বঙ্গবন্ধু গবেষণা পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি লায়ন মোঃ গনি মিয়া বাবুল ৭ মার্চকে স্বাধীনতার ঘোষণা দিবস করার দাবি জানিয়ে বলেছেন, ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ ঐতিহাসিক রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) এক বিশাল জনসমূদ্রে দাঁড়িয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ডাক দেন। এ দিন লাখ লাখ মুক্তিকামী মানুষের উপস্থিতে বঙ্গবন্ধু ঘোষণা করেন ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’। ৭ মার্চের ভাষণের পর ছাত্র-কৃষক-শ্রমিকসহ সর্বস্তরের বাঙালি স্বাধীনতা অর্জনের জন্য মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি গ্রহণ করে। বঙ্গবন্ধুর এই ভাষণে উদ্বুদ্ধ হয়ে পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে ৯ মাসের সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে ১৯৭১ সালে আমরা অর্জন করেছি স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ। কাজেই ৭ মার্চের এই ভাষণই ছিল মূলত বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা। ২৬ মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস এবং ৭ মার্চকে স্বাধীনতার ঘোষণা দিবস করা হলে কারো কাছে বিতর্ক থাকার কথা নয়। সরকার গত বছর থেকে ৭ মার্চকে জাতীয় দিবস হিসেবে পালন করছেন। কিন্তু এই দিবসের শিরোনাম ‘ঐতিহাসিক ৭ মার্চ স্বাধীনতার ঘোষণা দিবস’ হওয়া উচিত বলে তিনি মনে করেন। তিনি আরো বলেন, ৭ মার্চকে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা দিবস নামকরণ করা হলে এই দিবসের গুরুত্ব ও তাৎপর্য বুঝতে সাধারণ জনগণের কাছে সহজ হবে। তিনি আরো বলেন, ঐতিহাসিক ৭ মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা দিবস ও এই দিনটি সরকারিভাবে ছুটি ঘোষণা করার হোক।
বাংলাদেশ জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগের উদ্যোগে সোমবার (৭ মার্চ) সকালে ঢাকার তোপখানা রোডস্থ বৈশাখী হোটেলের ২য় তলায় আয়োজিত ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে তিনি এ সব কথা বলেন। বাংলাদেশ জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগের সভাপতি এম এ জলিলের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন, কাজী আরেফ ফাউন্ডেশনের সভাপতি কাজী মাসুদ আহমেদ, ন্যাপ ভাসানীর চেয়ারম্যান এম এ ভাসানী, ন্যাপ ভাসানীর সহ-সভাপতি স্বপন কুমার সাহা, জনতা ফ্রন্টের চেয়ারম্যান, আবু আহমেদ দিপু, বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ চাষী আব্দুল মামুন, জাতীয় স্বাধীনতা পার্টির চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মিজু, বাংলাদেশ আওয়ামী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম লীগের সাধারণ সম্পাদক মুহা. রোকন উদ্দিন পাঠান, বাংলাদেশ জাসদের ঢাকা মহানগর দক্ষিণ কমিটির যুগ্ম সম্পাদক হুমায়ুন কবির প্রমুখ।