার্ড, সিঙ্গাপুরে ঢোকার আইসি পাস, আঁধার কার্ডসহ গুরুত্বপূর্ণ সব নথি ছিল। সিঙ্গাপুরের মতো দেশে সিসিটিভির নজর এড়িয়ে চোরের এহেন সাহস দেখে তাজ্জব অভিনেত্রী। নিজেই বলছেন, বিরক্ত লাগছে। আইসি নম্বর ছাড়া তো কলকাতায় ফিরতে পারব না।
তাছাড়া, পুলিশের কাছে সব ‘ক্লু’ দেওয়ার পরও কোনো সমাধান হচ্ছে না। শনিবার ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত এই প্রসঙ্গে ভারতের এক সংবাদ মাধ্যমকে জানালেন, অষ্টমীর সকালে বিমানবন্দর থেকে ফিরে স্বামী সঞ্জয়ের জন্য অপেক্ষা করছিলাম। গাড়ি পার্কিং করে সঞ্জয় এলে আমরা একসঙ্গে ৩৭ তলায় আমাদের অ্যাপার্টমেন্টে যেতাম। আর্লি মর্নিং ফ্লাইট থাকায় বেশ টায়ার্ড ছিলাম। কাঁধের ব্যাগটাও ভারি ছিল। লবির সোফায় ব্যাগটা রাখি। পরে সঞ্জয়ের সঙ্গে কথা বলতে বলতে উপরে উঠে এলে ব্যাগটা সোফাতেই রয়ে যায়। লাঞ্চ করে ব্যাগ খোঁজ করতেই সোফার কথা মনে পড়ে। সঙ্গে সঙ্গে নিচে যাই। ব্যাগটা পেলাম কিন্তু ভিতরে ওয়ালেটটা উধাও। অভিনেত্রী আরো বলেন, লবিতে সেফটির সবরকম ব্যবস্থা আছে। সিসিটিভিও লাগানো আছে। তা সত্ত্বেও এই ঘটনা? স্বামীর সঙ্গে কমপ্লেক্সের ম্যানেজমেন্টের কাছে অভিযোগ করতে সিসিটিভি ফুটেজে খতিয়ে দেখা হয়। ফুটেজে ‘রেডমার্ট’-এর এক ডেলিভারি বয়কে লবির সোফার দিকে যেতে দেখা যায়। সিসিটিভি ফুটেজ অনুসারে, ছেলেটি ব্যাগের দিকে তিন মিনিট দাঁড়িয়েছিল। পরে সিঙ্গাপুর পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন অভিনেত্রী। সেই সঙ্গে সিসিটিভি ফুটেজ, ছেলেটির ভেহিক্যাল নম্বরও দিয়েছেন। কিন্তু সিঙ্গাপুর পুলিশের কর্মকর্তা ঋতুপর্ণাকে জানান, এক-দু’মাসের মতো সময় লাগবে। মাঝে পুজো, উইকএন্ড পড়ে যাওয়ায় এখনও সিঙ্গাপুরের ভারতীয় দূতাবাসে কিছু জানাননি অভিনেত্রী। তবে সোমবার পর্যন্ত কোনো সমাধান সূত্র না পেলে দূতাবাসে জানাবেন বলে জানিয়েছেন তিনি। প্রয়োজনে কলকাতায় প্রভাবশালী ব্যক্তিদের সঙ্গেও যোগাযোগ করবেন।