ডিটেকটিভ নিউজ ডেস্ক
স্পেন থেকে স্বাধীনতার ঘোষণায় কাতালোনিয়ার পাশে নেই ইউরোপ ও আমেরিকা। গত শুক্রবার কাতালান পার্লামেন্টে স্বাধীনতা ঘোষণার পর আনুষ্ঠানিকভাবে বিবৃতি দিয়ে স্পেনের সার্বভৌমত্বের প্রতি একাত্মতা প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। একই ধরনের ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাজ্য, তুরস্ক, জার্মানি ও ফ্রান্স। ব্রিটিশ সরকার বলছে, তাদের প্রত্যাশা স্পেনের অখ-তা ও দেশটির সংবিধান সমুন্নত থাকবে।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টেরিজা মে’র একজন মুখপাত্র বলেন, যে গণভোটের ওপর ভিত্তি করে কতালোনিয়া স্বাধীনতা ঘোষণা করেছে সে গণভোট অবৈধ।
মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ন্যাটো মিত্র স্পেনের সঙ্গে আমাদের চমৎকার বন্ধুত্ব এবং স্থায়ী অংশীদারিত্ব রয়েছে। নিরাপত্তা এবং অর্থনৈতিক অগ্রাধিকারের বিষয়ে উভয় দেশ পরস্পরের ঘনিষ্ঠভাবে সহযোগী। কাতালোনিয়া স্পেনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। শক্তিশালী ও ঐক্যবদ্ধ স্পেনের জন্য দেশটির সরকারের সাংবিধানিক পদক্ষেপের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন রয়েছে।
তুরস্কের ইউরোপীয় ইউনিয়ন বিষয়ক মন্ত্রী ওমর সেলিক বলেছেন, কাতালান পার্লামেন্টের স্বাধীনতা ঘোষণা একটি ভুল পদক্ষেপ। স্পেনের অখ-তার প্রতি তুরস্কের সমর্থন অব্যাহত থাকবে।
জার্মান সরকারের মুখপাত্র স্টিফেন সেইবার্ট বলেছেন, বর্তমান পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। তবে কাতালোনিয়ার বিচ্ছিন্নতা ইস্যুতে জার্মানি স্পেনের পাশে রয়েছে। কাতালান পার্লামেন্টের স্বাধীনতা ঘোষণাকে বার্লিন স্বীকার করে না। শান্তি শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে স্প্যানিশ প্রধানমন্ত্রীর পদক্ষেপের ব্যাপারে আমাদের স্পষ্ট সমর্থন রয়েছে। আমাদের প্রত্যাশা সংশ্লিষ্ট সবাই আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সংকট উত্তরণে কাজ করে যাবেন।
বড় কোনও বিদেশি রাষ্ট্রের স্বীকৃতি বা সমর্থন না পেলেও স্বাধীনতার দাবিতে অনড় রয়েছে কাতালোনিয়া।
গত শুক্রবার স্পেন থেকে স্বাধীন হওয়ার পক্ষে রায় দেয় কাতালোনিয়ার আঞ্চলিক পার্লামেন্ট। ভোটাভুটিতে ৭০ জন এমপি স্বাধীনতার পক্ষে সমর্থন জানিয়েছেন। প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট পড়েছে ১০টি। দুটি ব্যালট ফাঁকা ছিল। তবে বিরোধী দলের এমপিরা ভোটাভুটিতে অংশ নেননি। ভোটাভুটির আগে আগে তারা পার্লামেন্ট থেকে ওয়াক আউট করেন।
কাতালোনিয়ার পার্লামেন্টে যে প্রস্তাবটির প্রশ্নে ভোটাভুটি হয়েছে সেখানে লেখা ছিল: ‘আমরা কাতালোনিয়া প্রজাতন্ত্রকে একটি স্বাধীন, সার্বভৌম, আইনের শাসনে পরিচালিত গণতান্ত্রিক ও সামাজিক রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তুলব।’
প্রস্তাবটি পাস হওয়ার পর বার্সেলোনায় পার্লামেন্টের বাইরে জড়ো হওয়া স্বাধীনতাপন্থীরা উল্লাসে ফেটে পড়েন। তবে ভিন্ন পরিস্থিতি দেখা গেছে মাদ্রিদে। স্প্যানিশ সরকার যখন কাতালোনিয়ার ওপর সরাসরি কেন্দ্রীয় শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য তৎপরতা চালাচ্ছে তখনই আঞ্চলিক পার্লামেন্ট এ রায় দিলো। সূত্র: বিবিসি, রয়টার্স।