July 5, 2024, 12:44 pm

সংবাদ শিরোনাম
রংপুর মিঠাপুকুরে সেফটিক ট্যাংকে পড়ে তিনজনের মর্মান্তিক মৃত্যু অনুমোদনহীন বৃক্ষ মেলার নামে চলছে বিনোদন ও বানিজ্য মেলা।অবৈধ ভাবে হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা কুলাউড়ার রাবেয়া প্রাথমিকের বন্যার্তদের মাঝে বিএনপির ফ্রি ঔষধ বিতরণ মানবিক কাজে জামায়াতে ইসলামী সব সময় জনগণের পাশে আছে –এডঃ এহসানুল মাহবুব জুবায়ের শার্শায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের দায়ে ইউপি সদস্যকে জরিমানা রংপুর বিভাগে ৩য় ও ৪র্থ ধাপের উপজেলা পরিষদে নির্বাচিতদের শপথ গ্রহণ নবীগঞ্জের এক শিশু লেখা পড়া করে শিক্ষিত হতে চায়- টাকার অভাবে স্কুল ফাঁকি দিয়ে শাক- সবজি বিক্রয় করছে! ফরিদপুরের নগরকান্দা এলাকায় চাঞ্চল্যকর ধর্ষণ মামলার পলাতক আসামি সোহান শেখ’কে নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লা এলাকা হতে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০ জয়ন্তী আইডিয়াল ল্যাবঃ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ঐতিহ্য রক্ষায় সংবাদ সম্মেলন পটুয়াখালীতে ধরা পড়ল ৪ ফুট দৈর্ঘ্যের রাসেলস ভাইপার

আজ ১৭ সেপ্টেম্বর মহান শিক্ষা দিবস

আজ ১৭ সেপ্টেম্বর, মহান শিক্ষা দিবস। ১৯৬২ সালের এই দিনে ওয়াজিউল্লাহ, গোলাম মোস্তফা, বাবুলসহ অনেকে পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর চাপিয়ে দেওয়া শিক্ষানীতির বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে গিয়ে শহিদ হন। তাদের স্মরণে প্রতি বছরের ১৭ সেপ্টেম্বর শিক্ষা দিবস হিসেবে পালিত হয়।

জানা গেছে, তৎকালীন স্বৈরশাসক আইয়ুব খান তার ক্ষমতা দখলের দুই মাসের মাথায় ১৯৫৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর এস এম শরীফের নেতৃত্বে গঠন করেন শরীফ কমিশন খ্যাত শিক্ষা কমিশন। ১৯৫৯ সালের ২৬ আগস্ট কমিশনের পেশ করা প্রতিবেদনের প্রস্তাবনাগুলো ছিল শিক্ষা সংকোচনের পক্ষে।

প্রতিবেদনটিতে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষায় শিক্ষার্থীদের বেতন বাড়ানোর প্রস্তাবনাই শুধু ছিল না, বরং ২৭ অধ্যায়ে বিভক্ত শরীফ কমিশনে উচ্চশিক্ষা সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছিল ধনী শ্রেণির জন্য। এছাড়া কমিশন বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বায়ত্তশাসনের পরিবর্তে পূর্ণ সরকারি নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা, বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজে রাজনীতি নিষিদ্ধের প্রস্তাব রাখে।

এমনকি কমিশন বাংলা বর্ণমালা সংস্কারেরও প্রস্তাব করে। আইয়ুব খানের চাপিয়ে দেওয়া শরীফ কমিশনের এ পক্ষপাতমূলক শিক্ষানীতি প্রতিহত করতে গড়ে উঠেছিল ব্যাপক ছাত্র আন্দোলন।

ছাত্রলীগসহ বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন পাকিস্তান সরকারের এ শিক্ষানীতির বিরোধিতা শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৬২ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর সারাদেশে হরতাল পালনের ঘোষণা দেয় তৎকালীন ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ। ঐদিন সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সমাবেশে হাজার হাজার মানুষ অংশ নেয়। সমাবেশ শেষে মিছিল বের হয়। একপর্যায়ে মিছিলে পুলিশ পেছন থেকে লাঠিচার্জ, কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ ও গুলি বর্ষণ করে।

সরকারি হিসাবে সেদিন পুলিশের হামলায় একজন নিহত, ৭৩ জন আহত ও ৫৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়। তবে আন্দোলনকারীদের দাবি ছিল- একজন নন, নিহত হয়েছেন তিনজন- মোস্তফা, বাবুল, ওয়াজিউল্লাহ। সেই থেকে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও ছাত্র সংগঠন প্রতি বছর এ দিনটিকে ‘মহান শিক্ষা দিবস’ হিসেবে পালন করে আসছে।

জাতীয় শিক্ষক-কর্মচারী ফ্রন্টের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ কাজী ফারুক আহমেদ বলেন, সরকারি ও বেসরকারিভাবে শিক্ষা দিবসের গুরুত্ব তুলে ধরতে উদ্যোগ নেয়া জরুরি।

Share Button

     এ জাতীয় আরো খবর