তাজমহল বিতর্ক: ব্রিটিশদেরগুলো কী হবে, প্রশ্ন মমতার
ডিটেকটিভ নিউজ ডেস্ক
সংখ্যালঘুদের তুষ্ট করতে চাচ্ছেন, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ফের এমন অভিযোগ উঠতে পারে; তারপরও উপলক্ষটিকে ছাড়লেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এনডিটিভি জানিয়েছে, তাজমহল ‘বিশ্বাসঘাতকদের’ তৈরি, বিজেপির আইনপ্রণেতা সঙ্গীত সোমের এমন মন্তব্যের বিষয়ে জিজ্ঞেস করা হলে মমতা বলেন, মন্তব্য করতে লজ্জাই লাগছে আমার। ব্রিটিশ আমলে অনেক কিছু নির্মাণ করা হয়েছে। সেগুলো ঐতিহ্যের অংশ।
তাজমহল নিয়ে তিনি গর্বিত জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের রাজ্যে ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল আছে। এটি নিয়ে আমরা গর্বিত। এমনকি পার্লামেন্টও (ভবন) ব্রিটিশ আমলেই তৈরি হয়েছিল। মন্ত্রীদের দপ্তরগুলো, নর্থ ব্লক, সাউথ ব্লকও তাদেরই নির্মিত।
চলতি মাসের প্রথমদিকে উত্তর প্রদেশের পর্যটন ব্রুশিয়ার থেকে তাজমহলকে বাদ দেওয়ার পর থেকে এ নিয়ে ভারতজুড়ে তীব্র রাজনৈতিক বিতর্ক শুরু হয়। পর্যটনের তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার আগে উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, এই স্থাপনা ভারতীয় সংস্কৃতির প্রতিনিধিত্ব করে না।
এই বিষয়টিকে বিজেপির ‘রাজনৈতিক এজেন্ডা’ বলে মন্তব্য করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী। আমি এর তীব্র নিন্দা জানাই। একটি সরকার তাদের পর্যটন ব্রুশিয়ার থেকে তাজমহলকে কীভাবে বাদ দেয় তা জানা নেই আমার, বলেন তিনি।
ভারতের বিভিন্ন জায়গার নাম পরিবর্তন নিয়েও উষ্মা প্রকাশ করেন তিনি।
“মুগল সরাইয়ের নাম পরিবর্তন করে একজন বিজেপি নেতার নামে রাখা হয়েছে। কোনো নেতার প্রতি আমার অশ্রদ্ধা নেই। এটি আমাদের সংস্কৃতি নয়। কিন্তু এরপর তারা যদি ইন্ডিয়ার নাম পরিবর্তন করতে চায়, কোথায় যাবো আমরা?
বিজেপির সমালোচনা করে মমতা বলেন, তাদের মন্ত্রীরা বড় বড় কথা বলে। তারা নিন্দা করে, হুমকি দেয়। কেউ তাদের বিরোধিতা করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তারা বলে। ব্যবস্থাটা কী? সিবিআই ও ইডি দিয়ে গ্রেপ্তার করানো। তারা (বিজেপি) এমন আচরণ করছে যেন আমরা বোকা আর তারা চালাক। এটা গণতন্ত্র না। এটা একনায়কতন্ত্র, স্বৈরাচার।