October 10, 2024, 1:20 pm

সংবাদ শিরোনাম
বাংলাদেশের আইন ও বিচার ব্যবস্থা সংশোধন করিতে হবে – পর্ব ৯ আসন্ন শারদীয়া দুর্গাপূজা শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য প্রশাসন ও জনগণের প্রীতি আহ্বান – পর্ব ৮ প্রশাসন সংস্থা ব্রিটিশ আইনের মাধ্যমে শাসন ব্যবস্থা চলতে পারে না-পর্ব ৭ মাতৃভূমির এক ইঞ্চি জমি ছাড় দেওয়া হবে না, পর্ব ৬ স্বাধীন সার্বভৌম মাতৃভূমি রক্ষা করতে হলে প্রতিটি ঘরে সেনাবাহিনী তৈরি করতে হবে(পর্ব-৫) আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজায় শান্তি শৃংখলা বজায় রাখার জন্য সকলকে সজাগ থাকার আহ্বান জামায়াত নেতা মাওলানা মমতাজ উদ্দিনের স্বাধীন সার্বভৌম মাতৃভূমিকে রক্ষা করতে হলে সশস্ত্র ট্রেনিং এর প্রয়োজন। বৈষম্য বিরোধী অভিভাবক ছাত্র শ্রমিক জনতা ঐক্য কমিটির (পর্ব- ৪) ভঙ্গুর রাষ্ট্রকে গড়তে হলে সংস্কার প্রয়োজন=== বৈষম্য বিরোধী অভিভাব ছাত্র শ্রমিক জনতা ঐক্য কেন্দ্রীয় কমিটির ব্যাংক কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত নাটোর পল্লী বিদ্যুত সমিতিতে অদ্ভুতুরে কাণ্ডকীর্তি

রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মাঝে বাপ্পী

রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মাঝে বাপ্পী

ডিটেকটিভ বিনোদন ডেস্ক

কক্সবাজারে রোহিঙ্গাদের সঙ্গে একটি দিন কাটিয়েছেন চিত্রনায়ক বাপ্পী চৌধুরী। গত মঙ্গলবার তিনি ছিলেন কক্সবাজারের জামতলী ও চাকমারকুল রোহিঙ্গা শিবিরে। সেখানে তিনি রোহিঙ্গা শিশু, কিশোর-কিশোরী আর নারীদের সঙ্গে বিভিন্ন কর্মকা-ে অংশ নেন। গতকাল বুধবার সকালে ঢাকায় ফিরে এসেছেন তিনি। এরপর বললেন, ‘চমৎকার একটা দিন কাটিয়েছি তাদের সঙ্গে। এমন অভিজ্ঞতা হবে ভাবতেও পারিনি। খুব গরম ছিল। কিন্তু আমি খুব আনন্দ পেয়েছি। আর সময়টা খুব উপভোগ করেছি।’ বাপ্পীকে অস্থায়ী রোহিঙ্গা শিবির দেখাতে সাহায্য করেন বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাকের কর্মীরা।

বাপ্পী চৌধুরী গত আট দিন কক্সবাজারে ব্যস্ত ছিলেন ‘নায়ক’ ছবির শুটিং নিয়ে। ছবির পরিচালক ইস্পাহানি আরিফ জাহান। জানা গেছে, কক্সবাজারে ‘নায়ক’ ছবির গানের দৃশ্যের কাজ হয়েছে। বাপ্পী চৌধুরীর সঙ্গে ছিলেন ছবির নায়িকা অধরা। আরও ছিলেন নৃত্য পরিচালক বাবা যাদব ও মাসুম বাবুল।

বাপ্পী চৌধুরী বলেন, ‘ছবির কাজ শেষে গত মঙ্গলবার সবাই ঢাকায় ফিরে এসেছেন। কিন্তু আমি থেকে যাই। কারণ, হাতে কিছু সময় ছিল। ছবির কাজের সময় ওখানে ব্র্যাকের একজন কর্মকর্তার সঙ্গে পরিচয় হয়। তাঁর কাছ থেকে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ব্যাপারে অনেক কিছু জানতে পারি। আমি তাদের সঙ্গে দেখা করার ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করি। এই কর্মকর্তার সহযোগিতায় আমি কক্সবাজারে জামতলী ও চাকমারকুল রোহিঙ্গা শিবিরে যাই।’

কক্সবাজার শহর থেকে ৫০ কিলোমিটার দূরে জামতলী রোহিঙ্গা শিবিরে বাপ্পী চৌধুরী যখন যান, তখন সকাল আটটা। বললেন, ‘রোহিঙ্গা শিবিরে বাঁশের তৈরি হাজারো ছোট ঘর দেখেছি। সেখানে বাস করছে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা একটা বিশাল জনগোষ্ঠী। শুনেছি, প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থী এখানে আছে।’

ব্র্যাক পরিচালিত শিশুবান্ধব কেন্দ্রে শিশুদের সঙ্গে সময় কাটান বাপ্পী চৌধুরী। বললেন, ‘এখানে রোহিঙ্গা শিশুদের ইংরেজি, বর্মিজ ভাষায় বর্ণমালা শেখানো হচ্ছে। তারা গান শিখছে। শেখার ব্যাপারে তাদের আগ্রহ দেখে খুব ভালো লেগেছে।’

এখানে শিশুবান্ধব কেন্দ্রে শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা দেখেন বাপ্পী চৌধুরী। বলেন, ‘শিশুরা কাগজে রংপেনসিল দিয়ে ফুল, পাখি, মাছ এঁকেছে। আমি তাদের জন্য চকলেট নিয়ে গিয়েছিলাম। সেগুলো তাদের দিয়েছি।’

চাকমারকুল রোহিঙ্গা শিবিরে ১৪ থেকে ১৮ বছর বয়সী কিশোর-কিশোরীদের সঙ্গে কথা বলেছেন বাপ্পী চৌধুরী। সেখানে তিনি বিবাহবিচ্ছেদের সমস্যা, শিক্ষার গুরুত্ব আর নারীর ক্ষমতায়নের ব্যাপারে কথা বলেন। এ ছাড়া জন্ম নিয়ন্ত্রণের গুরুত্ব নিয়েও আলোচনা করেন। কিশোরদের সঙ্গে ফুটবল খেলায় অংশ নেন তিনি। রোহিঙ্গা শরণার্থীদের বাংলাদেশে আশ্রয় দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানান বাপ্পী চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রধানমন্ত্রী এই অসহায় মানুষগুলোকে আশ্রয় দিয়ে সেই মহানুভবতার পরিচয় দিয়েছেন।’

Share Button

     এ জাতীয় আরো খবর