October 13, 2024, 5:24 pm

সংবাদ শিরোনাম
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল( বিএনপি) ভুল পথে কেন (পর্ব- ১২) মাতৃভূমি সুরক্ষার জন্য আবারো রক্ত দিতে হবে কেন? পর্ব -১১ দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ এলাকা থেকে তিনজন কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০ নবাবগঞ্জে বজ্রপাতে দুই বিয়াইয়ের মৃত্যু শাহবাগে ছাত্র জমিয়তের সীরাত সম্মেলন অনুষ্ঠিত সুন্নাহর মাঝেই রয়েছে বৈষম্যমুক্ত আদর্শ দেশ গড়ার চাবিকাঠি কুড়িগ্রামে হত্যায় মামলায় সাংবাদিকদের আসামী! কক্সবাজারে অভিযানে ৬ দূর্বৃত্ত অস্ত্র সহ আটক কুড়িগ্রাম পৌরসভার সড়ক যেন মৃত্যু ফাঁদ জয়পুরহাটের ক্ষেতলালে ৪০টি মণ্ডপে শুরু হয়েছে শারদীয় দুর্গাপূজা চার দিনের টানা ছুটিতে কক্সবাজারে পর্যটকের ঢল

চলচ্চিত্রে মান্নার অনুরোধে গান গেয়েছিলেন বাচ্চু

চলচ্চিত্রে মান্নার অনুরোধে গান গেয়েছিলেন বাচ্চু

ডিটেকটিভ বিনোদন ডেস্ক

কাজী হায়াৎ পরিচালিত ও নায়ক মান্না প্রযোজিত ‘লুটতরাজ’ ছবিতেই প্রথম প্লেব্যাক করেন আইয়ুব বাচ্চু। বাচ্চুর কণ্ঠে ‘অনন্ত প্রেম তুমি দাও আমাকে’ গাওয়া গানটি মান্নার ঠোঁটে বেশ জনপ্রিয় হয় তখন। আইয়ুব বাচ্চু গানটি নায়ক মান্নার অনুরোধেই গেয়েছিলেন বলে জানান চলচ্চিত্রটির পরিচালক কাজী হায়াৎ।

কাজী হায়াৎ  বলেন, ‘আমরা যখন লুটতরাজ  ছবির পরিকল্পনা করছিলাম তখন আমার এই ছবির সঙ্গীত পরিচালক আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল বলেন, আইয়ুব বাচ্চুকে দিয়ে একটি গান করাতে পারলে ভালো হতো। কিন্তু তিনি তো চলচ্চিত্রের জন্য গান করবেন না। তারপর মান্না নিজে বাচ্চুর বাসায় গিয়ে কথা বলেন। কিন্তু তিনি তো কিছুতেই গান গাইতে রাজি নন। একসময় মান্না বলেন, বাচ্চু ভাই এই ছবিটি আমার প্রথম প্রযোজনা, আপনার গাওয়া গানটি আমরা যেভাবে উপস্থাপন করব তাতে আপনার ভালো লাগবে। অনেক অনুরোধ করার পর একসময় তিনি রাজি হন। আইয়ুব বাচ্চুর বাসা থেকেই মান্না ফোন করেন বুলবুল ভাইকে। গানটি বাচ্চু ভাই গাইবেন শুনে প্রথমে বুলবুল বিশ্বাস করেননি। তারপর যখন মান্না বাচ্চুর সাথে কথা বলিয়ে দিলেন তখন তিনি বিশ্বাস করেন এবং গানের কথা ও সুর তৈরি করেন।’

কাজী হায়াৎ আরো বলেন, ‘বাচ্চু রাজি হওয়ার পর কিন্তু আমরা গানের কথা ও সুর তৈরি করি। কারণ আমরা কেউই বিশ্বাস করিনি তিনি গান গাইবেন। ওঁর সাথে যায় এমন ভাবে গানের কথা লেখা হয়। ওঁর কণ্ঠে যায় তেমন ভাবে গানের সুর তৈরি করা হয়। গানটি রেকর্ড করার সময়ই বাচ্চু গানটি পছন্দ করেন। গানটি হিট করার পর ‘আম্মাজান’ ছবিতেও গান গেয়েছিলেন বাচ্চু। পরে আরো বেশ কয়েকটা ছবিতে তিনি গান করেন।’

আইয়ুব বাচ্চুর চলে যাওয়ার খবরে শোক প্রকাশ করেন কাজী হায়াৎ। তিনি বলেন, ‘আজ আমাদের ছেড়ে চলে গেলেন বাচ্চু। এটা আমাদের মাঝে অনেক বড় শূন্যতা তৈরি করেছে। তার এই শূন্যতা পূরণ হওয়ার নয়।’

আইয়ুব বাচ্চু গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা ৫৫ মিনিটে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে মারা যান। দীর্ঘদিন ধরে হৃদরোগে ভুগছিলেন তিনি। স্কয়ার হাসপাতালের পক্ষ থেকে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান স্কয়ার হাসপাতালের পরিচালক ডা. মির্জা নাজিমুদ্দিন। তিনি বলেন, ‘সকাল সাড়ে ৮টার দিকে হার্ট অ্যাটাক হয় আইয়ুব বাচ্চুর। বাসাতেই সেটা হয়। ৯টা ৫৫ মিনিটে তাঁর মৃত্যু হয়।’

ডা. মির্জা আরো বলেন, ‘আইয়ুব বাচ্চু বহুদিন থেকে হৃদরোগে ভুগছিলেন। এই রোগটির নাম কার্ডিও-মাইওপ্যাথি।’

হৃদরোগের কারণে আইয়ুব বাচ্চু গত কয়েক বছর বারবারই হাসপাতালে এসেছেন চিকিৎসার জন্য। ২০০৯ সালে তাঁর হার্টে রিং পরানো হয়। দুই সপ্তাহ আগে শেষ তিনি স্কয়ার হাসপাতালে এসেছিলেন।

জনপ্রিয় ব্যান্ড এলআরবির দলনেতা আইয়ুব বাচ্চু ছিলেন একাধারে গায়ক, গিটারিস্ট, গীতিকার, সুরকার, সংগীত পরিচালক। ১৯৭৮ সালে তাঁর যাত্রা শুরু হয় ফিলিংস ব্যান্ডের মাধ্যমে। এরপর ১০ বছর সোলস ব্যান্ডে লিড গিটারিস্ট হিসেবে যুক্ত ছিলেন তিনি। আশির দশকে একাধিক একক অ্যালবাম বেরুলেও নব্বইয়ের দশকে ‘ডাবল অ্যালবাম’ দিয়ে এলআরবির যাত্রা শুরু হয়। তখন ব্যান্ডটির নাম ছিল ‘লিটল রিভার ব্যান্ড’। পরে ব্যান্ডের নাম পাল্টে রাখা হয় ‘লাভ রানস ব্লাইন্ড’।

১৯৬২ সালের ১৬ আগস্ট চট্টগ্রামে জন্মগ্রহণ করেন আইয়ুব বাচ্চু। ‘চলো বদলে যাই’, ‘ফেরারি মন’, ‘এখন অনেক রাত’, ‘হকার’, ‘আমি বারো মাস তোমায় ভালোবাসি’,‘বাংলাদেশ’সহ অসংখ্য জনপ্রিয় গানের ¯্রষ্টা তিনি। সঙ্গীতজগতে তিনি এবি নামে পরিচিত হলেও তাঁর ডাকনাম ছিল রবিন। এ নামেও তিনি নব্বইয়ের দশকে একক অ্যালবাম বের করেন।

Share Button

     এ জাতীয় আরো খবর