October 18, 2024, 1:35 pm

সংবাদ শিরোনাম
ফুটওভার ব্রিজের উপর থেকে টার্গেট ছিনতাইকারীদের সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ইমরানের রাজউকে শক্তিশালী সিন্ডিকেট তথ্য সংগ্রহকালে সাংবাদিককে হুমকি বারুদের গন্ধ বিশ্ববাসী সহ্য করতে পারছেন না (পর্ব ১৩) বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল( বিএনপি) ভুল পথে কেন (পর্ব- ১২) মাতৃভূমি সুরক্ষার জন্য আবারো রক্ত দিতে হবে কেন? পর্ব -১১ দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ এলাকা থেকে তিনজন কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০ নবাবগঞ্জে বজ্রপাতে দুই বিয়াইয়ের মৃত্যু শাহবাগে ছাত্র জমিয়তের সীরাত সম্মেলন অনুষ্ঠিত সুন্নাহর মাঝেই রয়েছে বৈষম্যমুক্ত আদর্শ দেশ গড়ার চাবিকাঠি কুড়িগ্রামে হত্যায় মামলায় সাংবাদিকদের আসামী! কক্সবাজারে অভিযানে ৬ দূর্বৃত্ত অস্ত্র সহ আটক

কথিত ‘বাবার’ এ কী কান্ড!

কথিত ‘বাবার’ এ কী কান্ড!

ডিটেকটিভ নিউজ ডেস্ক

ভারতের কথিত ধর্মগুরু গুরমিত রাম রহিম সিং দুই অনুসারীকে ধর্ষণের দায়ে সাজাপ্রাপ্ত হওয়ার পর ক্রমশ একই অভিযোগ উঠছে আরও বেশ কিছু ‘স্বঘোষিত বাবার’ বিরুদ্ধে। এবার রাজস্থানের চুরু জেলার কথিত ধর্মগুরু সন্তোষ দাশের বিরুদ্ধেও একই অভিযোগ।

তবে অভিযোগ মেনে নিতে পারেননি ৩২ বছর বয়সী ‘স্বঘোষিত বাবা’ সন্তোষ। তাই লজ্জা ও অভিমানে গত মঙ্গলবার সকালে ধারালো ছুরি দিয়ে নিজের পুরুষাঙ্গ কেটে ফেলেন তিনি। গুরুতর অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, তারানগরে নিজের আশ্রমে এক নারী অনুসারীর সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক করার অভিযোগ ওঠে সন্তোষের বিরুদ্ধে। কিন্তু এই অভিযোগ মেনে নিতে পারেননি সন্তোষ। তাই লজ্জা ও অভিমানে গত মঙ্গলবার সকালে তিনি এই ঘটনা ঘটান।

তারানগর থানার পুলিশ কর্মকর্তা রামচন্দ্র বলেন, সন্তোষ দাশ একজন স্বঘোষিত বাবা। তিনি তারানগরে নিজের আশ্রমে থাকেন। তাঁর বিরুদ্ধে এক নারী অনুসারীর সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক করার অভিযোগ ওঠে। পরে গত মঙ্গলবার সকালে তিনি ধারালো ছুরি দিয়ে নিজের গোপনাঙ্গ কেটে ফেলেন তিনি।

রামচন্দ্র বলেন, ‘ঘটনার পর সন্তোষকে রক্তাক্ত অবস্থায় স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু অবস্থা গুরুতর হওয়ায় চিকিৎসকেরা তাঁকে বিকানেরে স্থানান্তর করেন। এ ঘটনার সঠিক কারণ অবশ্য এখনো জানা যায়নি। জবানবন্দি দেওয়ার মতো তাঁর অবস্থাও এখন নেই।’

দুই নারী ভক্তকে ধর্ষণের অভিযোগে করা দুটি মামলায় গত ২৫ আগস্ট দোষী সাব্যস্ত করা হয় হরিয়ানার কথিত ধর্মগুরু রাম রহিমকে। তাঁকে দুটি মামলায় ১০ বছর করে ২০ বছরের কারাদন্ডাদেশ দেন সিবিআই আদালত।

তবে দেশটিতে রাম রহিম ছাড়াও অনেক ‘ধর্মগুরু’ এমন কান্ড ঘটিয়েছেন। অনেকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তারও হয়েছেন। কথিত এসব ধর্মগুরুর মধ্যে আছেন আচার্য শান্তিসাগর মহারাজ, কৌশলেন্দ্র প্রপানাচার্য ফলাহারি মহারাজ, ওডিশার সন্তোষ রাউল ওরফে সারথি বাবা, মধ্যপ্রদেশের লাল বুলচান্দনি ওরফে লাল সাঁই, বেঙ্গালুরুর স্বামী নিত্যানন্দ, কেরালার তিরুঅনন্তপুরমের স্বামী গঙ্গেশানন্দ, রাজস্থানের আশারাম বাপু, তাঁর ছেলে নারায়ণ সাঁই, হরিয়ানার সন্ত রামপাল, তামিলনাড়ুর স্বামী প্রেমানন্দ, উত্তর প্রদেশের প্রেমানন্দ মহারাজ, উত্তর প্রদেশের চিত্রকূটের স্বামী ভীমানন্দজি মহারাজ প্রমুখ।

Share Button

     এ জাতীয় আরো খবর