October 7, 2024, 5:33 am

সংবাদ শিরোনাম
স্বাধীন সার্বভৌম মাতৃভূমি রক্ষা করতে হলে প্রতিটি ঘরে সেনাবাহিনী তৈরি করতে হবে(পর্ব-৫) আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজায় শান্তি শৃংখলা বজায় রাখার জন্য সকলকে সজাগ থাকার আহ্বান জামায়াত নেতা মাওলানা মমতাজ উদ্দিনের স্বাধীন সার্বভৌম মাতৃভূমিকে রক্ষা করতে হলে সশস্ত্র ট্রেনিং এর প্রয়োজন। বৈষম্য বিরোধী অভিভাবক ছাত্র শ্রমিক জনতা ঐক্য কমিটির (পর্ব- ৪) ভঙ্গুর রাষ্ট্রকে গড়তে হলে সংস্কার প্রয়োজন=== বৈষম্য বিরোধী অভিভাব ছাত্র শ্রমিক জনতা ঐক্য কেন্দ্রীয় কমিটির ব্যাংক কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত নাটোর পল্লী বিদ্যুত সমিতিতে অদ্ভুতুরে কাণ্ডকীর্তি ভোলা বোরহানউদ্দিনে প্রাথমিক সহকারি শিক্ষকগণের ১০ম গ্রেডের দাবিতে মানববন্ধন শারদীয় দুর্গাপূজায় নিরাপত্তা নিশ্চিত করণের লক্ষে বগুড়ায় বিএনপির মতবিনিময় সভা! লক্ষ্মীপুরে কুমিরের আতঙ্কে এলাকাবাসী সাংবাদিক পুত্র আবির হোসেন অনন্ত’র জন্মদিন আজ বিল্লাল হুসাইন

কোস্ট গার্ডকে শক্তিশালি করতে কাজ করছে সরকার: প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সরকার বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডকে ভবিষ্যতে আরও নতুন নতুন দায়িত্ব পালনে সক্ষম এমন একটি আধুনিক ও যুগোপযোগী বাহিনী হিসেবে গড়ে তুলতে কাজ করে যাচ্ছে। তিনি বলেন, ভবিষ্যতে আরও নতুন নতুন দায়িত্ব পালনে সক্ষম করে তুলতে আমরা কোস্ট গার্ডকে একটি আধুনিক ও যুগপোযোগী বাহিনী হিসেবে গড়ার লক্ষে কাজ করছি।

প্রধানমন্ত্রী আজ মঙ্গলবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের ২৭তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী ও পদক প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে একথা বলেন। তিনি গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে রাজধানীর আগারগাঁওস্থ বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড সদর দফতরে আয়োজিত মূল অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের নিজস্ব জনবল নিয়োগ কার্যক্রম এবং ফোর্স পুনর্গঠনের মাধ্যমে এ বাহিনীর সক্ষমতা অর্জনে আমাদের সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। ব্লু-ইকোনমি ও গভীর সমুদ্রে নিরাপত্তা প্রদানের জন্য এ বাহিনীর রূপকল্প-২০৩০ ও ২০৪১ অনুযায়ী জাহাজ, সরঞ্জামাদি ও জনবল আরও বৃদ্ধির পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।’দেশের জাহাজ নির্মাণ শিল্পকে আরো বিকশিত করার জন্য তাঁর সরকারের দক্ষিণাঞ্চলে আরো একাটি শিপইয়ার্ড নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে বলেও প্রধানমন্ত্রী ভাষণে উল্লেখ করেন।

সরকার প্রধান বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জ ড্রাইডক এবং চট্টগ্রাম ড্রাইডক সেটাও আমরা নৌবাহিনীর হাতে সমর্পণ করেছি। ভবিষ্যতে দেশের দক্ষিণাঞ্চলে আরো একটি শিপইয়ার্ড নির্মাণের পরিকল্পনা আমাদের আছে। আশা করছি, আমরা তা করতে পারবো। ইতোমধ্যে আমরা জায়গা পছন্দ করে রেখেছি।’ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের পরামর্শে অলাভজনক উল্লেখ করে খুলনা শিপইয়ার্ড ও বিএনপি সরকারের আমলে বন্ধ করে দেয়ার প্রক্রিয়া হয়েছিল। কিন্তু আমরা সরকারে আসার পর এই শিপইয়ার্ড নৌবাহিনীর হাতে অর্পণ করি।

