September 22, 2024, 10:43 am

সংবাদ শিরোনাম
কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে ফয়জুল আজীম নোমান এর যোগদান জয়পুরহাটের ক্ষেতলালে শহীদ জিয়া ও সকল শহীদদের স্মরণে স্বাধীনতা কাপ ফুটবল টুর্নামেন্টে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি কু‌ড়িগ্রা‌মের উলিপু‌রে বিদ‌্যুৎস্পৃষ্টএক যুব‌কের মৃত্যু যশোরে বালিচাপা অবস্থায় প্রতিবন্ধী যুবকের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার কুড়িগ্রামের রাজিবপুরে ৪০ পিস ইয়াবা ও ১ টি ভ্যান জব্দসহ ২ জন মাদক কারবারি গ্রেফতার জয়পুরহাটের ক্ষেতলালে নবাগত পুলিশ সুপারের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত দুর্নীতি বিরোধী জাতীয় সমন্বয় কমিটির উদ্যোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুজাফর রহমান মিলনায়তনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত জীবাশ্ম জ্বালানীর ব্যবহার বন্ধে কুড়িগ্রামে জলবায়ু ধর্মঘট খুলনা দৌলতপুর রেলস্টেশন ও মহসিন মোড় কাঁচাবাজারে এলাকাবাসীর উদ্যোগে পরিচ্ছন্নতা অভিযান

বিএনপির চিন্তায় সরকারের ঘুম হয় না: ফখরুল

বিএনপির চিন্তায় সরকারের ঘুম হয় না: ফখরুল

ডিটেকটিভ নিউজ ডেস্ক

নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের প্রতি প্রকাশ্যেই সমর্থন জানিয়েছে বিএনপি। এ সমর্থন যদি অপরাধ হয় তাহলে প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে পুলিশ কর্মকর্তারা পর্যন্ত সবাই একই অপরাধে অভিযুক্ত বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যে সরকার প্রার্থী, ভোটার ও ভোট ছাড়া নিজেরাই নিজেদের নির্বাচিত ঘোষণা করে জোর করে রাষ্ট্র চালাতে লজ্জা বোধ করে না তাদের কাছ থেকে পক্ষপাতমূলক বক্তব্য ও আচরণ ছাড়া আর কী আশা করা যেতে পারে? গতকাল শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০ টায় নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন মির্জা ফখরুল।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বিএনপি মহাসচিব বলেন, জনবিচ্ছিন্ন আওয়ামী লীগ সরকার এখন বিএনপি ‘ফোবিয়া’য় ভুগছে। যেখানে যা কিছু পায় সবকিছুর মধ্যেই তারা বিএনপিকে দেখতে পায়। আমার মনে হয় বিএনপির চিন্তায় তাদের ঘুম পর্যন্ত আসে না।

লিখিত বক্তব্যে মির্জা ফখরুল বলেন, কোমলমতি শিক্ষার্থীদের আন্দোলন দেশের ইতিহাসে এক নতুন মাত্রা সৃষ্টি করেছে। সতীর্থদের হত্যাকা-ের বিরুদ্ধে স্বতঃস্ফূর্তভাবে গড়ে ওঠা যুগান্তকারী এই আন্দোলন শান্তিপূর্ণ ও গাড়ির কাগজপত্র চেক করার মতো গঠনমূলক। উপযুক্ত কাগজপত্র না থাকায় মন্ত্রী, বিচারপতি, পুলিশ কর্মকর্তা, সরকারি কর্মকর্তা ও সাধারণ মানুষের প্রতি শিক্ষার্থীদের সমআচরণ ছিল দৃষ্টান্তমূলক ও শিক্ষণীয়।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের সকল শ্রেণী-পেশার মানুষ, বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক সংঠগন এমনকি দেশের প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রীগণ ও পুলিশ কর্মকর্তা পর্যন্ত এই শিশু কিশোরদের ৯ দফা দাবি ও আন্দোলনের প্রতি সমর্থন জানিয়েছে। আমরাও বিএনপির পক্ষ থেকে এবং ২০ দলীয় জোটের পক্ষ থেকে তাদের ন্যায্য ও জরুরি এসব দাবি দাওয়ার প্রতি আমাদের নৈতিক সমর্থন ঘোষণা করেছি। কিন্তু দুর্ভাগ্যক্রমে জনগণের জানমাল রক্ষায় ক্রমাগত ব্যর্থ ও অযোগ্য সরকার প্রথম দিন থেকেই এই আন্দোলনে ষড়যন্ত্র ও উস্কানি আবিষ্কারের অপচেষ্টা চালাতে শুরু করে।

সরকারি দলের সিদ্ধান্তেই ছাত্রলীগ, যুবলীগ, শ্রমিকলীগের নেতা-কর্মীরা পুলিশের ছত্রছায়ায় হেলমেট ও মুখোস পরে অগ্নেয়াস্ত্র, লাঠি, কিরিচ, রামদা নিয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর অমানবিক ও বর্বোরোচিত হামলা চালিয়েছে বলেও অভিযোগ করেন মির্জা ফখরুল।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক দাবি করেছেন যে, এসব আক্রমণ নাকি বিএনপি-জামায়াত কর্মীরা করেছে। কোনো পাগলও নেই যে, তারা বিশ্বাস করবে পুলিশের সহায়তায় তাদের সামনে বিএনপি-জামায়াত কর্মীরা আগ্নেয়াস্ত্র, লাঠি-সোঁটা নিয়ে শিক্ষার্থীদের মারপিট করবে, দায়িত্বরত সাংবাদিকদের কোপাবে, ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ অফিস আক্রমণ করবে।

হেলমেট পড়া ও মুখোশধারী আক্রমণকারীরা ছাত্রলীগ-যুবলীগ কর্মী ছিল এটা আহত সব সাংবাদিক এবং শিক্ষার্থীরা বলার পরেও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তাদের বিচার করার জন্য নাম চান। এমন বাজে রসিকতায় তিনি আনন্দ পেতে পারেন কিন্তু দেশবাসী লজ্জিত হয় বলে মন্তব্য করেন মির্জা ফখরুল।

পত্রিকায় আক্রমণকারীদের অনেকেরই ছবি ছাপা হয়েছে, কোনো কোনো ইলেকট্রনিক মিডিয়া, অনলাইন পত্রিকা এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় আক্রমণকারীদের ছবির ছড়াছড়ি থাকার পরেও অপরাধীদের গ্রেফতারের জন্য ওবায়দুল কাদের কেন ছবি ও নাম চান, প্রশ্ন বিএনপি মহাসচিবের।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ড. আবদুল মঈন খান, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম, সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী উপস্থিত ছিলেন।

Share Button

     এ জাতীয় আরো খবর