শেখ হাসিনা বলেন, যেহেতু আমাদের নদীমাতৃক বাংলাদেশের বিশাল সমুদ্রসীমা রয়েছে, তাই আমরা পরমুখী হয়ে থাকবো কেন। তা ছাড়া ঐতিহাসিক কাল থেকেই বাংলাদেশে জাহাজ শিল্প নির্মাণ এবং রফতানি বাণিজ্য ছিল। তাই সেটাকে আমরা আবারো কার্যকর করি। যার ফলে আমরা শুধু বিদেশ থেকে কিনে না এনে নিজেরাও তৈরি করার সক্ষমতা অর্জন করেছি এবং ভবিষ্যতে আরো করবো। তিনি বলেন, গত ১৩ বছরে কোস্ট গার্ডের জন্য বিভিন্ন আকারের ৭৭টি জাহাজ ও জলযান নির্মাণ ও সংযোজন করা হয়েছে। এ ছাড়াও বাংলাদেশ নৌবাহিনী পরিচালিত নারায়ণগঞ্জ ডকইয়ার্ড এবং খুলনা শিপইয়ার্ডে কোস্ট গার্ডের জন্য দু’টি ইনশোর প্যাট্রোল ভেসেল, একটি ফ্লোটিং ক্রেন, দু’টি টাগ বোট এবং ১৬টি বোট তৈরি করা হয়েছে। কোস্ট গার্ডের ভেসেল ও জাহাজসমুহ নির্মাণ, মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণর জন্য গজারিয়ায় একটি ডকইয়ার্ডও নির্মাণ করা হচ্ছে। নিজস্ব ইয়ার্ডে জাহাজ তৈরির সক্ষমতা আমাদের আত্মবিশ্বাসকে আরও সুদৃঢ় করবে বলে আমি বিশ্বাস করি।

 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আন্তর্জাতিক বাণিজের ক্ষেত্রে এবং আঞ্চলিক নিরাপত্তা রক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ আমাদের ‘বে অব বেঙ্গল’। তাই এর যথাযথ নিরাপত্তা বিধান জরুরি এবং আমরা তা যথাযথভাবে করে যাচ্ছি। তিনি বলেন, আমাদের বিস্তীর্ণ উপকূলীয় এলাকা এবং সামুদ্রিক জলসীমার সার্বিক আইন শৃঙ্খলা বজায় রাখা, মৎস্য সম্পদ রক্ষা, দেশের সমুদ্র বন্দরের নিরাপত্তা বিধান, চোরাচালান ও মাদক বিরোধী অভিযান, ডাকাত দমনসহ প্রাকৃতিক দুর্যোগে উপকূলীয় জনগণের জানমাল রক্ষায় কোস্ট গার্ডের ভূমিকা উত্তরোত্তর বাড়ছে। জাটকা নিধন রোধে এবং মা ইলিশ রক্ষায় কোস্ট গার্ডের ভূমিকা প্রশংসনীয়।

এ সময় উপকূলীয় অঞ্চলে প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা ও পরিবেশ রক্ষায় বৃক্ষরোপন কর্মসূচি অব্যাহত রাখার জন্য কোস্ট গার্ডকে ধন্যবাদ জানান তিনি।
সরকার প্রধান কোস্ট গার্ড সদস্যদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা সবসময় দেশপ্রেম, সততা ও ঈমানের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে কোস্ট গার্ডের সুনাম ও মর্যাদা সমুন্নত রাখবেন। দেশের সমুদ্র উপকূলীয় এলাকার নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করবেন বলে আমি আশা করি। শেখ হাসিনা বলেন, এই বাহিনীর ধারাবাহিক অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে এবং আপনাদের সার্বিক কল্যাণে প্রয়োজনে যা যা করার দরকার অবশ্যই আমাদের সরকার সব করে যাবে।
১৯৯৪ সালে তৎকালীন বিরোধী দল হিসেবে মহান জাতীয় সংসদে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আনীত বিলের কারণেই কোস্ট গার্ড একটি বাহিনী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে বলেও প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন।

উপকূলীয় এবং প্রত্যন্ত অঞ্চলে কোস্ট গার্ডের স্টেশন ও আউটপোস্টসমূহে কোস্টাল ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট সেন্টার, বেইসসমূহের কর্মকর্তা ও নাবিকদের বাসস্থান, অফিসার্স মেস, নাবিক নিবাস ও প্রশাসনিক ভবনসহ বিভিন্ন ধরনের অবকাঠামো নির্মাণে তাঁর সরকারের পদক্ষেপসমূহ তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।
কোস্টগার্ডের সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে এর সুনাম বৃদ্ধিতে পটুয়াখালী অঞ্চলে নিজস্ব প্রশিক্ষণ বেইস ‘বিসিজি বেইস অগ্রযাত্রা’ প্রতিষ্ঠারও উল্লেখ করেন শেখ হাসিনা।

Share Button

     এ জাতীয় আরো খবর